মালদায় বাড়িঘর প্রতারণা: কোটি টাকার জালিয়াতির অভিযোগ, পুলিশ তদন্তে

মালদায় বাড়িঘর প্রতারণা: কোটি টাকার জালিয়াতির অভিযোগ, পুলিশ তদন্তে

প্রধান খবর: মালদা জেলা এবং তার আশেপাশের এলাকায় বাড়ি বানিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতিতে বেসরকারি সংস্থার বিরুদ্ধে বড় ধরনের প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় হবিবপুর ও বামনগোলা থেকে গুরুতর অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযুক্ত সংস্থা পশ্চিমবঙ্গ, বিহার ও ঝাড়খণ্ডে প্রায় ৪–৫ কোটি টাকার প্রতারণা করেছে বলে অভিযোগ। প্রতারিতরা পুলিশ সুপারের কাছে অভিযোগ জানিয়েছে এবং ইতিমধ্যেই পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।

প্রতারণার ধরন এবং পরিমাণ

স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, সহজ কিস্তিতে বাড়িঘর বানিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে টাকা নেওয়া হয়েছে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে বাড়ি নির্মাণের কোনও কাজ করা হয়নি। শুধু মালদায় ২০–৩০ লক্ষ টাকার প্রতারণা ঘটেছে। অন্যান্য রাজ্য মিলিয়ে সংস্থার প্রতারণার পরিমাণ প্রায় ৪–৫ কোটি টাকা।

অভিযুক্ত সংস্থা এবং স্থানীয় প্রভাব

বেসরকারি সংস্থার বিরুদ্ধে অভিযোগ এসেছে হবিবপুর ও বামনগোলা থেকে। সংস্থাটি পূর্বে বিভিন্ন অঞ্চলে “সুবিধাজনক কিস্তিতে বাড়ি দেওয়া হবে” নামে প্রচারণা চালিয়ে গ্রাহকদের টাকাপয়সা নিয়েছে। স্থানীয়রা জানিয়েছে, বহু মানুষ একাধিক লাখ টাকা হারিয়েছেন।

প্রতারিতদের পদক্ষেপ

প্রতারিতরা ইতিমধ্যেই পুলিশ সুপারের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন। তদন্ত শুরু হয়েছে এবং পুলিশ সংস্থার কার্যক্রম এবং আর্থিক লেনদেন খতিয়ে দেখছে। এই ঘটনার কারণে এলাকার মানুষ অসন্তুষ্ট এবং সতর্কতার আহ্বান জানাচ্ছেন।

ভবিষ্যৎ সতর্কতা এবং পরামর্শ

স্থানীয়দের পরামর্শ, বাড়ি বা যেকোনও বড় বিনিয়োগের আগে সংস্থার লাইসেন্স ও প্রকল্পের সত্যতা যাচাই করা। সহজ কিস্তি বা অফারের প্রলোভনে সুরক্ষা ছাড়া টাকা প্রদান না করার পরামর্শ দিচ্ছেন আইনজীবী ও পুলিশ।

মালদা জেলা ও আশেপাশের এলাকায় একটি বেসরকারি সংস্থা বাড়ি বানিয়ে দেওয়ার নামে সাধারণ মানুষকে প্রতারণার শিকার করেছে। অভিযোগ অনুযায়ী, শুধু মালদায় প্রায় ২০–৩০ লক্ষ টাকা প্রতারণা হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গ, বিহার ও ঝাড়খণ্ড মিলিয়ে ৪–৫ কোটি টাকার জালিয়াতি করা হয়েছে। প্রতারিতরা ইতিমধ্যেই পুলিশ সুপারের দ্বারস্থ হয়েছে।

Leave a comment