এনসিপি-এসপি নেতা নীলেশ লাংকে সেই আইনজীবী রাকেশ কিশোরের সাথে দেখা করেছেন, যিনি সিজেআই বিআর গাভাইয়ের উপর জুতো ছুঁড়ে মারার চেষ্টা করেছিলেন। লাংকে কিশোরকে সংবিধানের গুরুত্ব বোঝান এবং গান্ধীবাদী পদ্ধতিতে সতর্ক করেন।
মুম্বাই: মহারাষ্ট্রে এনসিপি-এসপি-র নেতা নীলেশ লাংকে বরখাস্ত হওয়া আইনজীবী রাকেশ কিশোরের সাথে দেখা করেছেন, যিনি সম্প্রতি সিজেআই বিআর গাভাইয়ের উপর জুতো ছুঁড়ে মারার চেষ্টা করেছিলেন। এই সাক্ষাতের উদ্দেশ্য ছিল কিশোরকে সংবিধানের গুরুত্ব এবং তা পালনের বিষয়টি বোঝানো।
নীলেশ লাংকে সাক্ষাতের সময় জানান যে, রাকেশ কিশোর এখনও সংবিধানকে মেনে নেননি এবং কোনো অনুশোচনাও দেখাননি। পুলিশি নিরাপত্তায় এই সাক্ষাৎটি আদালত প্রাঙ্গণের ভেতরে হয়েছিল। এই সময় কিশোরকে সংবিধানের একটি অনুলিপি এবং এর সাথে একটি ছবিও দেওয়া হয়।
কিশোরকে সংবিধান বোঝাতে গান্ধীবাদী সাক্ষাৎ
নীলেশ লাংকে জানান যে, সাক্ষাতের উদ্দেশ্য ছিল কিশোরকে সংবিধানের গুরুত্ব এবং তা পালনের বিষয়টি বোঝানো। তিনি বলেন যে, এই সাক্ষাৎ সম্পূর্ণ গান্ধীবাদী পদ্ধতিতে করা হয়েছে, যাতে আইনজীবীর মনে সংবিধানের প্রতি শ্রদ্ধা ও সচেতনতা বৃদ্ধি পায়।
লাংকে বলেন, “যে দেশ সংবিধানের ভিত্তিতে চলে, যেমন বাবা সাহেব আম্বেদকর এটি তৈরি করেছিলেন, সিজেআই বিআর গাভাই তার সংরক্ষণ করেন। যে ব্যক্তি এই ব্যবস্থার অবমাননা করেন, তাদের জন্য সংবিধানের মৌলিক ধারণা থাকা জরুরি।”
রাকেশ কিশোরের সংবিধান নিয়ে মন্তব্য
সাক্ষাতের সময় রাকেশ কিশোর স্পষ্টভাবে বলেন যে, “আমাদের জন্য সংবিধান গ্রাহ্য নয়।” এই মন্তব্য থেকে স্পষ্ট হয় যে, কিশোর এখনও সংবিধানকে মেনে নেন না। নীলেশ লাংকে এবং তার দল তাকে সংবিধানের অনুলিপি দেখিয়ে এর প্রাসঙ্গিকতা ও গুরুত্ব বোঝানোর চেষ্টা করেন।
লাংকে জোর দিয়ে বলেন যে, সংবিধানই সমাজ ও বিচার ব্যবস্থার মেরুদণ্ড এবং এটি মানা প্রতিটি নাগরিকের দায়িত্ব। এই সাক্ষাতের সময় কিশোরকে এও জানানো হয় যে, সংবিধান পালন করা গণতন্ত্রের শক্তি এবং নাগরিকদের সুরক্ষার জন্য অপরিহার্য।
দেশ ও ধর্মের ভারসাম্য জরুরি
নীলেশ লাংকে সাক্ষাতে এও জানান যে, দেশ জাতি, ধর্ম বা সম্প্রদায়ের ভিত্তিতে চলে না, বরং সংবিধান ও আইনের নিয়মাবলী পালনের উপর নির্ভরশীল। তিনি বলেন যে, ধর্মীয় জ্ঞান থাকা জরুরি, তবে রাষ্ট্রের ভিত্তি সংবিধানের উপর প্রতিষ্ঠিত।
তিনি কিশোরকে বোঝান যে, দেশে যে কোনো ধরনের সংঘাত বা অসন্তোষের সমাধান করার সঠিক উপায় হল সংবিধান এবং বিচার ব্যবস্থার প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকা, সহিংস কার্যকলাপে লিপ্ত হওয়া নয়।