ছয়বারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন এবং অলিম্পিক পদকজয়ী এমসি মেরি কমের ফরিদাবাদের বাসভবনে চুরির ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে এবং সিসিটিভি ফুটেজের সাহায্যে চোরদের সন্ধান করা হচ্ছে।
ফরিদাবাদ: ভারতীয় বক্সার, ছয়বারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন এবং অলিম্পিক পদকজয়ী এমসি মেরি কমের ফরিদাবাদের বাড়িতে চুরির ঘটনা সামনে এসেছে। মেরি কম যখন মেঘালয়ের সোহরায় একটি ম্যারাথন প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে গিয়েছিলেন, তখন শনিবার এই ঘটনাটি ঘটে। তার প্রতিবেশীরা তাকে চুরির বিষয়ে জানানোর পর অবিলম্বে পুলিশকে অবহিত করা হয়।
মেরি কমের বাড়িতে চুরি সিসিটিভিতে ধরা পড়েছে
সিসিটিভি ফুটেজে চোরদের মেরি কমের বাড়ি থেকে টেলিভিশন সেট এবং অন্যান্য জিনিস নিয়ে যেতে স্পষ্টভাবে দেখা যাচ্ছে। প্রতিবেশীদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ঘটনাটি ২৪ সেপ্টেম্বর ঘটেছিল। চুরির সময় বাড়িতে কেউ উপস্থিত না থাকায় অপরাধীদের জন্য তাদের কাজ করা সহজ হয়েছিল।
চোরদের ধরার জন্য পুলিশ ছয়টি পৃথক দল গঠন করেছে। কর্মকর্তারা সিসিটিভি ফুটেজের সাহায্যে অপরাধীদের শনাক্ত করার চেষ্টা করছেন। মেরি কম বাড়িতে ফেরার পর এই ঘটনার আরও গভীর তদন্ত স্পষ্ট হবে।
মেরি কমের বিবৃতি
এএনআই-এর সঙ্গে কথা বলার সময় মেরি কম জানান যে, তিনি প্রতিবেশীদের কাছ থেকে চুরির খবর পেয়েছেন। চোরেরা ঠিক কী কী জিনিস চুরি করেছে, তা বাড়িতে পৌঁছানোর পরই তিনি জানতে পারবেন বলে স্পষ্ট জানিয়েছেন। তিনি তার ভক্তদের ধৈর্য ধরার আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি আরও জানান যে, চুরির খবর পাওয়ার সাথে সাথেই তিনি পুলিশকে জানিয়েছিলেন এবং তার আশা, চুরি হওয়া সমস্ত জিনিস দ্রুত ফিরে পাওয়া যাবে। তার প্রতিবেশীরাও পুলিশকে তদন্তে সম্পূর্ণ সহযোগিতা করার আশ্বাস দিয়েছেন।
মেরি কমের ক্রীড়া জীবন
এমসি মেরি কম ২০১২ সালের লন্ডন অলিম্পিকে ভারতের জন্য ব্রোঞ্জ পদক জিতেছিলেন। এরপর তিনি কিছুদিনের জন্য খেলাধুলা থেকে বিরতি নেন। তবে, ২০১৮ সালে তিনি দিল্লিতে অনুষ্ঠিত বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে দারুণভাবে প্রত্যাবর্তন করেন এবং ইউক্রেনের হেনা ওখোটাকে ৫-০ তে পরাজিত করে তার ষষ্ঠ বিশ্ব শিরোপা জেতেন।
এই সাফল্যের কারণে তিনি সবচেয়ে সফল পুরুষ ও মহিলা বক্সারদের মধ্যে একজন হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন। এর এক বছরের মধ্যেই, তিনি তার অষ্টম বিশ্ব পদকও জেতেন, যা এখন পর্যন্ত কোনো বক্সারের দ্বারা জেতা সর্বোচ্চ পদকের রেকর্ড।
নিরাপত্তা ও পুলিশি পদক্ষেপ
চুরির এই ঘটনা ক্রীড়া জগতে এবং মেরি কমের ভক্তদের মধ্যে উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মানুষ তার নিরাপত্তার নিশ্চয়তা এবং চোরদের অবিলম্বে গ্রেপ্তারের দাবি জানাচ্ছে।
এই ঘটনার গুরুত্ব বিবেচনা করে ফরিদাবাদ পুলিশ অবিলম্বে তদন্ত শুরু করেছে। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন যে, চোরদের ধরার জন্য সমস্ত সম্ভাব্য দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে এবং স্থানীয় নাগরিকদের কাছ থেকেও সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে।