কুলগামের জঙ্গলে তিন দিন ধরে এনকাউন্টার চলছে। নিরাপত্তা বাহিনী এ পর্যন্ত তিন জন জঙ্গিকে খতম করেছে। এই অভিযানে সেনা, CRPF এবং SOG-এর দল অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
Kulgam Encounter: জম্মু ও কাশ্মীর-এর কুলগাম জেলার আখল জঙ্গল এলাকায় গত তিন দিন ধরে নিরাপত্তা বাহিনী ও জঙ্গিদের মধ্যে সংঘর্ষ চলছে। এই অভিযানে ভারতীয় সেনা, সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্স (CRPF) এবং জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ (SOG) অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এই অভিযানে এ পর্যন্ত তিন জন জঙ্গিকে খতম করা হয়েছে, যেখানে এক জন জওয়ান আহত হয়েছেন।
গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে তল্লাশি অভিযান শুরু
১ আগস্ট জঙ্গিদের উপস্থিতির গোয়েন্দা তথ্য পাওয়ার পর নিরাপত্তা বাহিনী দক্ষিণ কাশ্মীরের আখল বন এলাকায় তল্লাশি অভিযান শুরু করে। তল্লাশির সময় জঙ্গিরা গুলি চালানো শুরু করে, যার জবাবে নিরাপত্তা বাহিনীও পাল্টা পদক্ষেপ নেয়। এর পরেই এই অভিযান সংঘর্ষে পরিণত হয়।
সারারাত ধরে গুলি ও বিস্ফোরণের শব্দ
অপারেশন চলাকালীন মঙ্গলবার রাতেও জঙ্গলে গুলি ও বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। নিরাপত্তা বাহিনী পুরো এলাকা ঘিরে রেখেছে এবং তল্লাশি অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। এলাকায় ক্রমাগত সেনা মোতায়েন রয়েছে এবং উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছেন।
হাইটেক প্রযুক্তির ব্যবহার
এই অপারেশনে হাইটেক নজরদারি প্রযুক্তি ও ড্রোন ব্যবহার করা হচ্ছে। এছাড়াও, সেনার স্পেশাল প্যারা ফোর্স ইউনিটও এই অভিযানের অংশ। সেনাবাহিনীর মতে, এটি এই বছরের সবচেয়ে বড় অ্যান্টি-টেরর অপারেশন হতে পারে।
এক সপ্তাহে তৃতীয় বড় সংঘর্ষ
কুলগামের এই সংঘর্ষ জম্মু ও কাশ্মীরে এক সপ্তাহের মধ্যে তৃতীয় বড় সন্ত্রাসদমন অভিযান। এর আগে, পহেলগামে অপারেশন মহাদেবের অধীনে লস্কর-এ-তৈবার তিন জন জঙ্গিকে খতম করা হয়েছিল, যারা বৈসরন উপত্যকায় পর্যটকদের ওপর হামলায় জড়িত ছিল। একই সময়ে, পুঞ্চে ৩১ জুলাই নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছে দুই পাকিস্তানি জঙ্গিকে নিকেশ করা হয়েছে।
উচ্চ স্তরে নজরদারি
জম্মু ও কাশ্মীর-এর পুলিশ মহানির্দেশক এবং সেনাবাহিনীর ১৫তম কোরের কমান্ডার এই অপারেশনের ওপর ক্রমাগত নজর রাখছেন। অভিযান চলাকালীন উদ্ধার হওয়া অস্ত্র ও নথিপত্র পরীক্ষা করা হচ্ছে, যাতে জঙ্গি নেটওয়ার্কের অন্যান্য অংশগুলোরও সন্ধান পাওয়া যায়।
অপারেশন এখনও চলছে
নিরাপত্তা বাহিনী জানিয়েছে যে, যতক্ষণ না পর্যন্ত সমস্ত জঙ্গিকে খতম করা হচ্ছে, ততক্ষণ এই অপারেশন চলবে। পুরো এলাকায় তল্লাশি অভিযান চলছে এবং যে কোনও সন্দেহজনক গতিবিধির ওপর নজর রাখা হচ্ছে।