সানরাইজার্স হায়দরাবাদের খেলা থাকলে তাঁর মুখ একাধিকবার ধরা পড়ে টিভির পর্দায়। কখনও হাসি, কখনও হতাশা, কখনও আবেগে টালমাটাল—এসবই ভাইরাল হয়ে ছড়িয়ে পড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায়। কেউ ভালবাসায় ভরে দেন, কেউ বানিয়ে ফেলেন মজার মিম। সেই কাব্য মারান এবার নিজের মুখেই বললেন, তিনি এসব জানেন—এবং বোঝেনও।
মাঠে বসে থাকলেও, মনের মধ্যে চলতে থাকে ঝড়!
কাব্য মারান জানালেন, তিনি নিজের হৃদয় উজাড় করে দিয়েছেন সানরাইজার্স হায়দরাবাদের জন্য। মাঠে দল হারুক বা জিতুক, প্রতিটি মুহূর্তে আবেগে ভেসে যান তিনি। আর সেই আবেগই ক্যামেরায় ধরা পড়ে, যা পরে মিমে রূপান্তরিত হয়। তবে তাতে বিন্দুমাত্র আক্ষেপ নেই তাঁর। বরং জানেন, এই আন্তরিকতাই তাঁকে দর্শকদের কাছে পৌঁছে দেয়।
সান গ্রুপের উত্তরসূরি হলেও, আলাদা পরিচিতি গড়েছেন আইপিএলে!
বহু আগে থেকেই তিনি সান গ্রুপের চেয়ারম্যান কালানিধি মারানের কন্যা হিসেবে পরিচিত ছিলেন। কিন্তু ২০২৩ সালের আইপিএল নিলাম তাঁকে এনে দেয় এক নতুন পরিচয়। সেখানে তাঁর তীক্ষ্ণ বুদ্ধি ও উপস্থিত বাচন দক্ষতা দেখে মুগ্ধ হয় নেটপাড়া। তারপর থেকে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের ম্যাচ মানেই কাব্য মারান ‘ক্যামেরার স্টার’।
ভাইরাল প্রতিক্রিয়া—কখনও হাসির খোরাক, কখনও আবেগের প্রতিচ্ছবি!
ম্যাচ চলাকালীন কাব্যর অভিব্যক্তি যেমন অনেকের মন কেড়ে নেয়, তেমনই তা ঘুরে বেড়ায় মিমের জগতে। কোথাও তাঁর হতাশ চেহারা হয় কৌতুকের বিষয়, কোথাও উচ্ছ্বাসের মুহূর্ত তৈরি করে প্রেরণা। তিনি নিজেও স্বীকার করেছেন, এসব মিম কেমন করে তৈরি হয়, সেটা আমিও বুঝি।
Fortune India-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে উজাড় করলেন মনের কথা!
সাক্ষাৎকারে কাব্য স্পষ্ট জানালেন, আমার কাজই এমন যে, নিজেকে জনসমক্ষে তুলে ধরতে হয়। তাই আমার প্রতিটি আবেগ স্বতঃস্ফূর্ত। তিনি আরও বলেন, হায়দরাবাদে যখন থাকি, একটা নির্দিষ্ট জায়গাতেই বসতে হয়। কিন্তু আহমেদাবাদ বা চেন্নাইতে থাকলে, একটু দূরে বসি। তবু ক্যামেরাপার্সনরা ঠিক আমায় খুঁজে নেন!
হৃদয় হাতে নিয়েই বসি খেলা দেখতে’—সানরাইজার্স মানেই ব্যক্তিগত আবেগ!
সব শেষে কাব্য বলেন, সানরাইজার্সের প্রসঙ্গে যখন আসি, মনে হয় হৃদয়টাই হাতে ধরে বসে আছি। কাজের প্রতি এই আত্মনিবেদন না থাকলে, এমনভাবে খেলার সঙ্গে জড়িয়ে পড়া সম্ভব নয়।
মিমের পিছনে লুকিয়ে থাকে এক নিবেদিত প্রাণ নারীর গল্প!
আইপিএলের মাঠে যতটা নজরে থাকে ব্যাট-বল, ঠিক ততটাই নজরে থাকেন এই ‘সানরাইজার্স কুইন’। তবে তাঁর প্রতিটি মিমের পেছনে যে গভীর আবেগ আর দায়িত্ববোধ লুকিয়ে থাকে, তা এবার নিজেই সামনে এনে দিলেন কাব্য মারান।