২০২৫ সালের পিতৃপক্ষে শিশুদের শ্রাদ্ধ নিয়ে বিশেষ নিয়ম রয়েছে। গর্ভে মৃত্যুবরণকারী মৃত শিশুর প্রচলিত শ্রাদ্ধ হয় না, বরং মলীন ষোড়শী ও তর্পণ করা হয়। দুই বছরের কম বয়সী শিশুদের জন্যও একই নিয়ম প্রযোজ্য। ছয় বছরের বেশি বয়সী শিশুদের শ্রাদ্ধ মৃত্যুর দিন বা ত্রয়োদশী তিথিতে করা হয়, যা মৃত আত্মাকে শান্তি ও মুক্তি প্রদান করে।
পিতৃপক্ষ ২০২৫: এ বছর পিতৃপক্ষ ৭ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হবে এবং শিশুদের শ্রাদ্ধ সংক্রান্ত শাস্ত্রীয় নিয়ম মেনে চলা আবশ্যক। শাস্ত্র অনুযায়ী, গর্ভে মৃত্যুবরণকারী মৃত শিশুর প্রচলিত শ্রাদ্ধ করা হয় না, বরং মলীন ষোড়শী ও তর্পণ করা হয়। নবজাতক বা দুই বছরের কম বয়সী শিশুদের জন্যও একই নিয়ম প্রযোজ্য, যেখানে ছয় বছরের বেশি বয়সী শিশুদের শ্রাদ্ধ তাদের মৃত্যুর দিনে বা ত্রয়োদশী তিথিতে করা উচিত। এর উদ্দেশ্য হল মৃত আত্মাকে শান্তি ও মুক্তি প্রদান করা।
মৃত শিশুর শ্রাদ্ধ
শাস্ত্র অনুযায়ী, গর্ভে মৃত্যু হলে মৃত শিশুর প্রচলিত শ্রাদ্ধ করা হয় না। এর পরিবর্তে মলীন ষোড়শী প্রথা অনুসরণ করা হয়। এই পদ্ধতিটি শিশুর আত্মার শান্তি এবং পরিবারের মানসিক ও আধ্যাত্মিক ভারসাম্য প্রদানের জন্য করা হয়। মলীন ষোড়শী হিন্দু ধর্মে মৃত্যুর পর করা আচারের অংশ এবং এটি মৃত্যু থেকে শেষ সংস্কার পর্যন্ত সম্পন্ন করা হয়।
জন্মের পর মৃত শিশুদের শ্রাদ্ধ
নবজাতক বা দুই বছরের কম বয়সী শিশুদের প্রচলিত শ্রাদ্ধ কর্ম করা হয় না। এই শিশুদের মলীন ষোড়শী ও তর্পণ করা হয়, তবে বার্ষিক শ্রাদ্ধ বা অন্যান্য প্রচলিত আচারের নিয়ম নেই। এই প্রথা শান্তি ও পুণ্যের দিক থেকে জরুরি বলে মনে করা হয়।
কোন তিথিতে শিশুদের শ্রাদ্ধ করবেন
ছয় বছরের বেশি বয়সী শিশুদের শ্রাদ্ধ তাদের মৃত্যুর দিনে করা হয়। যদি মৃত্যুর দিন জানা না থাকে, তবে ত্রয়োদশী তিথিতে সমস্ত নিয়ম মেনে শ্রাদ্ধ ও তর্পণ করা উচিত। শাস্ত্র অনুযায়ী, এই পদ্ধতিতে শিশুর মৃত আত্মা শান্তি লাভ করে এবং মোক্ষ প্রাপ্ত হয়।