মুখ দেখে নয়, সন্তানদের ভবিষ্যৎ দেখে ভোট দিন: বিহারে পরিবর্তনের ডাক প্রশান্ত কিশোরের

মুখ দেখে নয়, সন্তানদের ভবিষ্যৎ দেখে ভোট দিন: বিহারে পরিবর্তনের ডাক প্রশান্ত কিশোরের

প্রশান্ত কিশোর हथुয়ায় এক সভায় বলেছেন যে এবার বিহারবাসীদের নেতাদের মুখ দেখে ভোট দেওয়া উচিত নয়। শিশুদের শিক্ষা, কর্মসংস্থান এবং উন্নয়নের জন্য সঠিক সিদ্ধান্ত নিন। এই বছর বিহারে পরিবর্তনের শেষ দিওয়ালি হবে।

বিহার নির্বাচন: জন সুরাজ পার্টির প্রধান প্রশান্ত কিশোর বৃহস্পতিবার हथुয়ায় সাবিয়া বিমানবন্দর ময়দানে আয়োজিত বিহার পরিবর্তন সভায় ভাষণ দেন। তিনি বলেন যে গত তিন বছর ধরে তিনি বিহারের গ্রামে গ্রামে ঘুরে জনগণের সমস্যাগুলি কাছ থেকে দেখছেন। কিশোর বলেন যে বিহারের মানুষ এতদিন নেতাদের "বুক" বা শক্তি প্রদর্শনের নামে ভোট দিয়েছে, কিন্তু এর ফলে শিশুদের প্রকৃত কল্যাণ এবং ভবিষ্যতের চিন্তা পিছনে পড়ে গেছে।

শিশুদের অবস্থা নিয়ে প্রশ্ন

প্রশান্ত কিশোর সভায় স্পষ্ট করেছেন যে বিহারে আজ শিশুদের অবস্থা উদ্বেগজনক। তিনি উদাহরণ দিয়ে বলেন যে জনগণ ৫৬ ইঞ্চি বুক দেখানো নেতাদের ভোট দিয়েছে, কিন্তু আজ শিশুদের বুক মাত্র ১৫ ইঞ্চি রয়ে গেছে। তাদের শরীরে কাপড়ের অভাব এবং পায়ে চটি পর্যন্ত নেই। কিশোর বলেন, এখন সময় এসেছে জনগণের নিজেদের সন্তানদের ভবিষ্যতের জন্য চিন্তা করার এবং সঠিক নির্বাচন করার।

লালু যাদবের কাছ থেকে শেখার পরামর্শ

কিশোর বলেন যে বিহারবাসীদের শেখা উচিত শিশুদের নিয়ে চিন্তা করা কী। তিনি উদাহরণ দিয়ে বলেন যে আরজেডি সুপ্রিমো এবং প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালু প্রসাদ যাদবের ছেলে পড়াশোনায় দুর্বল হওয়া সত্ত্বেও রাজনীতিতে নিজের পরিচয় তৈরি করেছে, অথচ বিহারের শিক্ষিত যুবকরা চাকরি পাচ্ছে না। কিশোর স্পষ্ট করেন যে এখন নেতাদের পরিচয় বা দলের নামে নয়, বরং শিশুদের শিক্ষা এবং কর্মসংস্থানের ইস্যুতে ভোট দেওয়া উচিত।

শিক্ষা এবং কর্মসংস্থানকে ভোটের অগ্রাধিকার করুন

সভায় প্রশান্ত কিশোর জনগণকে আবেদন করেন যে এবার ভোট কেবল নেতাদের মুখ দেখে দেবেন না। নেতা লালু যাদব, নীতীশ কুমার বা প্রধানমন্ত্রী মোদী যেই হোন না কেন, এবার ভোট শিশুদের শিক্ষা, কর্মসংস্থান এবং বিহারের উন্নয়ন সম্ভাবনাগুলি বিবেচনা করে দিতে হবে। তিনি বলেন যে কেবলমাত্র এই ধরনের ভোটের মাধ্যমেই বিহারে জনগণের প্রকৃত শাসন প্রতিষ্ঠিত হবে।

বড় প্রতিশ্রুতির ঘোষণা

কিশোর সভায় বেশ কিছু বড় প্রতিশ্রুতি দেন। তিনি ঘোষণা করেন যে ডিসেম্বর ২০২৫ থেকে বিহারে ৬০ বছরের বেশি বয়সী প্রতিটি পুরুষ ও মহিলা ২০০০ টাকা মাসিক পেনশন পাবেন। এছাড়াও, ১৫ বছরের কম বয়সী শিশুদের বেসরকারি স্কুলে বিনামূল্যে শিক্ষা দেওয়া হবে এবং স্কুলের ফি সরকার বহন করবে। কিশোর বলেন যে সরকারি স্কুলগুলিতে উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত, গরিবের সন্তানও ইংরেজি মাধ্যমে স্কুলে পড়তে পারবে।

যুবকদের জন্য কর্মসংস্থানের আশ্বাস

প্রশান্ত কিশোর যুবকদের কর্মসংস্থানের আশ্বাস দিয়ে বলেন যে এই বছর বিহারের দুর্দশার শেষ দিওয়ালি এবং छठ হবে। তিনি প্রতিশ্রুতি দেন যে छठের পর গোপালগঞ্জ সহ পুরো বিহারের যুবকদের বাইরে মজুরি করতে যেতে হবে না। প্রায় ৫০ লক্ষ যুবককে বিহারেই কর্মসংস্থান দেওয়া হবে, যেখানে তারা ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা মাসিক বেতন পাবে। কিশোর বলেন যে এই কর্মসংস্থান পরিকল্পনা বিহারে সামাজিক ও অর্থনৈতিক পরিবর্তনের দিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হবে।

সভায় কিশোর পুনরায় বলেন যে বিহারে শিক্ষা এবং কর্মসংস্থানই এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তিনি বলেন যে কেবল নির্বাচনী ভাষণ এবং শক্তি প্রদর্শন দিয়ে বিহারের অবস্থার উন্নতি হবে না। জনগণের এখন তাদের সন্তানদের ভবিষ্যৎ এবং অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য সচেতনভাবে ভোট দিতে হবে। কিশোর জোর দিয়ে বলেন যে জন সুরাজ পার্টি এই বার বিহারের প্রতিটি গ্রাম ও শহরে শিক্ষা এবং কর্মসংস্থানের বিষয়গুলিকে অগ্রাধিকার দেবে।

Leave a comment