সৈয়ম আইয়ুবের অলরাউন্ড নৈপুণ্যে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে পাকিস্তানের জয়

সৈয়ম আইয়ুবের অলরাউন্ড নৈপুণ্যে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে পাকিস্তানের জয়

সৈয়ম আইয়ুবের চমৎকার অলরাউন্ড পারফরম্যান্সের সুবাদে পাকিস্তান ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে তিনটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচের সিরিজের প্রথমটিতে ১৪ রানে জয়লাভ করেছে। লডারহিলে অনুষ্ঠিত এই রোমাঞ্চকর ম্যাচে পাকিস্তান প্রথমে ব্যাট করে ২০ ওভারে ৬ উইকেটের বিনিময়ে ১৭৮ রান তোলে।

WI vs PAK: ওয়েস্ট ইন্ডিজের খারাপ ফর্মের এখনও পর্যন্ত কোনো উন্নতি হয়নি। অস্ট্রেলিয়ার কাছে হারের পর এবার তারা পাকিস্তানের বিরুদ্ধেও টি-টোয়েন্টি সিরিজের শুরুতে বড় ধাক্কা খেল। লডারহিলে অনুষ্ঠিত প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে পাকিস্তান ১৪ রানে জয়লাভ করে তিন ম্যাচের সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে গেল।

পাকিস্তানের ইনিংস: ১৭৮/৬ এর শক্তিশালী স্কোর

প্রথমে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তান দল ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৭৮ রান করে। ওপেনিং ব্যাটসম্যান সৈয়ম আইয়ুব দুর্দান্ত ৫৭ রানের (৩৮ বল, ৫টি চার, ২টি ছয়) ইনিংস খেলেন এবং দলকে একটি শক্তিশালী শুরু এনে দেন। এছাড়াও ফখর জামান (২৮ রান), মহম্মদ রিজওয়ান (২২ রান) এবং ইফতিখার আহমেদ (২০ রান) প্রয়োজনীয় যোগদান করেন।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের তরফে জেসন হোল্ডার সবচেয়ে সফল বোলার ছিলেন। তিনি ৪ ওভারে ২৯ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন। যদিও, বাকি বোলাররা পাকিস্তানের রানের গতি থামাতে ব্যর্থ হন।

অলরাউন্ডার সৈয়ম আইয়ুবের দাপট

এই ম্যাচের সবচেয়ে বড় নায়ক ছিলেন সৈয়ম আইয়ুব। তিনি ব্যাটিংয়ে অর্ধশতক করার পর বোলিংয়েও কামাল দেখিয়েছেন এবং ২ উইকেট নিয়েছেন। ২ ওভারে মাত্র ২০ রান দিয়ে ২ উইকেট নিয়ে তিনি ম্যাচের মোড় পাকিস্তানের দিকে ঘুরিয়ে দেন। সৈয়মের এই অলরাউন্ড পারফরম্যান্সের জন্য তাকে "প্লেয়ার অফ দ্য ম্যাচ"-এর পুরস্কারও দেওয়া হয়।

১৭৯ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ওয়েস্ট ইন্ডিজের শুরুটা দারুণ ছিল। জনসন চার্লস এবং তরুণ ব্যাটসম্যান জুয়েল অ্যান্ড্রু প্রথম উইকেটের জন্য ৭২ রানের জুটি গড়েন। দুজনেই ৩৫-৩৫ রানের সমান ইনিংস খেলেন এবং দলকে একটি শক্ত ভিত দেন। কিন্তু এরপর ৫ রানের মধ্যে ওয়েস্ট ইন্ডিজের তিনটি উইকেট পড়ে যাওয়ায় তাদের ইনিংস টালমাটাল হয়ে যায়। পাকিস্তানের বোলাররা এই সুযোগের সদ্ব্যবহার করে রানের গতিতে লাগাম টানেন এবং চাপ বাড়িয়ে দেন।

মিডল অর্ডার ফ্লপ, ফিনিশারদের ব্যর্থতা

ওয়েস্ট ইন্ডিজের মিডল অর্ডার সম্পূর্ণরূপে ব্যর্থ হয়। নিকোলাস পুরান, শাই হোপ এবং রোভম্যান পাওয়েলের মতো অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যানরা বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। শেষ ওভারে জেসন হোল্ডার এবং শমার জোসেফ আক্রমণাত্মক হওয়ার চেষ্টা করলেও অনেক দেরি হয়ে গিয়েছিল। পুরো দল ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৬৪ রানই করতে পারে এবং ১৪ রানে ম্যাচ হেরে যায়।

  • পাকিস্তানের বোলাররা চাপের মুহূর্তে দুর্দান্ত নিয়ন্ত্রণ দেখিয়েছেন।
  • শাদাব খান মিতব্যয়ী বোলিং করে ৪ ওভারে মাত্র ২৩ রান দিয়েছেন।
  • সৈয়ম আইয়ুব ছাড়াও হাসান আলী এবং হ্যারিস রউফও মাঝের ওভারগুলোতে উইকেট তুলে নিয়ে রানের গতি কমিয়ে দেন।

এই জয়ের সাথে সাথেই পাকিস্তান তিন ম্যাচের সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে গেল। দলের অধিনায়ক ও কোচ উভয়েই খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্সের প্রশংসা করেছেন এবং আশা প্রকাশ করেছেন যে আগামী ম্যাচগুলোতেও এই ছন্দ বজায় থাকবে। অন্যদিকে, ওয়েস্ট ইন্ডিজের দলের ওপর চাপ বেড়ে গেছে। সিরিজে টিকে থাকতে হলে তাদের পরের ম্যাচ যে কোনো মূল্যে জিততে হবে।

Leave a comment