মোদির আগমন স্মৃতিকাতর মমতা

মোদির আগমন স্মৃতিকাতর মমতা

কলকাতায় মেট্রোর নতুন তিনটি রুটের উদ্বোধনে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কিন্তু তাঁর আগমনের ঠিক কিছু মুহূর্ত আগে সামাজিক মাধ্যমে ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্ট করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পোস্টের মাধ্যমে তিনি স্মৃতি তাড়িত হয়ে, নিজের রেলমন্ত্রীকালীন কৃতিত্বের কথাও মনে করিয়ে দিলেন।

রেলমন্ত্রী হিসেবের গর্ব

মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেছেন, ভারতের রেলমন্ত্রী হিসেবে কলকাতায় বহু মেট্রো রেল করিডরের পরিকল্পনা করা ও অনুমোদন দেওয়ার সৌভাগ্য আমার হয়েছিল।”তিনি বলেন, এই প্রকল্পগুলোর জন্য সঠিক অর্থায়ন, সময়মতো কাজ শুরু এবং ব্লু-প্রিন্ট তৈরির সকল দায়িত্বই তাঁর আমলে সম্পন্ন হয়েছিল।

কলকাতার বিভিন্ন প্রান্তে মেট্রো নেটওয়ার্ক

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উল্লেখ করেন, জোকা, বেহালা, তারাতলা, গড়িয়া, নোয়াপাড়া, দক্ষিণেশ্বর, বিমানবন্দর, দমদম, সেক্টর ফাইভের মতো এলাকা মহানাগরিক মেট্রো গ্রিডে সংযুক্ত করার কাজ তাঁর হাত ধরে বাস্তবায়িত হয়েছে। তিনি টালিগঞ্জ–গড়িয়া, দমদম–গড়িয়া, দক্ষিণেশ্বর–দমদম, সল্টলেক–হাওড়া সংযোগের সূচনা এবং ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর রুট পরিবর্তন প্রক্রিয়ার কথাও স্মরণ করিয়েছেন।

নতুন জোন ও বিশ্বমানের স্টেশন

রেলমন্ত্রী থাকাকালীন মেট্রো রেলের জন্য কলকাতায় পৃথক জোন তৈরি করা হয়, যা দেশের ২০টি জোনের মধ্যে নতুন সংযোজন ছিল। এছাড়াও তিনি ঘোষণা করেছিলেন বিশ্বমানের স্টেশন নির্মাণের পরিকল্পনা, যা শহরের উন্নয়নে নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছিল।

মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে সমন্বয় ও বাস্তবায়ন

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লিখেছেন, মুখ্যমন্ত্রী হিসেবেও তিনি প্রকল্পের বাস্তবায়নে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেছিলেন। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে বিনামূল্যে জমি প্রদান, রাস্তা নির্মাণ এবং বাস্তুচ্যুতদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা – সবই বাস্তবায়নের অংশ ছিল। মুখ্যসচিবরা ধারাবাহিক বৈঠকের মাধ্যমে কাজের সঠিক সমন্বয় নিশ্চিত করেছিলেন।

স্মৃতির নস্টালজিক মুহূর্ত

তিনি আরও যোগ করেছেন, “এক কথায়, রেলমন্ত্রী হিসেবে যে পরিকল্পনাগুলি করেছিলাম, সেগুলোর সঠিক সমাপ্তি নিশ্চিত করাও আমার দায়িত্ব ছিল। মেট্রো পরিকাঠামো সম্প্রসারণ আমার দীর্ঘ সফরের অংশ। আজ আমাকে কিছুটা নস্টালজিক হতে দিন।” এই মন্তব্যের মাধ্যমে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের অতীতের কাজ এবং শহরের উন্নয়নের সঙ্গে ব্যক্তিগত গর্বকে প্রকাশ করেছেন।

Leave a comment