মমতার ‘বহিরাগত’ অভিযোগে কঠোর ঠিকা আইন, নজর ভবানীপুরে

মমতার ‘বহিরাগত’ অভিযোগে কঠোর ঠিকা আইন, নজর ভবানীপুরে

Thika Act Enforcement: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগের পর ভবানীপুর কেন্দ্রে কলকাতা পুরসভা ঠিকা আইন আরও জোরদারভাবে প্রয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কোথায়: ভবানীপুর, কলকাতা; কখন: ১৬ অক্টোবর ২০২৫, বুধবার; কে: মেয়র ফিরহাদ হাকিম ও পুরসভা কর্তৃপক্ষ; কী ঘটেছে: শহরের পুরোনো বাসিন্দাদের স্থানান্তর ও বহিরাগতদের আগমনের প্রেক্ষিতে আইন কার্যকর করা হবে; কেন: শহরের স্থায়ী বাসিন্দাদের স্বার্থ রক্ষা এবং বৈষম্য কমানো।

ভবানীপুরে মমতার অভিযোগ ও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্প্রতি এক বিজয়া সম্মিলনীতে অভিযোগ, “ভবানীপুরে বাইরের লোক ঢোকানো হচ্ছে। বস্তি সরিয়ে বহুতল তৈরি হচ্ছে এবং সেখানে নতুন ফ্ল্যাটে বসতি গড়ে উঠছে।” এই অভিযোগ রাজনৈতিক মহলে সরাসরি সমালোচনার সূচনা করেছে।বিরোধী দলের নেতা শুভেন্দু অধিকারী মন্তব্য করেছিলেন, “ভবানীপুরেও হারাব।” তবে মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, স্থানীয় মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি আস্থা রাখে এবং ভবিষ্যতেও তাঁদের ভোট দেবেন।

ঠিকা আইন আরও জোরদার: পুরসভা ও মেয়রের পদক্ষেপ

ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, কলকাতায় ‘মাইগ্রেশন’ বৃদ্ধি পাচ্ছে। পুরোনো বাসিন্দারা অন্যত্র চলে যাচ্ছেন এবং সেই জায়গায় নতুনরা কাজ করতে আসছেন। তাই মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে নির্দেশ দিয়েছেন ঠিকা আইন আরও শক্তভাবে প্রয়োগের জন্য।ঠিকা আইন অনুযায়ী শহরের পুরোনো বাড়িগুলো সংস্কার করে ভাড়াটিয়া ও উপ–ভাড়াটিয়াদের থাকার ব্যবস্থা করা হবে। ভবানীপুরে ইতিমধ্যেই ‘বাংলার বাড়ি প্রকল্প’-এর আওতায় নতুন বাড়ি তৈরির কাজ শুরু হয়েছে।

বস্তি সংস্কার ও বাসস্থান প্রকল্প

ভবানীপুরের বিভিন্ন বস্তিতে পুরনো বাড়িগুলো সংস্কার করে নতুন বাসস্থান তৈরি করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এই উদ্যোগের লক্ষ্য শুধুমাত্র বহিরাগতদের নিয়ন্ত্রণ নয়, বরং শহরের স্থায়ী বাসিন্দাদের আরামদায়ক জীবনযাপন নিশ্চিত করা।পুরসভা সূত্র জানায়, নতুন প্রকল্পের আওতায় ভবানীপুরে ইতিমধ্যেই কয়েকটি বাড়ি নির্মাণের কাজ চলছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের সুবিধার্থে এটি পরিকল্পিত হয়েছে যাতে ভাড়া এবং উপ–ভাড়া সংক্রান্ত সমস্যা সমাধান হয়।

রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া ও স্থানীয় মানুষদের মনোভাব

শুভেন্দু অধিকারীর মন্তব্যকে গুরুত্ব না দিয়ে মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, ভবানীপুরের মানুষ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভোট দিয়ে গর্ববোধ করেন। ২০২৬–এও তাঁরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই ভোট দেবেন।এটি স্পষ্ট যে, শহরের বর্তমান বাসিন্দাদের দিক থেকে বহিরাগতদের আগমনের বিষয়টি রাজনৈতিকভাবে চর্চিত হলেও বাস্তব প্রভাব সীমিত।

ভবানীপুর কেন্দ্রে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ, বহিরাগতরা ফ্ল্যাট কিনে আসছেন। কলকাতা পুরসভা এবার ঠিকা আইন আরও কঠোরভাবে প্রয়োগ করতে যাচ্ছে। মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, শহরের পুরোনো বাসিন্দারা অন্যত্র চলে যাচ্ছেন, সেই জায়গায় নতুনদের আসার ফলে এই পদক্ষেপ প্রয়োজন।

Leave a comment