পৌরাণিক কাহিনী অনুসারে, ভগবান শিবের ক্রোধ থেকে উৎপন্ন কীর্তিমুখ সময়ের সাথে সাথে নজর বাট্টুর প্রতীক হয়ে ওঠে। বিশ্বাস করা হয় যে এর আকৃতি নেতিবাচক শক্তি এবং খারাপ নজর থেকে রক্ষা করে। আজও এটি মন্দির এবং বাড়ির দেয়ালে আস্থা ও সুরক্ষার প্রতীক হিসাবে স্থাপিত হয়।
নজর বাট্টুর উৎপত্তি: পৌরাণিক কাহিনী বলে যে যখন অহংকারী অসুর জলন্ধর ভগবান শিবকে যুদ্ধের জন্য চ্যালেঞ্জ জানায়, তখন শিবের ক্রোধ থেকে অগ্নি উৎপন্ন হয় এবং একটি ভয়ানক জীবের জন্ম হয়, যাকে পরে "কীর্তিমুখ" নাম দেওয়া হয়। বিশ্বাস করা হয় যে এই আকৃতিটি নেতিবাচক শক্তিকে গ্রাস করে এবং ভক্তদের মধ্যে থাকা লোভ ও খারাপ প্রবণতাগুলিকে ধ্বংস করে। এই কারণেই নজর বাট্টু আজও মন্দির এবং বাড়ির দেয়ালে সুরক্ষা এবং সমৃদ্ধির প্রতীক হিসাবে বিবেচিত হয়।
শিবের ক্রোধ থেকে উৎপন্ন এক अद्भुत জীব
পুরাণ অনুসারে, অনেক আগে জলন্ধর নামে এক শক্তিশালী এবং অহংকারী অসুর ছিল। সে এতটাই শক্তিশালী হয়ে ওঠে যে দেবতাদেরও চ্যালেঞ্জ জানায়। তার উদ্দেশ্য ছিল মাতা পার্বতীকে লাভ করা এবং এই লোভে সে ভগবান শিবকে যুদ্ধের জন্য আহ্বান জানায়। জলন্ধর তার দূত রাহু-কে কৈলাস পর্বতে পাঠায়, যেখানে সে শিবকে চ্যালেঞ্জ জানায়।
রাহুর কথা শুনে ভগবান শিব অত্যন্ত ক্রুদ্ধ হন। তাঁর ক্রোধ থেকে একটি অগ্নি নির্গত হয় এবং তা থেকে এক ভয়ংকর জীবের জন্ম হয়। এই জীবটি সম্পূর্ণরূপে মানুষও ছিল না, আবার অসুরও ছিল না। তার রূপ ছিল অত্যন্ত ভয়ংকর এবং তার প্রবণতা ছিল সবকিছু গ্রাস করা।
এই জীব শিবকে জিজ্ঞাসা করল – আমি কাকে খাব? উত্তরে ভগবান শিব আদেশ দিলেন যে সে যেন নিজেকেই খেয়ে ফেলে। শিবের আদেশ মেনে সেই জীব নিজের শরীর গিলতে শুরু করল। এরপর সে আবার জিজ্ঞাসা করল – এখন আমি কাকে খাব? তার বাধ্যতা ও ভক্তি দেখে শিব প্রসন্ন হলেন এবং তাকে কীর্তিমুখ নাম দিয়ে শিবলোকের রক্ষক বানালেন।
নজর বাট্টুর সাথে যুক্ত কীর্তিমুখ
বিশ্বাস করা হয় যে এই কীর্তিমুখ সময়ের সাথে সাথে নজর বাট্টু হিসাবে জনপ্রিয় হয়েছে। কীর্তিমুখের ছবি মন্দিরের দরজায় এবং বাড়ির দেয়ালে লাগানো শুরু হয়। এর উদ্দেশ্য কেবল সাজসজ্জা নয়, বরং খারাপ নজর ও নেতিবাচক শক্তিকে দূরে রাখা।
বলা হয় যে যেখানেই কীর্তিমুখের মূর্তি লাগানো হয়, সেখানে কোনো প্রকার নেতিবাচক শক্তি প্রবেশ করতে পারে না। এই কারণেই নজর বাট্টুর ঐতিহ্য আজও ততটাই জীবিত, যতটা কয়েক শতাব্দী আগে ছিল।
সমৃদ্ধি ও বৈভবের প্রতীক
শিবপুরাণ ও অন্যান্য ধর্মীয় গ্রন্থ অনুসারে, ভগবান শিব কীর্তিমুখকে আশীর্বাদ করেছিলেন যে সে প্রতিটি মানুষের ভেতরের লোভ, ছল, কপটতা ও খারাপ প্রবৃত্তিগুলিকে ধ্বংস করবে। এই কারণে কীর্তিমুখকে বৈভব ও সমৃদ্ধির প্রতীক হিসেবে ধরা হয়।
ধর্মীয় বিশ্বাস অনুসারে, যে ভক্তই ভগবান শিবের পূজা-অর্চনা করার জন্য এগিয়ে আসবে, কীর্তিমুখ প্রথমে তার খারাপ ভাবনাগুলোকে समाप्त করে দেবে। এই কারণেই মন্দিরের প্রবেশদ্বারে প্রায়ই কীর্তিমুখের ছবি अंकित করা থাকে।
আজও कायम আছে পরম্পরা
সময়ের সাথে সাথে এই পরম্পরা लोगों की आस्था से जुड़ गई और কীর্তিমুখের ছবি নজর বাট্টু রূপে घर-घर में स्थापित होने लगी। আজও ग्रामीण এলাকা থেকে শহর পর্যন্ত, বাড়ির দেয়ালে और दुकानों पर यह आकृति आमतौर पर देखी जा सकती है।
আস্থা ও ঐতিহ্যের সাথে জড়িত এই নজর বাট্টু শুধুমাত্র একটি প্রতীক নয়, বরং বিশ্বাস ও সুরক্ষার পরিচায়ক। এই কাহিনী আমাদের এও বার্তা দেয় যে আসল সমৃদ্ধি तभी संभव है, যখন আমরা আমাদের ভিতরের नकारात्मक विचारों और भावनाओं को समाप्त कर सकारात्मक मार्ग पर आगे बढ़ें।