ডিসেম্বরে শহরে ফুটবলের রাজপুত্র যুবভারতীর স্মৃতি ছুঁয়ে ফের মেসি ২ দিনের সফরে সাজছে কলকাতা

ডিসেম্বরে শহরে ফুটবলের রাজপুত্র যুবভারতীর স্মৃতি ছুঁয়ে ফের মেসি ২ দিনের সফরে সাজছে কলকাতা

১৩-১৫ ডিসেম্বর কলকাতায় মেসি, শহর জুড়ে উন্মাদনার ঢেউ

ফুটবলপ্রেমী শহর আবার গর্বে ভাসবে। কারণ ফের কলকাতায় আসছেন লিওনেল মেসি! ১৩ থেকে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত শহরে থাকবেন বিশ্বজয়ী আর্জেন্টাইন সুপারস্টার। এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই ভক্তদের উন্মাদনায় টগবগ করছে শহর। জানা গিয়েছে, ইডেন গার্ডেন্সে মেসির সঙ্গে দেখা করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। ২০১১ সালের সেই যুবভারতীর রাতের স্মৃতি এখনো অনেকের মনে টাটকা—এবার সেই স্মৃতির পাতায় যোগ হতে চলেছে আরও এক নতুন অধ্যায়।

বিশ্বজয়ীর পায়ের ছোঁয়া পেতে মুখিয়ে শহর, মেসির সফর এবার একেবারে অন্য মেজাজে

২০১১ সালের তুলনায় এবারের সফরের গুরুত্ব অনেকটাই বেশি। কারণ এবার মেসি কেবলমাত্র একজন ফুটবল তারকা নন—তিনি বিশ্বকাপজয়ী নেতা, কোটি কোটি মানুষের স্বপ্নপূরণকারী। তাঁর কোপা ও বিশ্বকাপ জয়ের পর এবার যেন অন্য এক মেসিকে দেখবে শহর। মেসির আগমন মানেই কলকাতার ফুটবল প্রেমে নতুন আবেগের রং। এবার সেই রং ছড়াবে আরও গাঢ়ভাবে।

কলকাতায় ফুটবল ওয়ার্কশপ ও ‘গোট কাপ’, যুব প্রজন্মের কাছে অনুপ্রেরণা হয়ে উঠবেন মেসি

শুধু সফর নয়, এই সফরে থাকবে কার্যক্রমের রাশি। মেসি কলকাতায় একটি বিশেষ ফুটবল ওয়ার্কশপে অংশ নেবেন। পাশাপাশি উদ্বোধন করবেন একটি ‘ফুটবল ক্লিনিক’। তাঁর সম্মানেই আয়োজিত হবে ‘G.O.A.T Cup’—যেখানে শহরের উদীয়মান ফুটবল প্রতিভারা মেসির সামনে নিজেদের প্রতিভা তুলে ধরার সুযোগ পাবেন। যুব সমাজের কাছে এ এক অনন্য অনুপ্রেরণা হতে চলেছে।

কেরালার সফর বাতিল, এবার মুম্বই ও দিল্লিতেও থাকবেন ফুটবল যাদুকর

প্রথমে শোনা গিয়েছিল, অক্টোবর বা নভেম্বরে মেসি কেরালায় যাবেন। এমনকি রাজ্যের ক্রীড়া মন্ত্রী ভি আব্দুরহিমান তা নিয়ে আগেই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। কিন্তু সূত্রের খবর, সেই সফর আপাতত বাতিল। পরিবর্তে, মেসি ডিসেম্বরে ভারতের তিন মেগা শহর কলকাতা, মুম্বই এবং দিল্লি সফর করবেন। কলকাতা সফরের পর মুম্বইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে যাবেন তিনি, সেখানেও থাকবে একাধিক অনুষ্ঠান।

২০১১-এর স্মৃতি ফিরিয়ে আনবে ২০২৫-এর সফর, যুবভারতীতে না হলেও শহরের হৃদয়ে থাকবে মেসি

২০১১ সালে যুবভারতীতে ভেনেজুয়েলার বিরুদ্ধে আর্জেন্টিনার হয়ে মেসির প্রথম ভারত সফর আজও ইতিহাস। যদিও সে দিন গোল পাননি তিনি, কিন্তু গ্যালারির প্রতিটি চিৎকার যেন এক একটি ধ্বনি ছিল ভালোবাসার। ১৪ বছর পর, সেই মেসিই আবার ফিরছেন, এক অন্য চেহারায়, এক অন্য মর্যাদায়। এ যেন সময়ের ঘুরে ফিরে আসা এক আবেগঘন পুনর্মিলন।

Leave a comment