মহারাষ্ট্রে NCP-র সংযুক্তির জল্পনা থামালেন সুনীল तटকরে

মহারাষ্ট্রে NCP-র সংযুক্তির জল্পনা থামালেন সুনীল तटকরে

মহারাষ্ট্রের রাজনীতিতে আজকাল তুমুল আলোড়ন দেখা যাচ্ছে। প্রায় দুই দশক পর ঠাকরে ভাইদের একসঙ্গে আসার ইঙ্গিত মেলায় রাজ্যের রাজনীতিতে নতুন সমীকরণ তৈরি হওয়ার জল্পনা শুরু হয়েছিল।

Sharad Pawar and Ajit Pawar: মহারাষ্ট্রে চলমান রাজনৈতিক ঘটনাপ্রবাহের মধ্যে শরদ পাওয়ার এবং অজিত পাওয়ার গোষ্ঠীর ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টি (NCP)-র সংযুক্তির জল্পনা অবশেষে থামল। এনসিপির রাজ্য সভাপতি সুনীল तटকরে এই বিষয়ে বড় বিবৃতি দিয়ে স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে আপাতত কোনও আলোচনা হচ্ছে না। তাঁর এই বিবৃতির পরে মহারাষ্ট্রের রাজনীতিতে ওঠা রাজনৈতিক ঝড় আপাতত থামতে দেখা যাচ্ছে।

কোনো সংযুক্তিকরণ নয়, কোনো আলোচনা নয়: এনসিপি সভাপতি সুনীল तटকরে

এনসিপির রাজ্য সভাপতি এবং অজিত পাওয়ারের ঘনিষ্ঠ নেতা সুনীল तटকরে স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন যে শরদ পাওয়ার গোষ্ঠী এবং অজিত পাওয়ার গোষ্ঠীর মধ্যে কোনও প্রকার আলোচনা হচ্ছে না। তিনি আরও স্পষ্ট করেছেন যে উভয় গোষ্ঠীর সংযুক্তিকরণ নিয়ে কোনও আলোচনা শুরু হয়নি এবং কোনও প্রস্তাবও বিচারাধীন নেই।

তিনি বলেন, আমরা এনডিএ (মহাযুতি)-তে আছি এবং সেখানেই থাকার সংকল্প নিয়েছি। যদি কোনো বড় সিদ্ধান্ত নিতে হয়, তাহলে প্রথমে বিজেপির वरिष्ठ নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করা হবে। সুনীল तटকরে-র এই বিবৃতির পরে এটা স্পষ্ট হয়ে গেছে যে অজিত পাওয়ার গোষ্ঠী এনডিএ-র সঙ্গেই থাকবে এবং আপাতত কোনও রকম সংযুক্তিকরণ বা মীমাংসার সম্ভাবনা নেই।

কাকা-ভাইপোর মধ্যে রাজনৈতিক দূরত্ব বজায় রয়েছে

যদিও গত কয়েক মাসে শরদ পাওয়ার এবং অজিত পাওয়ারকে অনেকবার এক মঞ্চে বা পারিবারিক অনুষ্ঠানে একসঙ্গে দেখা গেছে, কিন্তু রাজনৈতিকভাবে দুজনের পথ সম্পূর্ণ আলাদা হয়ে গেছে। ২০২৩ সালের জুলাই মাসে অজিত পাওয়ার তাঁর কাকা শরদ পাওয়ারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে বিজেপি এবং একনাথ শিন্ডের মহাযুতি জোটে যোগ দিয়েছিলেন। এরপর অজিত পাওয়ারের গোষ্ঠীকেই নির্বাচন কমিশন 'আসল' এনসিপি হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।

এর পর থেকে শরদ পাওয়ার এবং অজিত পাওয়ারের মধ্যে রাজনৈতিক আলোচনা বা জোট নিয়ে অনেকবার জল্পনা উঠেছে, কিন্তু প্রতিবারই সেই জল্পনা থেমে গেছে। এখন সুনীল तटকরে-র বক্তব্য থেকে এটা আরও স্পষ্ট যে উভয় গোষ্ঠীর আবার এক হওয়ার সম্ভাবনা প্রায় নেই।

কেন মীমাংসার জল্পনা উঠেছিল?

মহারাষ্ট্রে গত কয়েক দিন ধরে যখন ঠাকরে ভাই উদ্ধব ঠাকরে এবং রাজ ঠাকরের মধ্যে ঘনিষ্ঠতার খবর আসে, তখনই এই আলোচনাও শুরু হয় যে শরদ পাওয়ার এবং অজিত পাওয়ারের মধ্যেও কোনও রাজনৈতিক মীমাংসা হতে পারে। কাকা-ভাইপোর মধ্যে রাজনৈতিক দূরত্ব কমার জল্পনা আরও বেড়েছিল যখন দুই নেতাকে প্রকাশ্যে একসঙ্গে দেখা যায়। কিন্তু এখন স্পষ্ট হয়ে গেছে যে এমন কোনো রাজনৈতিক আলোচনা হচ্ছে না।

  • অজিত পাওয়ার গোষ্ঠী: বিজেপির নেতৃত্বাধীন মহাযুতি সরকারের অংশ এবং উপমুখ্যমন্ত্রী হিসেবে অজিত পাওয়ারের ভূমিকা মহারাষ্ট্রের ক্ষমতায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
  • শরদ পাওয়ার গোষ্ঠী: মহা বিকাশ আঘাড়ি (MVA)-র অংশ হিসেবে কংগ্রেস এবং উদ্ধব ঠাকরের শিবসেনার সঙ্গে মিলিত হয়ে বিজেপি এবং এনডিএ-র বিরুদ্ধে বিরোধী রাজনীতি করছে।

উভয় গোষ্ঠীর विचारधारा এবং রাজনৈতিক দিক সম্পূর্ণ আলাদা। এমন পরিস্থিতিতে দুজনের সংযুক্তির সম্ভাবনা আপাতত পুরোপুরি খারিজ হয়ে গেছে। উল্লেখ্য, শরদ পাওয়ার ১৯৯৯ সালে এনসিপি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। ১০ জুন ২০২৪ তারিখে এনসিপির প্রতিষ্ঠা দিবসে উভয় গোষ্ঠী আলাদা আলাদা कार्यक्रम আয়োজন করেছিল।

দুজনেই পুনেকে তাদের নিজ নিজ অনুষ্ঠানের জন্য বেছে নিয়েছিলেন, কিন্তু মঞ্চ এবং विचारधारा দুটোই अलग ছিল। এতেও স্পষ্ট संकेत পাওয়া গিয়েছিল যে দুজনের মধ্যে এখন এক হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম।

Leave a comment