আপনি যদি ভুল ITR ফর্ম দাখিল করে থাকেন, তবে সংশোধিত রিটার্ন (Revised Return) বা ITR-U (Updated Return) এর মাধ্যমে এটি সংশোধন করা যেতে পারে। সংশোধিত রিটার্ন ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫ পর্যন্ত দাখিল করা যেতে পারে, যখন ITR-U ৩১ মার্চ ২০২৯ পর্যন্ত উপলব্ধ। সময়মতো দাখিল করা এবং সঠিক ফর্ম নির্বাচন করা গুরুত্বপূর্ণ, অন্যথায় অতিরিক্ত কর বা জরিমানা হতে পারে।
সংশোধিত রিটার্ন (Revised Return): আয়কর রিটার্ন ২০২৫-এর জন্য যদি কোনো করদাতা ভুল ITR ফর্ম পূরণ করে থাকেন, তবে সংশোধিত রিটার্ন বা ITR-U এর মাধ্যমে এটি সংশোধনের বিকল্প রয়েছে। সংশোধিত রিটার্ন ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫ পর্যন্ত দাখিল করা যেতে পারে, যখন ITR-U ৩১ মার্চ ২০২৯ পর্যন্ত উপলব্ধ। ITR-U এর ক্ষেত্রে অতিরিক্ত কর প্রদান করতে হতে পারে। সঠিক ফর্ম নির্বাচন এবং সময়মতো রিটার্ন দাখিল করা গুরুত্বপূর্ণ, অন্যথায় রিফান্ড আটকে যেতে পারে বা জরিমানা হতে পারে। এটি আয়কর বিভাগের ই-ফাইলিং পোর্টাল থেকে জমা এবং ই-ভেরিফাই করা যেতে পারে।
সংশোধিত রিটার্ন (Revised Return) কী?
আপনি যদি ভুল ITR ফর্ম পূরণ করে থাকেন এবং আপনার রিটার্ন এখনও প্রসেস করা হয়নি, তাহলে আপনি সংশোধিত রিটার্ন দাখিল করতে পারেন। এর জন্য আপনাকে আয়কর বিভাগের ই-ফাইলিং পোর্টালে (incometax.gov.in) যেতে হবে। সেখানে ই-ফাইল সেকশনে গিয়ে ‘ইনকাম ট্যাক্স রিটার্ন’ নির্বাচন করুন এবং তারপর ‘রিভাইজড রিটার্ন’-এ ক্লিক করুন।
সংশোধিত রিটার্ন দাখিল করার জন্য আপনাকে আপনার মূল রিটার্নের অ্যাকনলেজমেন্ট নম্বর এবং দাখিল করার তারিখ উল্লেখ করতে হবে। এর পরে সঠিক ITR ফর্ম নির্বাচন করুন এবং সমস্ত তথ্য আপডেট করে রিটার্ন জমা দিন। রিটার্ন দাখিল করার পর এটিকে ৩০ দিনের মধ্যে ই-ভেরিফাই করা আবশ্যক। আপনি আধার OTP, নেট ব্যাঙ্কিং বা ডিজিটাল সিগনেচারের মাধ্যমে এটি ভেরিফাই করতে পারেন। আপনি যদি অনলাইন ভেরিফিকেশন না করতে চান, তবে স্বাক্ষরিত ITR-V ফর্ম সেন্ট্রালাইজড প্রসেসিং সেন্টার (CPC)-তে পাঠাতে পারেন। সংশোধিত রিটার্ন দাখিল করার শেষ তারিখ ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫।
সময়সীমা পার হয়ে গেলে ITR-U এর বিকল্প
যদি আপনি ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫ এর মধ্যে সংশোধিত রিটার্ন দাখিল করতে না পারেন, তবে চিন্তা করার দরকার নেই। আপনি ITR-U অর্থাৎ আপডেটेड রিটার্নের বিকল্প বেছে নিতে পারেন। এই সুবিধাটি মূল্যায়ন বছর ২০২৫-২৬ এর শেষ থেকে ৪৮ মাস পর্যন্ত উপলব্ধ, অর্থাৎ ৩১ মার্চ ২০২৯ পর্যন্ত।
