Kali Puja 2025: উত্তর ২৪ পরগনার নৈহাটিতে প্রতি বছর কালীপুজোর রাতে লক্ষ লক্ষ ভক্ত ভিড় করেন বড়মা দর্শনে। এ বছরও তার ব্যতিক্রম নয়। নৈহাটির বড়মার পুজো শুরু হবে ১৭ অক্টোবর মধ্যরাতে, আর ভোগ ও প্রসাদের জন্য খুলবে একাধিক কাউন্টার। সোমবার নৈহাটি স্টেশন ও সংলগ্ন এলাকা ঘুরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখলেন বারাকপুরের পুলিশ কমিশনার মুরলীধর শর্মা।
পুজোর সময় ও বিশেষ আয়োজন
জানা গিয়েছে, এবারের কালীপুজোয় ঠিক রাত ১২টায় শুরু হবে বড়মার পুজো। রাত আড়াইটায় অনুষ্ঠিত হবে অঞ্জলি। মন্দির কমিটির তরফে জানানো হয়েছে, ভক্তরা চাইলে সেই সময় অঞ্জলিতে অংশ নিতে পারবেন। প্রতি বছরের মতো এ বছরও মন্দির প্রাঙ্গণে বিশাল ভোগের আয়োজন করা হয়েছে।ভোগ প্রসাদের জন্য থাকবে দু’টি কাউন্টার এবং সন্দেশ ও প্রসাদের জন্য আরও দু’টি আলাদা কাউন্টার। ১৭ অক্টোবর থেকে তিনটি কাউন্টার খুলবে, আর ২০ অক্টোবর—অর্থাৎ কালীপুজোর দিন—চারটি কাউন্টার চালু থাকবে।
নিরাপত্তা ও জননিয়ন্ত্রণে কড়া ব্যবস্থা
পুজোর সময় লক্ষাধিক ভক্তের ভিড় সামলাতে প্রশাসন ইতিমধ্যেই তৎপর। সোমবার বারাকপুর পুলিশ কমিশনার মুরলীধর শর্মা পরিদর্শনে যান নৈহাটি রেলস্টেশন ও আশপাশের এলাকায়। সঙ্গে ছিলেন নৈহাটি পুরসভার চেয়ারম্যান অশোক চট্টোপাধ্যায় ও রেল কর্তৃপক্ষ।তিনি জানান, স্টেশনে ‘ওয়ানওয়ে সার্কুলেশন’ ব্যবস্থা চালু থাকবে। রেলযাত্রীরা সাবওয়ে ব্যবহার করবেন, এবং দক্ষিণদিকের ফুটব্রিজ দিয়ে ট্রেনে উঠতে হবে। ওই দিনগুলিতে ১ নম্বর প্ল্যাটফর্ম থেকে কোনও লোকাল ট্রেন ছাড়বে না। অতিরিক্ত ট্রেন চালানোর আবেদনও জানানো হয়েছে।
প্রস্তুতিতে ব্যস্ত মণ্ডপ ও স্বেচ্ছাসেবীরা
নৈহাটির বড় কালীপুজো সমিতির সম্পাদক তাপস ভট্টাচার্যের বক্তব্য, এ বছর তিনশোরও বেশি স্বেচ্ছাসেবক নিয়োজিত থাকবেন। ৮০টিরও বেশি সিসিটিভি ক্যামেরা নজরদারি করবে গোটা এলাকা। গঙ্গার ঘাট, মন্দির এবং স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় এলইডি স্ক্রিনও বসানো হচ্ছে।অন্যদিকে, অরবিন্দ রোডে চলছে একুশ হাত বড়মার প্রতিমা তৈরির শেষ পর্যায়ের কাজ। প্রতিদিনই প্রতিমা দর্শনে ভিড় জমাচ্ছেন সাধারণ মানুষ।
নৈহাটি: কালীপুজো আসন্ন। উত্তর ২৪ পরগনার নৈহাটির বড়মার পুজো ঘিরে ভক্তদের উৎসাহ তুঙ্গে। এ বছর অমাবস্যার রাতে রাত ১২টায় শুরু হবে পুজো। ১৭ অক্টোবর থেকে খুলবে প্রসাদ বিতরণের কাউন্টার। পুজো উপলক্ষে নিরাপত্তায় কড়া নজর প্রশাসনের।