ইউপি-র মুজাফফরনগরে এক 37 বছর বয়সী মহিলা তার প্রতিবেশী মুসলিম যুবকের সাথে পালিয়ে গেছেন, তার চার সন্তানকে স্বামীর কাছে ফেলে রেখে। মহিলাটির প্রেমিক এর আগে দুবার বিবাহিত ছিলেন। ঘটনার 21 দিন পরেও মহিলা এবং যুবকটির কোনো খোঁজ মেলেনি, এবং পুলিশ তাদের সন্ধানে রয়েছে।
ইউপি: মুজাফফরনগরের মথুরা গ্রামে 37 বছর বয়সী মহিলা ঋতু কশ্যপ 6ই সেপ্টেম্বর প্রতিবেশী মুসলিম যুবক জাবিরের সাথে পালিয়ে গেছেন। মহিলাটি তার চার সন্তানকে স্বামী রাজকুমারের কাছে ফেলে রেখে গেছেন। জাবির এর আগে দুবার বিবাহিত ছিলেন। পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে মামলা নথিভুক্ত করে মহিলা এবং তার প্রেমিকের সন্ধান শুরু করেছে, কিন্তু 21 দিন পেরিয়ে গেলেও কোনো সূত্র মেলেনি। ঘটনার পর গ্রামে একটি সামাজিক পঞ্চায়েত অনুষ্ঠিত হয় এবং পুলিশকে মহিলাটিকে উদ্ধার করার জন্য সময় দেওয়া হয়।
ঘটনার বিবরণ
চরথাওয়াল থানা এলাকার মথুরা গ্রামের বাসিন্দা রাজকুমার 6ই সেপ্টেম্বর পুলিশকে অভিযোগ করেন যে তার স্ত্রী ঋতু কশ্যপ প্রতিবেশী যুবক জাবিরের প্ররোচনায় বাড়ি থেকে পালিয়ে গেছেন। তিনি জানান যে তার স্ত্রী এবং জাবিরের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল এবং এর ফলেই তিনি তার সন্তানদের ফেলে চলে গেছেন।
পলাতক মহিলার পরিবার
ঋতু কশ্যপের চার সন্তান রয়েছে। পালিয়ে যাওয়ার পর সন্তানদের দেখাশোনার সম্পূর্ণ দায়িত্ব তার স্বামী রাজকুমার পালন করছেন। সন্তানদের পাশাপাশি পুরো পরিবারে উদ্বেগের পরিবেশ বিরাজ করছে। আত্মীয়স্বজন এবং স্থানীয় পুলিশ মহিলাটিকে খুঁজে বের করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো সাফল্য মেলেনি।
তথ্য অনুযায়ী, জাবির এর আগেও দুবার বিয়ে করেছেন। তার কোনো সন্তান নেই। এই বিষয়টি মানুষের মনে বিস্ময় এবং প্রশ্ন তৈরি করছে যে, যে ব্যক্তির আগে থেকেই দুবার বিয়ে হয়েছে, তার প্রতি মহিলাটি কেন আকৃষ্ট হলেন। জাবির এবং ঋতু পালিয়ে যাওয়ায় আশেপাশের মানুষ হতবাক এবং আলোচনায় মগ্ন।
পঞ্চায়েতের আয়োজন
মহিলাটি পালিয়ে যাওয়ার ঘটনার পর মথুরা গ্রামে স্বামী যশবীর জি মহারাজ পরিস্থিতি পর্যালোচনা করার জন্য একটি পঞ্চায়েত আহ্বান করেন। পঞ্চায়েতে মহিলাটিকে উদ্ধার করার জন্য পুলিশকে এক সপ্তাহের সময় দেওয়া হয়। এর পাশাপাশি ঘোষণা করা হয় যে, গ্রামের 15 থেকে 20 কিলোমিটারের মধ্যে বসবাসকারী মুসলিম পরিবারগুলিকে বর্জন করা হবে এবং তাদের সাথে কোনো ধরনের সম্পর্ক রাখা হবে না।
পুলিশের পদক্ষেপ
সিও সদর রবিশঙ্কর মিশ্র জানান যে, মহিলার স্বামী কর্তৃক দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে চরথাওয়াল থানায় তাৎক্ষণিকভাবে মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছে। মহিলাটিকে উদ্ধার করার জন্য পুলিশ একাধিক দল গঠন করেছে। তিনি বলেন যে মহিলাটি তার সন্তানদের ফেলে রেখে গেছে এবং পুলিশ তাকে খুঁজে বের করতে সম্ভাব্য সবরকম চেষ্টা করছে।
গ্রামে পরিবেশ
মহিলাটি পালিয়ে যাওয়ার পর মথুরা গ্রামে উত্তেজনা বিরাজ করছে। স্থানীয় মানুষ এই ঘটনা নিয়ে আলোচনা করছেন। অনেকে এই ঘটনাকে গুরুতর মনে করছেন এবং পলাতক মহিলা ও তার প্রেমিকের সন্ধানে জড়িত রয়েছেন। পঞ্চায়েত এবং পুলিশের সহযোগিতায় এই প্রচেষ্টা চলছে যাতে মহিলাটিকে দ্রুত উদ্ধার করা যায়।
ঋতু কশ্যপের চার সন্তান তাদের বাবা রাজকুমারের কাছে রয়েছে। সন্তানদের দেখাশোনার সম্পূর্ণ দায়িত্ব এখন তাদের বাবার ওপর। পরিবারের অন্যান্য সদস্যরাও সন্তানদের পাশে দাঁড়িয়েছেন এবং তাদের নিরাপত্তা ও লালন-পালনের ব্যবস্থা করছেন।
পালিয়ে যাওয়ার কারণ
তথ্য অনুযায়ী, ঋতু কশ্যপ এবং জাবিরের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। এই কারণেই মহিলাটি তার পরিবার ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। এই সময়ে সন্তানদের ফেলে যাওয়া এবং তাদের দেখাশোনার দায়িত্ব স্বামীর উপর ছেড়ে দেওয়াও ঘটনার একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
আইন ও পদক্ষেপ
পুলিশ এই মামলায় সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা নথিভুক্ত করে তল্লাশি শুরু করেছে। পুলিশ কর্মকর্তারা এই মামলার উপর নিয়মিত নজর রাখছেন এবং পলাতক দম্পতিকে খুঁজে বের করার জন্য বিভিন্ন স্থানে তল্লাশি চালাচ্ছেন। পঞ্চায়েতের সিদ্ধান্ত এবং পুলিশের পদক্ষেপের উদ্দেশ্য হল মহিলা এবং তার প্রেমিককে খুঁজে বের করে নিরাপদে বাড়িতে ফিরিয়ে আনা।