ITR-U এর মাধ্যমে আপনি আপনার ভুল ফর্ম বা তথ্য সংশোধন করতে পারেন। তবে এক্ষেত্রে আপনাকে অতিরিক্ত কর প্রদান করতে হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, যদি তৃতীয় বছরে ITR-U দাখিল করা হয়, তবে ৬০ শতাংশ অতিরিক্ত কর লাগবে। চতুর্থ বছরে এটি ৭০ শতাংশ হয়ে যাবে।
মনে রাখবেন, ITR-U ব্যবহার করে রিফান্ড বাড়ানো বা লোকসান দেখানো যায় না। যদি আপনার আয় কমে যাওয়া পাওয়া যায় বা কর ফাঁকির সন্দেহ হয়, তবে ১০০ শতাংশ থেকে ৩০০ শতাংশ পর্যন্ত জরিমানাও হতে পারে। তাই সঠিক ফর্ম নির্বাচন এবং সময়মতো রিটার্ন দাখিল করাই সবচেয়ে নিরাপদ পদক্ষেপ।
ITR দাখিল করার সাধারণ ভুল
অনেক করদাতার একটি সাধারণ ভুল হলো আয়ের উৎস বা ডিডাকশন (deduction) সম্পর্কে সঠিক তথ্য না দেওয়া। মাঝে মাঝে লোকেরা ভুল ITR ফর্ম নির্বাচন করে। যেমন, আপনি যদি ব্যবসায়ী হন এবং ITR-1 ফর্ম পূরণ করেন, যেখানে ITR-3 ফর্ম পূরণ করা উচিত, তবে এটি একটি ভুল রিটার্ন হবে।
এছাড়াও, বিবরণে টাইপিংয়ের ভুল, ডিডাকশনের ভুল দাবি বা PAN বিবরণে ত্রুটিও একটি সাধারণ সমস্যা। এই ভুলগুলোর কারণে রিফান্ডে বিলম্ব, নোটিশ বা সুদের উপর প্রভাব পড়তে পারে।
ITR-U: ডেডলাইনের পরের বিকল্প
ট্যাক্স বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করদাতাদের রিটার্ন দাখিল করার সময় সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। প্রথমে সঠিক ITR ফর্ম নির্বাচন করুন। যদি কোনো ভুল হয়ে থাকে, তবে সময়মতো সংশোধিত রিটার্ন বা ITR-U এর মাধ্যমে এটি সংশোধন করুন। ই-ফাইলিং পোর্টালে লগইন করে আপনি যে কোনও সময় আপনার রিটার্নের স্ট্যাটাস চেক করতে পারেন।
সংশোধিত রিটার্ন দাখিল করতে বেশি সময় লাগে না এবং এই প্রক্রিয়াটি সম্পূর্ণ অনলাইন। ITR-U বিকল্পটি তখনই কাজে আসে যখন সংশোধিত রিটার্নের ডেডলাইন পেরিয়ে যায়।
ডিজিটাল সুবিধা এবং ই-ফাইলিং
ই-ফাইলিং পোর্টাল (incometax.gov.in) করদাতাদের জন্য অনেক ডিজিটাল সুবিধা প্রদান করে। এর মধ্যে ফর্ম নির্বাচন, বিস্তারিত পূরণ, জমা দেওয়া এবং যাচাই করার সুবিধা অন্তর্ভুক্ত। আধার OTP, নেট ব্যাঙ্কিং বা ডিজিটাল সিগনেচারের মাধ্যমে রিটার্ন যাচাই করা যেতে পারে।
সেন্ট্রালাইজড প্রসেসিং সেন্টার (CPC)-তে স্বাক্ষরিত ITR-V পাঠিয়েও ভেরিফিকেশন করা যেতে পারে। ই-ফাইলিং শুধুমাত্র সময় বাঁচায় না, প্রক্রিয়াটিকে সম্পূর্ণ স্বচ্ছ এবং নিরাপদও করে তোলে।