মেটা (Meta) এবং গুগল (Google) ভারতে বিলিয়ন বিলিয়ন টাকা খরচ করে আন্ডারসি কেবল (Undersea Cable) স্থাপন করছে। মুম্বাই এবং বিশাখাপত্তনমকে ল্যান্ডিং পয়েন্ট হিসেবে ব্যবহার করে এই প্রকল্পটি আমেরিকা, ভারত, ব্রাজিল এবং দক্ষিণ আফ্রিকাকে সংযুক্ত করবে। আন্ডারসি কেবলের মাধ্যমে দ্রুত, স্থিতিশীল এবং কম-ল্যাটেন্সির ইন্টারনেট পাওয়া যাবে, যা ডেটা ট্রান্সফার, ভিডিও কলিং এবং অনলাইন স্ট্রিমিং-এর অভিজ্ঞতাকে আরও উন্নত করবে।
আন্ডারসি কেবল বিনিয়োগ: মেটা এবং গুগল ভারতে বিলিয়ন বিলিয়ন টাকা খরচ করে আন্ডারসি কেবল প্রকল্প শুরু করেছে। মুম্বাই এবং বিশাখাপত্তনমকে ল্যান্ডিং পয়েন্ট হিসেবে বেছে নিয়ে এই প্রকল্পটি আমেরিকা, ভারত, ব্রাজিল এবং দক্ষিণ আফ্রিকাকে সংযুক্ত করবে। মেটার ওয়াটারওয়ার্থ (Waterworth) প্রকল্প এবং গুগলের ব্লু-রমন (Blue-Raman) প্রকল্পের লক্ষ্য হলো দ্রুত, নির্ভরযোগ্য এবং কম ল্যাটেন্সির ইন্টারনেট সরবরাহ করা। এই উদ্যোগে সিফি টেকনোলজিস (Sify Technologies)-এর মতো স্থানীয় অংশীদারদের সাথে অংশীদারিত্ব করা হয়েছে। বিনিয়োগের উদ্দেশ্য হলো ভারত এবং বিশ্বব্যাপী ডিজিটাল নেটওয়ার্কের সক্ষমতা বৃদ্ধি করা এবং উন্নত ইন্টারনেট অভিজ্ঞতা প্রদান করা।
সমুদ্রের নিচে কেবল কেন গুরুত্বপূর্ণ
মেটা এবং গুগলের মতো প্রযুক্তি সংস্থাগুলি ভারতে বিলিয়ন বিলিয়ন টাকা বিনিয়োগ করে আন্ডারসি কেবল স্থাপন করছে। মেটার ওয়াটারওয়ার্থ প্রকল্প মুম্বাই এবং বিশাখাপত্তনমকে ল্যান্ডিং পয়েন্ট হিসেবে বেছে নিয়ে আমেরিকা, ভারত, ব্রাজিল এবং দক্ষিণ আফ্রিকাকে সংযুক্ত করে বিশ্বের দীর্ঘতম সাব-সি কেবল সিস্টেম তৈরি করছে। আনুমানিক ৫০,০০০ কিলোমিটার দীর্ঘ এই কেবলটি ২০৩০ সালের মধ্যে প্রস্তুত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
আন্ডারসি কেবল প্রযুক্তির মাধ্যমে ইন্টারনেট সংযোগ দ্রুত, কম-ল্যাটেন্সির এবং আরও নির্ভরযোগ্য হয়ে ওঠে। এই প্রযুক্তি বিশ্বব্যাপী নেটওয়ার্কগুলিকে সংযুক্ত করে এবং সোশ্যাল মিডিয়া, ভিডিও কলিং ও ডেটা স্থানান্তরের অভিজ্ঞতাকে উন্নত করে।
ভারতে বিনিয়োগ এবং প্রযুক্তি সংস্থাগুলির ভূমিকা
মেটা ভারতে সিফি টেকনোলজিসকে তাদের ল্যান্ডিং পার্টনার হিসেবে নিয়োগ করেছে, যেখানে প্রায় ৪৪.৩৪ কোটি টাকার বিনিয়োগ রয়েছে। অন্যদিকে, গুগল ৩৫৪৭ কোটি টাকার ব্লু-রমন সাবসি কেবল প্রকল্পের জন্য ভারতে অংশীদারিত্ব করেছে।
একইভাবে, রিলায়েন্স জিও (Reliance Jio) এবং ভারতী এয়ারটেল (Bharti Airtel)-এর মতো ভারতীয় টেলিকম সংস্থাগুলিও দেশে ক্রমবর্ধমান ডেটার চাহিদা মেটাতে কেবল নেটওয়ার্কে বিনিয়োগ করছে। ট্রাই (TRAI)-এর তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালে গ্লোবাল সাবমেরিন কমিউনিকেশন কেবল মার্কেট ২৭.৫৭ বিলিয়ন ডলার থেকে বেড়ে ২০২৮ সালের মধ্যে ৪০.৫৮ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছাবে।
আন্ডারসি কেবল থেকে সাধারণ ব্যবহারকারীদের সুবিধা
ব্যবহারকারীদের জন্য আন্ডারসি কেবলের সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো দ্রুত এবং স্থিতিশীল ইন্টারনেট। এটি কম ল্যাটেন্সির নেটওয়ার্ক, উন্নত ভিডিও কলিং এবং ডেটা স্থানান্তরের সুবিধা প্রদান করে। সোশ্যাল মিডিয়া, অনলাইন গেমিং এবং স্ট্রিমিং পরিষেবাগুলির অভিজ্ঞতা এখন আরও মসৃণ এবং নির্ভরযোগ্য হবে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে, ভারতে ইন্টারনেটের ব্যবহার বাড়ার সাথে সাথে এই কেবল সিস্টেমগুলি দেশ এবং বিশ্বের ডিজিটাল পরিকাঠামোকে শক্তিশালী করবে।