Dengue Awareness: পুজোর পর কলকাতা শহর ও লাগোয়া এলাকায় ডেঙ্গির প্রকোপ পুনরায় বাড়ছে। স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, সেপ্টেম্বরের শেষ এবং অক্টোবরের শুরুতেই সংক্রমণের হার উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে ভর্তি রোগীর সংখ্যা বাড়ছে, বিশেষ করে ডায়াবিটিস, উচ্চ রক্তচাপ বা অন্যান্য কোমর্বিডিটি থাকা রোগীদের জন্য ঝুঁকি তুলনামূলক বেশি।
আবহাওয়া ও জলজমার প্রভাব
দেবীপক্ষের শুরুতেই কলকাতায় মেঘভাঙা বৃষ্টি হলেও নগরের বিভিন্ন স্থানে ছোট পরিসরে জল জমে যায়। এডিস মশার প্রজননের জন্য ভ্যাপসা গরম এবং জলজমা আদর্শ। অনেক প্যান্ডেল ও সংলগ্ন এলাকায় ডেঙ্গি মোকাবিলায় যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি
কলকাতার বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে রোগীর ভর্তি সংখ্যা প্রায় দেড়গুণ বেড়েছে। আউটডোরে জ্বর এবং সারা শরীরে ব্যথার উপসর্গ নিয়ে রোগীও ৪০-৭০% বৃদ্ধি পেয়েছে। হাসপাতাল সূত্রে জানানো হয়েছে, বেশিরভাগ রোগী স্থিতিশীল থাকলেও কোমর্বিডিটি থাকা রোগীদের জন্য ঝুঁকি রয়েছে।
সংক্রমণের হটস্পট
কলকাতা পুর এলাকার সল্টলেক, ঢাকুরিয়া, বেহালা, গড়িয়া, কসবা এবং উত্তর কলকাতার বিভিন্ন অংশে সংক্রমণের হার বৃদ্ধি পেয়েছে। অগস্টের গোড়ায় যেখানে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ২০০-এর কম ছিল, সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি তা প্রায় ৬৫০ এবং অক্টোবরের শুরুতে প্রায় ৮০০-৮৫০-এর বেশি হয়েছে।
হাসপাতাল ও চিকিৎসক পর্যবেক্ষণ
রুবি হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, গত এক সপ্তাহে ডেঙ্গি রোগীর সংখ্যা প্রায় ৪০% বেড়েছে। বেল ভিউ ক্লিনিক এবং পিয়ারলেস হাসপাতালের চিকিৎসকরাও একই চিত্র জানিয়েছেন। রক্তপরীক্ষায় দেখা যাচ্ছে, অনেক রোগী ডেঙ্গি পজিটিভ।
প্রশাসনিক পদক্ষেপ
পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগের বিশেষজ্ঞরা নগরের প্রতিটি ওয়ার্ডে মশার প্রজননস্থল শনাক্ত করে অভিযান চালাচ্ছেন। জলজমা ও নালা পরিষ্কার করার পাশাপাশি সেক্টর ৫-এর বিভিন্ন স্থানে উন্নত প্রযুক্তির ক্যামেরা বসানো হয়েছে মশার প্রজনন নিয়ন্ত্রণের জন্য।
দেবীপক্ষের পর থেকেই কলকাতা ও সংলগ্ন শহরতলিতে ডেঙ্গির সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে রোগীর সংখ্যা প্রায় দেড়গুণ বেড়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, আবহাওয়ার উষ্ণতা ও জলজমার কারণে এডিস মশার প্রজনন বৃদ্ধি পেয়েছে, যা ডেঙ্গি সংক্রমণের হার বাড়াচ্ছে।