প্রয়াগরাজের একটি আদালত পণের জন্য নিজের গর্ভবতী স্ত্রীকে হত্যা করার অভিযোগে স্বামী সন্দীপ ভারতীয়কে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে। অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক মনোজ কুমার মিশ্র দ্বিতীয় এই রায় দিয়েছেন। আদালত পণ-উৎপীড়ন এবং হত্যাকে গুরুতর অপরাধ হিসাবে গণ্য করে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
ঘটনাটি কী ছিল?
বাদী পবন কুমার ২০১৯ সালের ২১শে মার্চ ঝুন্সি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। তিনি অভিযোগ করেছিলেন যে তার বোন আরতি ভারতীয়ার বিয়ে ২০১৫ সালে সন্দীপ ভারতীয়র সাথে হয়েছিল। ২০১৯ সালের মার্চ মাসে সন্দীপ ভারতীয় অন্যান্যদের সাথে মিলে তার নয় মাসের গর্ভবতী বোন আরতির ওপর কেরোসিন তেল ছিটিয়ে আগুন ধরিয়ে দিয়েছিল।
আরতিকে স্বরূপ রানী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল, যেখানে চিকিৎসার সময় তার মৃত্যু হয়। অভিযুক্ত সন্দীপ ভারতীয় তার বিবৃতিতে অভিযোগ অস্বীকার করেছিল। আদালত প্রসিকিউশন পক্ষের মৌখিক ও নথিভুক্ত সাক্ষ্যপ্রমাণের তদন্তের পর দেখতে পায় যে কেরোসিন তেল ঢেলে আগুন লাগানোর কারণে মহিলার মৃত্যু হয়েছিল। এর ফলে গর্ভে থাকা ভ্রূণেরও মৃত্যু হয়েছিল।
আদালতের বার্তা
আদালত এই রায়ের মাধ্যমে সমাজকে এই বার্তা দিয়েছে যে পণ-উৎপীড়ন এবং হত্যার মতো ঘটনা সহ্য করা হবে না এবং দোষীদের কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে। এই সিদ্ধান্ত নারীর অধিকার রক্ষা এবং পণপ্রথার বিরুদ্ধে একটি শক্তিশালী পদক্ষেপ।
অন্যান্য সম্পর্কিত ঘটনা
সম্প্রতি গাজিপুরেও একটি পণ হত্যার মামলায় স্বামীকে ১০ বছরের কঠোর কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। এর থেকে এটি স্পষ্ট হয় যে পণপ্রথার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা এবং শাস্তির বিধান কঠোর করা হচ্ছে।