পাকিস্তান জানিয়েছে যে আমেরিকার সাহায্যে ভারত-পাক যুদ্ধবিরতি হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ এবং ফিল্ড মার্শাল অসীম মুনির ট্রাম্পের ভূমিকার প্রশংসা করেছেন, যদিও ভারত এটিকে ভিত্তিহীন বলেছে।
World Update: সম্প্রতি পাকিস্তান স্বীকার করেছে যে অপারেশন সিঁদুর চলাকালীন ভারতের সাথে যুদ্ধবিরতি কার্যকর করতে আমেরিকার সাহায্য ছিল। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ এবং ফিল্ড মার্শাল সৈয়দ অসীম মুনির হোয়াইট হাউসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে দেখা করেছেন। এই সময় পাকিস্তান ট্রাম্পের নেতৃত্ব এবং যুদ্ধবিরতিতে তাঁর ভূমিকার প্রশংসা করেছে।
ওভাল অফিসে বৈঠক
পাকিস্তানের বিবৃতি অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ এবং ফিল্ড মার্শাল সৈয়দ অসীম মুনির ওভাল অফিসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে আলোচনা করেছেন। এই বৈঠকে পাকিস্তানের পক্ষ থেকে ট্রাম্পের সাহসী ও সিদ্ধান্তমূলক নেতৃত্বের প্রশংসা করা হয়েছে, যা ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। পাকিস্তানি নেতারা গাজায় সংঘাত শেষ করতে এবং মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠায় ট্রাম্পের অবদানেরও প্রশংসা করেছেন।
পাকিস্তান ট্রাম্পকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে
বৈঠকের সময় পাকিস্তান দ্বিপাক্ষিক অংশীদারিত্ব বাড়ানোর বিষয়ে আলোচনা করেছে। প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ পাকিস্তানের প্রধান ক্ষেত্রগুলিতে মার্কিন বিনিয়োগ আনার আহ্বান জানিয়েছেন এবং নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা সহযোগিতা আরও জোরদার করার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিয়েছেন।
এছাড়াও, তিনি ট্রাম্পকে পাকিস্তানে আসার জন্য একটি আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণ জানিয়েছেন যাতে উভয় দেশের মধ্যে সহযোগিতা এবং বিনিয়োগ বাড়ানো যায়।
ভারত ট্রাম্পের দাবি অস্বীকার করেছে
তবে, ভারত সবসময় এই দাবি অস্বীকার করেছে যে জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগামে এপ্রিল মাসে সন্ত্রাসী হামলার পর পাকিস্তানে সন্ত্রাসবাদ এবং সামরিক অবকাঠামোতে বিমান হামলার পরে যুদ্ধবিরতি কার্যকর করতে ট্রাম্পের হাত ছিল। যুদ্ধবিরতির প্রথম দিন থেকেই ভারত স্পষ্ট করে দিয়েছে যে পাকিস্তানের শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তারাই ছিলেন যারা শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য তাদের ভারতীয় প্রতিপক্ষের সাথে যোগাযোগ করেছিলেন।
ট্রাম্পের দাবি
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প পাকিস্তানের নেতাদের সুরে সুর মিলিয়ে দাবি করেছেন যে তাঁর নেতৃত্বের কারণে ভারত ও পাকিস্তান যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে এবং উত্তেজনা বাড়তে দেননি। ট্রাম্প এটিকে তাঁর নিজস্ব উদ্যোগ এবং সাহসী ভূমিকা হিসেবে উপস্থাপন করেছেন, যদিও ভারত এটিকে সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলেছে।
দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা এবং বিনিয়োগের দিকনির্দেশনা
বৈঠকের সময় পাকিস্তান মার্কিন বিনিয়োগ আকর্ষণে জোর দিয়েছে। নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা সহযোগিতা বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তাও মূল আলোচনার বিষয় ছিল। পাকিস্তান বিশেষভাবে এই বার্তা দিয়েছে যে মার্কিন কোম্পানি এবং বিনিয়োগকারীদের জন্য দেশে সুযোগ রয়েছে এবং তারা শান্তি ও নিরাপত্তার পরিবেশে বিনিয়োগ করতে পারে।