ইংল্যান্ডের সীমিত ওভারের ওপেনার ফিল সল্টকে নিয়ে একটি আকর্ষণীয় ঘটনা সামনে এসেছে। খবর অনুযায়ী, ফিল সল্ট যে ব্যাটটি গত দুই বছর ধরে ব্যবহার করছিলেন, সেটি প্রথমে মাঠের গেজ পরীক্ষায় অবৈধ ঘোষিত হয়েছিল।
স্পোর্টস নিউজ: ইংল্যান্ড এবং রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের (আরসিবি) হয়ে খেলা ওপেনার ফিল সল্ট বর্তমানে দারুণ ফর্মে রয়েছেন। আইপিএল ২০২৫-এ তাঁর বিধ্বংসী ব্যাটিং দিয়ে আরসিবিকে প্রথমবার খেতাব জেতাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করা সল্টকে সম্প্রতি একটি ব্যাট বিতর্কে জড়ানো হয়েছিল। আসলে, ভাইটালিটি ব্লাস্ট ২০২৫-এ ল্যাঙ্কাশায়ারের হয়ে খেলার সময় নর্থেন্টস স্টিলব্যাক্সের বিরুদ্ধে একটি ম্যাচে তাঁর ব্যাটকে অন-ফিল্ড গেজ পরীক্ষায় অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছিল। এই একই ব্যাট তিনি গত দুই বছর ধরে ইংল্যান্ড, আইপিএল এবং কাউন্টি ক্রিকেটে ব্যবহার করে আসছিলেন।
ব্যাট নিয়ে শুরু বিতর্ক
ম্যাচের সময়, কর্মকর্তারা সল্টের ব্যাট গেজে ঢুকিয়ে পরীক্ষা করেন এবং নিয়ম অনুযায়ী এর আকার পরীক্ষা করা হয়। প্রাথমিকভাবে ব্যাটটি নির্ধারিত মাপের থেকে সামান্য বড় পাওয়া যায়, যা সন্দেহ তৈরি করে যে ব্যাটটি সম্ভবত নিয়মের বাইরে। এমন ক্ষেত্রে প্রায়শই ব্যাটের প্রান্তের পুরুত্ব বা গভীরতা নিয়ে নিয়ম লঙ্ঘনের অভিযোগ ওঠে।
ইসিবি (ECB)-এর মতে, এই ঘটনা তাদের নিয়মের সেকশন ৩.২ এবং ৩.৩-এর লঙ্ঘন। এই নিয়মগুলি খেলোয়াড়ের সরঞ্জামগুলির বৈধতা নিশ্চিত করার জন্য তৈরি করা হয়েছে।
এসিইউ (ACU)-এর তদন্তের পর সল্টের স্বস্তি
তবে এই ঘটনার মোড় ঘুরে যায় যখন ক্রিকেট নিয়ন্ত্রক সংস্থা অ্যান্টি-করাপশন ইউনিট (ACU) ব্যাটটির গভীর তদন্ত করে। তদন্তে স্পষ্ট হয় যে ব্যাটটি নিয়মের মধ্যে রয়েছে এবং এটি ক্রিকেটের যেকোনো ফরম্যাটে ব্যবহার করা যেতে পারে। ল্যাঙ্কাশায়ার ক্লাব এই বিষয়ে একটি বিবৃতি জারি করে জানায়, এটি সেই একই ব্যাট যা ফিল সল্ট গত দুই বছর ধরে কোনো আপত্তি ছাড়াই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট, কাউন্টি এবং আইপিএলে ব্যবহার করছেন।
প্রাথমিক গেজ পরীক্ষায় ত্রুটি ছিল, যা পরবর্তী প্রযুক্তিগত পরীক্ষায় সঠিক প্রমাণিত হয়েছে। এখন এই বিষয়ে আর কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। এই বিবৃতি থেকে এটা স্পষ্ট হয়ে যায় যে খেলোয়াড় কোনো ভুল করেননি এবং ইচ্ছাকৃতভাবে কোনো অনিয়মের আশ্রয়ও নেননি।
আরসিবির জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা
ফিল সল্টের ক্রিকেট যাত্রা এই মুহূর্তে তুঙ্গে। আইপিএল ২০২৫-এ তিনি রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের হয়ে ১৩ ম্যাচে ৪০৩ রান করেন, যা বিরাট কোহলির (৬৫৭ রান) পরে দলের জন্য দ্বিতীয় সর্বোচ্চ অবদান ছিল। তাঁর বিধ্বংসী ব্যাটিং এবং দ্রুত শুরু এনে দেওয়ার ক্ষমতা দলকে খেতাব জেতাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।