মহীশূরের দশেরা মেলায় বেলুন বিক্রি করতে আসা এক নাবালিকাকে ধর্ষণ ও হত্যার চাঞ্চল্যকর ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। পুলিশ চার মাস আগে জেল থেকে মুক্তি পাওয়া অভিযুক্ত কার্তিককে চামরাজনগর থেকে গ্রেপ্তার করেছে।
মহীশূর: কর্ণাটকের মহীশূরে দশেরা মেলার সময় বেলুন বিক্রি করতে আসা এক নাবালিকা শিশুর সঙ্গে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনা সামনে এসেছে। পুলিশ অভিযুক্ত কার্তিককে চামরাজনগরের কোল্লেগাল থেকে গ্রেপ্তার করেছে। ঘটনাটি ঘটে যখন শিশুটির মা ঘুম থেকে উঠে দেখেন যে তার মেয়ে নিখোঁজ, যার পরে ৫০ মিটার দূরে তার মৃতদেহ পাওয়া যায়। অভিযুক্ত পূর্বেও যৌন অপরাধের মামলায় জেলে গিয়েছিল এবং মাত্র চার মাস আগে জেল থেকে বেরিয়ে এসেছিল। পুলিশ সিসিটিভি ফুটেজ এবং প্রযুক্তিগত প্রমাণের সাহায্যে অভিযুক্তের কাছে পৌঁছেছে।
সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়ল অভিযুক্ত
পুলিশ মামলার তদন্তের সময় এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে, যেখানে অভিযুক্ত কার্তিককে শিশুটিকে নিয়ে যেতে দেখা গেছে। প্রযুক্তিগত প্রমাণের সাহায্যে অভিযুক্তের অবস্থান ট্র্যাক করা হয়েছিল। পুলিশ জানিয়েছে যে ঘটনার পর কার্তিক বাসে করে সেখান থেকে পালিয়ে গিয়েছিল। তাকে চামরাজনগর জেলার কোল্লেগাল বাসস্ট্যান্ড থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে অভিযুক্তের গ্রেপ্তারি মামলার পরবর্তী তদন্তে সাহায্য করবে এবং এটি স্পষ্ট হবে যে সে এই অপরাধ পরিকল্পিতভাবে করেছে নাকি সুযোগের সদ্ব্যবহার করেছে।
অভিযুক্তের পূর্ববর্তী অপরাধমূলক রেকর্ড
পুলিশ জানিয়েছে যে কার্তিক এর আগেও যৌন অপরাধের মামলায় জেলে গিয়েছিল। মাণ্ড্যা জেলায় একজন মহিলাকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে তার দুই বছরের কারাদণ্ড হয়েছিল। সে মাত্র চার মাস আগে জেল থেকে বেরিয়ে এসেছিল।
পুলিশ অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে এবং ঘটনার সমস্ত পরিস্থিতি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এর অধীনে এটি দেখা হবে যে অভিযুক্ত এই অপরাধ একা করেছে নাকি অন্য কারো সাথে যোগসাজশ করে করেছে।
পুলিশের তদন্ত কার্যক্রম
এই ঘটনা দশেরার মতো একটি বড় মেলায় ঘটেছে, যেখানে পরিবার এবং শিশুরা আনন্দ করতে আসে। এই ঘটনা স্থানীয় প্রশাসন এবং পুলিশ উভয়ের মধ্যেই নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে গুরুতর উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। পুলিশ এই ধরনের ঘটনা রোধ করতে এলাকায় নিবিড় তল্লাশি ও টহল বাড়িয়েছে।
স্থানীয় জনগণ এবং মেলায় আসা পরিবারগুলির মধ্যে ভয় বিরাজ করছে। পুলিশ পরিবারের সদস্যদের সাথেও নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা শুরু করেছে এবং শিশুদের পর্যবেক্ষণে বিশেষ মনোযোগ দেওয়ার আবেদন জানিয়েছে।