ভারত সরকার অনলাইন মানি গেমিংয়ের আসক্তি এবং আর্থিক ক্ষতি রুখতে বড় পদক্ষেপ নিয়েছে। লোকসভায় পাশ হওয়া অনলাইন গেমিং বিল ২০২৫-এর উদ্দেশ্য ৪৫ কোটিরও বেশি ভারতীয়কে রিয়েল মানি গেমস থেকে বাঁচানো। নতুন আইনের অধীনে কোম্পানি ও বিজ্ঞাপনদাতাদের ওপর কড়া জরিমানা এবং জেলের বিধান রাখা হয়েছে।
Online Gaming Bill 2025: লোকসভা ২০২৫ সালে অনলাইন মানি গেমিংয়ের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করার জন্য কড়া বিল পাশ করেছে। সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, প্রতি বছর ভারতীয় খেলোয়াড়রা প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা এই ধরনের খেলায় হারায়। এই আইন মূলত ৪৫ কোটির বেশি মানুষকে রিয়েল মানি গেমসের আসক্তি থেকে বাঁচানোর জন্য আনা হয়েছে। বিলের অধীনে অনলাইন জুয়া এবং মানি গেমসের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে, যেখানে ই-স্পোর্টস এবং সোশ্যাল গেমিংকে উৎসাহিত করার দিকে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
মানি গেমিং-এর উপর নিষেধাজ্ঞা
সরকার স্পষ্ট করেছে যে এই বিলের উদ্দেশ্য শুধুমাত্র রিয়েল মানি গেমিং এবং অনলাইন জুয়া বন্ধ করা। এর পাশাপাশি ই-স্পোর্টস এবং সোশ্যাল গেমিংয়ের মতো ইতিবাচক এবং দক্ষতা-ভিত্তিক ডিজিটাল গেমগুলোকে উৎসাহিত করার পরিকল্পনা রয়েছে। সরকারের মতে, নিষেধাজ্ঞা জারি করার ফলে কর রাজস্ব কম হলেও, মানুষের আর্থিক সুরক্ষা এবং সামাজিক কল্যাণ বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
বিশেষজ্ঞদের মতে, যদি এই আইন কার্যকরভাবে প্রয়োগ করা যায়, তাহলে এটি যুবকদের আর্থিক ক্ষতি এবং গেমিংয়ের আসক্তি থেকে বাঁচাতে সহায়ক হবে।
নিয়ম ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা
নতুন আইনের অধীনে অনলাইন মানি গেমিং কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে মূলত রাজ্য সরকারগুলো ব্যবস্থা নেবে। যদি কোনো কোম্পানি অবৈধভাবে মানি গেমিং পরিষেবা প্রদান করতে দেখা যায়, তাহলে তার উপর ১ কোটি টাকা পর্যন্ত জরিমানা, তিন বছরের জেল বা উভয়ই হতে পারে। একইসঙ্গে, এই ধরনের গেমসের বিজ্ঞাপনদাতাদেরও রেহাই দেওয়া হবে না। বিজ্ঞাপনদাতাদের উপর ৫০ লক্ষ টাকা জরিমানা বা দুই বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড বা উভয়ই হতে পারে।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, সরকার গত সাড়ে তিন বছর ধরে এটি বন্ধ করার চেষ্টা করছিল। জিএসটি এবং অন্যান্য কর ব্যবস্থার মাধ্যমেও পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল, কিন্তু কোম্পানি এবং খেলোয়াড়রা নিয়মগুলি উপেক্ষা করে গেছে। প্রচুর অভিযোগ আসার পরে এই বিলের খসড়া তৈরি করা হয়েছে এবং এখন এটিকে কঠোরভাবে প্রয়োগ করার প্রস্তুতি চলছে।