মহারাষ্ট্রে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা: নির্মাণাধীন গর্তে ডুবে ৪ শিশুর মৃত্যু

মহারাষ্ট্রে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা: নির্মাণাধীন গর্তে ডুবে ৪ শিশুর মৃত্যু

মহারাষ্ট্রের ইয়াভাতমাল জেলায় একটি রেলওয়ে ফ্লাইওভার নির্মাণস্থলে জলপূর্ণ গর্তে ডুবে চার শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। ২০ অগাস্ট দারওয়া রেলওয়ে স্টেশনের কাছে এই দুর্ঘটনাটি ঘটে। একই সময়ে, নাসিক এবং মারাঠওয়াড়ায় একটানা বৃষ্টির কারণে বাঁধ এবং নদীগুলির জলস্তর বিপদসীমা ছাড়িয়েছে। প্রশাসন ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

Yavatmal: দারওয়ায় ২০ অগাস্ট রেলওয়ে ফ্লাইওভার নির্মাণস্থলের জলপূর্ণ গর্তে ডুবে চারটি শিশুর মৃত্যু হয়েছে। মৃত শিশুরা ১০ থেকে ১৪ বছর বয়সী ছিল এবং তারা গর্তের কাছে খেলছিল। ঘটনার পর পুলিশ ও প্রশাসন নির্মাণ কোম্পানির গাফিলতির তদন্ত শুরু করেছে। এরই মধ্যে নাসিক ও মারাঠওয়াড়ায় একটানা বৃষ্টির কারণে বাঁধ ও নদীর জলস্তর বিপজ্জনকভাবে বেড়ে যাওয়ায় বহু এলাকা জলমগ্ন এবং সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

ইয়াভাতমাল দুর্ঘটনায় চার শিশুর মৃত্যু

স্থানীয় পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত শিশুরা ১০ থেকে ১৪ বছর বয়সী ছিল। দুর্ঘটনাটি দারওয়া রেলওয়ে স্টেশনের কাছে ঘটেছে, যেখানে ফ্লাইওভার নির্মাণের জন্য খোঁড়া গর্তে বৃষ্টির জল জমে গিয়েছিল। শিশুরা খেলতে খেলতে বা সাঁতার কাটার চেষ্টা করতে গিয়ে ওই গর্তে পড়ে যায়।

মৃতদের পরিচয় রিহান আসলাম খান, গোলু পান্ডুরং নারনভরে, সৌম্যা সতীশ খাড়সান এবং বৈভব আশিষ বোথলে হিসেবে জানা গেছে। ঘটনার পর এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে এবং পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে। প্রশাসন নির্মাণ কোম্পানির গাফিলতিরও তদন্ত শুরু করেছে।

নির্মাণস্থলের গাফিলতি নিয়ে প্রশ্ন

স্থানীয় কর্মকর্তাদের বক্তব্য, পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা ছাড়াই গর্তটি খোলা অবস্থায় ফেলে রাখা হয়েছিল। একটানা বৃষ্টি ও জল জমে যাওয়ায় এই গর্ত শিশুদের জন্য অত্যন্ত বিপজ্জনক হয়ে ওঠে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, নির্মাণস্থলে শিশু ও স্থানীয় বাসিন্দাদের নিরাপত্তার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা না থাকার কারণে প্রায়ই এ ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে। এক্ষেত্রে প্রশাসনের গাফিলতি স্পষ্ট।

নাসিকে মুষলধারে বৃষ্টিতে নদীতে জলস্ফীতি

মহারাষ্ট্রের নাসিক জেলাতেও একটানা মুষলধারে বৃষ্টি চলছে। গঙ্গাপুর বাঁধ থেকে অতিরিক্ত জল গোদাবরী নদীতে ছাড়ার কারণে নদীর স্রোত বেড়ে গেছে। রামকুণ্ড ও গোদঘাট এলাকার ছোট ছোট মন্দির জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। এমনকি বিখ্যাত দুতোন্দ্যা মারুতির মূর্তিটিও আংশিকভাবে জলের তলায় ডুবে গেছে।

স্থানীয় প্রশাসন ও জল ব্যবস্থাপনা বিভাগ সতর্ক রয়েছে এবং নদীর তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজ চলছে।

প্রশাসনের সতর্কতা জারি

মারাঠওয়াড়া অঞ্চলে অবস্থিত জয়কওয়াড়ি বাঁধের জলধারণ ক্ষমতা ৯৫% এর বেশি পূর্ণ হয়ে গেছে। সেচ বিভাগ জানিয়েছে, প্রয়োজন পড়লে এই বাঁধ থেকে জল ছাড়া হতে পারে। এই বাঁধটি অঞ্চলের সবচেয়ে বড় জলের উৎস এবং এটি ভরে যাওয়ায় কৃষক ও পানীয় জলের সরবরাহ স্বাভাবিক থাকবে।

বাঁধ থেকে জল ছাড়ার কারণে আশেপাশের নিচু এলাকা জলমগ্ন হতে পারে, তাই প্রশাসন সতর্কতা জারি করেছে।

Leave a comment