লখনউ ইউনিভার্সিটির এক ছাত্রী ৮ অক্টোবর একটি অ্যাপের মাধ্যমে বাইক রাইড বুক করেছিলেন, যেখানে চালক রাহুল অগ্নিহোত্রী তাকে একটি জনমানবহীন জায়গায় নিয়ে গিয়ে শ্লীলতাহানি করেন। पीड़िता অভিযোগ দায়ের করার পর পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে জেলে পাঠিয়েছে। মামলার তদন্ত করছে মিশন শক্তি দল।
Lucknow University: উত্তর প্রদেশের লখনউতে ৮ অক্টোবর লখনউ ইউনিভার্সিটির এক ছাত্রী অ্যাপের মাধ্যমে বাইক রাইড বুক করেছিলেন, কিন্তু চালক রাহুল অগ্নিহোত্রী তাকে শর্টকাটের অজুহাত দেখিয়ে একটি জনমানবহীন জায়গায় নিয়ে গিয়ে শ্লীলতাহানি করেন। पीड़िता প্রতিবাদ করলে চালক তাকে হাসপাতালের কাছে নামিয়ে পালিয়ে যায়। পুলিশ রাইড-শেয়ারিং কোম্পানি থেকে তথ্য সংগ্রহ করে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে জেলে পাঠায় এবং মামলার তদন্তের ভার মিশন শক্তি দলের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
চালক কর্তৃক আপত্তিকর আচরণ
ছাত্রীর বর্ণনা অনুযায়ী, সে যেই রাস্তা পরিবর্তনের প্রতিবাদ করে, চালক তার উপর আপত্তিকর মন্তব্য করে। এর সাথে সে মেয়েটিকে ভুলভাবে স্পর্শ করার চেষ্টা করে। पीड़िता জানায় যে ভয় এবং উদ্বেগের মধ্যেও সে সাহস দেখিয়ে চালককে থামতে বলে। এরপর চালক মেয়েটিকে বিবেকানন্দ হাসপাতালের কাছে নামিয়ে দিয়ে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।
পরিজনদের সাহায্য এবং পুলিশে অভিযোগ
ঘটনার পরপরই पीड़िता তার পরিবারকে ফোন করে। পরিবার তাকে সাহস যোগায় এবং দ্রুত পুলিশকে জানায়। ৯ অক্টোবর থানা মহানগর-এ অভিযোগ দায়ের করা হয়। অভিযোগে पीड़िता জানায় যে চালক ইচ্ছাকৃতভাবে রাস্তা পরিবর্তন করে এবং তার সাথে আপত্তিকর আচরণ করে।
পুলিশ ই-চালান অ্যাপ এবং গাড়ির নম্বরের সাহায্যে চালককে শনাক্ত করে। অভিযুক্তের নাম রাহুল অগ্নিহোত্রী এবং সে পিজিআই থানা এলাকার একতানগরের বাসিন্দা। জিজ্ঞাসাবাদের সময় অভিযুক্ত পুলিশের সাথে জটলা পাকানোর চেষ্টা করে, কিন্তু পুলিশ তাকে ধরে ফেলে এবং গ্রেপ্তার করে জেলে পাঠায়।
পুলিশের তদন্ত
মিশন শক্তি দলের কাছে মামলার তদন্তভার অর্পণ করা হয়েছে। দলে সাব-ইন্সপেক্টর দীপ্তি, রশ্মি সিং এবং মহেশ কুমার শুক্লা রয়েছেন। পুলিশ রাইড-শেয়ারিং কোম্পানি থেকে চালকের যাচাইকরণ এবং ব্যাকগ্রাউন্ড চেক সম্পর্কিত তথ্যও চেয়েছে। তদন্তে স্পষ্ট হবে যে কোম্পানি চালকের পটভূমি সম্পূর্ণরূপে যাচাই করেছিল কিনা।
ছাত্রীদের মধ্যে নিরাপত্তার প্রশ্ন
এই ঘটনা ছাত্রীদের নিরাপত্তা নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন তুলেছে। লখনউ ইউনিভার্সিটির আশেপাশে এবং শহরে এমন ঘটনা বৃদ্ধির ফলে ছাত্রীদের মধ্যে ভয় ও নিরাপত্তাহীনতার অনুভূতি বেড়েছে। পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন যে এই ধরনের মামলা গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে এবং অপরাধীদের কোনো অবস্থাতেই রেহাই দেওয়া হবে না।
পুলিশ রাইড-শেয়ারিং কোম্পানি থেকে তথ্য সংগ্রহ করে তদন্ত দ্রুত করেছে। তদন্তের উদ্দেশ্য এও দেখা যে কোম্পানি চালকের অপরাধমূলক ইতিহাস এবং পরিচয় সম্পূর্ণরূপে যাচাই করেছিল কিনা। এর ফলে ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা প্রতিরোধে সাহায্য মিলতে পারে।