পোষা প্রাণীদের জন্য নিউট্রিশনিস্ট হতে গেলে দ্বাদশ শ্রেণীতে বায়োলজি নিয়ে বিএসসি এবং তারপর এমএসসি/এমভিএসসি করতে হয়। এই ফিল্ডে ভেটেরিনারি হাসপাতাল, পেট ফুড কোম্পানি, অ্যানিম্যাল শেল্টার এবং এনজিও-তে চাকরির সুযোগ রয়েছে। পাশাপাশি, ফ্রিল্যান্স কনসালটেন্সি বা নিজের ক্লিনিক খোলারও বিকল্প রয়েছে।
Pet Nutritionist Course: আজকাল পোষা প্রাণীদের যত্ন এবং তাদের খাদ্য সম্পর্কে সচেতনতা অনেক বেড়ে গেছে। এই কারণে পেট নিউট্রিশনিস্টের চাহিদা দ্রুত বাড়ছে। দ্বাদশ শ্রেণীতে বায়োলজি, কেমিস্ট্রি ও ফিজিক্স নেওয়ার পর ছাত্ররা পেট নিউট্রিশন বা অ্যানিম্যাল সায়েন্সে বিএসসি এবং তারপর এমএসসি বা এমভিএসসি করতে পারে। পড়া শেষ করার পর ভেটেরিনারি ক্লিনিক, পেট ফুড কোম্পানি, এনজিও এবং অ্যানিম্যাল শেল্টারে চাকরির সুযোগ পাওয়া যায়। চাইলে ফ্রিল্যান্স কনসালটেন্ট হয়ে নিজের সার্ভিসও শুরু করা যেতে পারে।
কেন বাড়ছে পেট নিউট্রিশনিস্টের চাহিদা
মানুষের জীবনের মতো পোষা প্রাণীদের স্বাস্থ্যও তাদের খাদ্যের ওপর নির্ভর করে। ভুল ডায়েট বা পুষ্টির অভাবে পোষা প্রাণীদের মধ্যে স্থূলতা, ডায়াবেটিস, স্কিন ডিজিজ এবং হাড়ের সমস্যা দেখা যায়। মানুষের সচেতনতা বৃদ্ধির সাথে সাথে এখন তারা তাদের পোষা প্রাণীদের জন্যেও এক্সপার্টের থেকে নিউট্রিশনাল পরামর্শ নিতে চান। এই কারণে এই ক্ষেত্রে পেশাদার পেট নিউট্রিশনিস্টের চাহিদা দ্রুত বাড়ছে।
পেট নিউট্রিশনিস্ট হওয়ার জন্য কোন পড়াশোনা জরুরি
পেট নিউট্রিশনিস্ট হওয়ার যাত্রা ইন্টারমিডিয়েট স্তর থেকে শুরু হয়। এই ক্ষেত্রে আসার জন্য দ্বাদশ শ্রেণীতে বায়োলজি, ফিজিক্স ও কেমিস্ট্রির মতো বিষয় থাকা জরুরি। এর পর ছাত্ররা বিএসসি অ্যানিম্যাল সায়েন্স, জুওলজি, ডেয়ারি সায়েন্স বা সরাসরি পেট নিউট্রিশনে গ্র্যাজুয়েশন করতে পারে।
গ্র্যাজুয়েশনের পর কী করবেন
শুধু ব্যাচেলর ডিগ্রিতেই কেরিয়ার থেমে থাকে না। যে ছাত্ররা এই ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ হতে চান, তারা অ্যানিম্যাল নিউট্রিশন বা পেট নিউট্রিশনে এমএসসি বা এম.ভি.এসসি করতে পারেন। এই কোর্স তাদের রিসার্চ, ডেভেলপমেন্ট ও ক্লিনিক্যাল প্র্যাকটিসের জন্য তৈরি করে।
শর্ট টার্ম কোর্সও উপলব্ধ
যাদের লম্বা পড়াশোনা করার ইচ্ছে নেই, তারা পেট নিউট্রিশন সংক্রান্ত সার্টিফিকেট কোর্সও করতে পারেন। অনেক প্রতিষ্ঠান অনলাইন ও অফলাইন মোডে এই ধরনের কোর্স করিয়ে থাকে। এই কোর্সের মাধ্যমে ছাত্ররা প্রাথমিক জ্ঞান নিয়ে ছোট স্তরে কনসালটেন্সি শুরু করতে পারে।
পেট নিউট্রিশনের পড়ায় প্রাণীদের ডায়েট প্ল্যানিং, পাচনতন্ত্র, ভিটামিন ও মিনারেলের গুরুত্ব, ডায়েটের মাধ্যমে রোগের প্রতিরোধ এবং পোষা প্রাণীদের জন্য স্পেশাল ডায়েট চার্ট তৈরি করা শেখানো হয়। এছাড়াও রিসার্চ ও অ্যানালিসিসের ট্রেনিংও দেওয়া হয়।
কোথায় কোথায় চাকরি পাওয়া যায়
- পেট নিউট্রিশনিস্টের কাছে ক্যারিয়ার গড়ার অনেক বিকল্প রয়েছে।
- ভেটেরিনারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকে নিউট্রিশন কনসালটেন্ট হিসেবে কাজ করতে পারেন।
- পেট ফুড প্রস্তুতকারক কোম্পানিতে রিসার্চ ও ডেভেলপমেন্টের অংশ হতে পারেন।
- এনজিও ও অ্যানিম্যাল শেল্টার হোমে পশুদের ডায়েটের দায়িত্ব নিতে পারেন।
- ফ্রিল্যান্স পেট নিউট্রিশন কনসালটেন্ট হিসেবে ব্যক্তিগত কনসালটেন্সি দিতে পারেন।
- কিছু লোক নিজের নিউট্রিশন সেন্টার খুলে সরাসরি পোষা প্রাণী পালনকারীদের পরিষেবা দেন।
যুবকদের জন্য নতুন ক্যারিয়ার বিকল্প
পশু চিকিৎসক হওয়ার চিরাচরিত বিকল্প ছাড়াও এখন পেট নিউট্রিশনিস্ট হওয়াও যুবকদের জন্য একটি আকর্ষণীয় ক্যারিয়ার হয়ে উঠেছে। যত মানুষ তাদের পোষা প্রাণীদের স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতন হচ্ছেন, ততই এই পেশার গুরুত্ব ও সুযোগ দুটোই বাড়ছে।