প্যারিসের লুভর মিউজিয়াম থেকে নেপোলিয়ন ও তাঁর রানীর গয়না চুরি। অ্যাপোলো গ্যালারিতে ঘটা এই ঘটনাটি সাত মিনিটের মধ্যে সম্পন্ন হয়। মিউজিয়াম বন্ধ করে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে এবং পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।
বিশ্ব সংবাদ: প্যারিসে অবস্থিত বিশ্বের অন্যতম বিখ্যাত মিউজিয়াম, লুভরে রবিবার একটি বড় চুরির ঘটনা ঘটেছে। অ্যাপোলো গ্যালারি থেকে চুরি হয়েছে, যার মধ্যে নেপোলিয়ন ও তাঁর রানীর মূল্যবান গয়না ছিল। এই চুরির ঘটনাটি মাত্র সাত মিনিটের মধ্যে সম্পন্ন হয়, যার পর মিউজিয়ামটিকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ফ্রান্সের সংস্কৃতি মন্ত্রী রচিদা দাত্তি জানিয়েছেন যে কেউ আহত হননি এবং মিউজিয়ামের কর্মীরা ও পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে গেছেন।
কীভাবে চোরেরা ঘটনার अंजाम দিল
পুলিশ সূত্র অনুযায়ী, চোরেরা এই ঘটনা ঘটানোর জন্য স্কুটার এবং ছোট চেইনস ব্যবহার করেছিল। তারা অ্যাপোলো গ্যালারিতে পৌঁছাতে মিউজিয়ামের লিফট ব্যবহার করে এবং জানালা ভেঙে ঘরে প্রবেশ করে। চুরি যাওয়া গয়নার সংখ্যা কথিত মতে নয়টি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লরেন্ট নুনেজ নিশ্চিত করেছেন যে চুরি হওয়া গয়নার মূল্য কোটি টাকা হতে পারে, তবে এর পূর্ণ অনুমান এখনও করা হচ্ছে।
লুভর মিউজিয়ামের নিরাপত্তা
লুভর বিশ্বের সবচেয়ে বেশি পরিদর্শন করা মিউজিয়াম, যেখানে প্রতিদিন প্রায় ৩০,০০০ মানুষ আসে। মিউজিয়ামে ৩৩,০০০টিরও বেশি শিল্পকর্ম রয়েছে, যার মধ্যে মূর্তি, চিত্রকর্ম এবং প্রাচীন জিনিসপত্র অন্তর্ভুক্ত। চুরি হওয়া অ্যাপোলো গ্যালারি ফ্রান্সের রাজকীয় রত্নগুলির সংগ্রহ রাখত। লুভর মিউজিয়ামের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আগেও আলোচনার বিষয় ছিল, কিন্তু এই ধরনের দ্রুত চুরি উদ্বেগ বাড়িয়ে দিয়েছে।
ইতিহাসের বড় চুরি
লুভর মিউজিয়ামে এটি প্রথম বড় চুরি নয়। সবচেয়ে বিখ্যাত চুরিটি ১৯১১ সালে হয়েছিল, যখন লিওনার্দো দা ভিঞ্চির চিত্রকর্ম মোনালিসা চুরি হয়ে গিয়েছিল। এই চুরিটি একজন প্রাক্তন কর্মচারী করেছিল এবং দু'বছর পর চিত্রকর্মটি উদ্ধার করা হয়েছিল। এছাড়াও, ১৯৮৩ সালে রেনেসাঁ যুগের দুটি বর্ম চুরি হয়েছিল, যা ২০২১ সালে পাওয়া যায়। এখন নেপোলিয়নের গয়না চুরি মিউজিয়ামের ইতিহাসে আরেকটি কালো অধ্যায় যুক্ত করেছে।
মিউজিয়ামের বাইরে নিরাপত্তা জোরদার
চুরির পর লুভর মিউজিয়ামের বাইরে ব্যারিকেড বসানো হয় এবং মিউজিয়াম খোলার অপেক্ষায় থাকা লোকজনকে বাইরে আটকে রাখা হয়। আশেপাশের এলাকায় ট্র্যাফিক নিয়ন্ত্রণ করা হয়। ফ্রান্সের পুলিশ এবং সরকারি আইনজীবীদের দল এই ঘটনার গভীর তদন্ত করছে।