প্রো কাবাডি লীগ 2025-এর দুর্দান্ত এবং রোমাঞ্চকর মরসুম শেষ হয়েছে, এবং এবার চ্যাম্পিয়ন হিসেবে উঠে এসেছে দাবাং দিল্লি দল। দিল্লি একটি কঠিন ফাইনাল ম্যাচে পুনেরি পল্টনকে হারিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো প্রো কাবাডি লীগের শিরোপা নিজেদের নামে করেছে।
স্পোর্টস নিউজ: প্রো কাবাডি লীগ (Pro Kabaddi League 2025)-এর রোমাঞ্চকর ফাইনাল ম্যাচে দাবাং দিল্লি কেসি (Dabang Delhi KC) আরও একবার তাদের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করেছে। দিল্লি পুনেরি পল্টনকে (Puneri Paltan) শেষ মুহূর্তে 30-28 পয়েন্টে হারিয়ে পিকেএল 2025-এর শিরোপা নিজেদের নামে করেছে। এটি দিল্লির দ্বিতীয় ট্রফি, এর আগে তারা সিজন 8 (2022)-এ চ্যাম্পিয়নশিপ জিতেছিল।
এই জয়ের সাথে দাবাং দিল্লি জয়পুর পিঙ্ক প্যান্থার্সের সাথে সমতা ফিরিয়েছে, যারাও দুবার ট্রফি জিতেছে। অন্যদিকে, পাটনা পাইরেটস (Patna Pirates) এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে সফল দল হিসেবে রয়েছে, যাদের নামে তিনটি শিরোপা রয়েছে।
রোমাঞ্চকর ফাইনাল: শেষ সেকেন্ড পর্যন্ত চলল ‘দিল্লি বনাম পুনে’র লড়াই

দিল্লি এবং পুনেরি পল্টনের মধ্যে খেলা ফাইনাল ম্যাচটি দর্শকদের জন্য কোনো থ্রিলারের চেয়ে কম ছিল না। শুরুতে পুনেরি পল্টন আক্রমণাত্মক রেড করে এগিয়ে যায়, কিন্তু দিল্লির দল কৌশলগত ডিফেন্স এবং স্মার্ট রেডের জোরে ধীরে ধীরে খেলায় ফিরে আসে। ম্যাচের শেষ তিন মিনিটে স্কোর সমান ছিল, কিন্তু অধিনায়ক আশু মালিকের দুর্দান্ত রেড পয়েন্ট এবং নীরজ নরওয়ালের ট্যাকল খেলাটিকে দিল্লির পক্ষে ঘুরিয়ে দেয়। শেষ পর্যন্ত দিল্লি 2 পয়েন্টের ব্যবধানে (30-28) জিতে ইতিহাস তৈরি করে।
আশু মালিকের অধিনায়কত্ব এবং নীরজ নরওয়ালের শক্তিশালী পারফরম্যান্স
দাবাং দিল্লির এই জয়ের পেছনে অধিনায়ক আশু মালিকের বিচক্ষণতা এবং শান্ত মস্তিষ্ক একটি বড় কারণ ছিল। তিনি পুরো মরসুমে দলকে সুষম রেখেছিলেন এবং গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে চমৎকার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। ফাইনাল ম্যাচে নীরজ নরওয়াল দলের নায়ক হয়েছিলেন, যিনি 9 রেড পয়েন্ট অর্জন করেছিলেন। অন্যদিকে, বিজয় মালিক এবং মহেন্দর সিং ডিফেন্সে অসাধারণ দক্ষতা দেখিয়েছেন। তারা পুনেরি পল্টনের তারকা রেডারদের অনেকবার সুপার ট্যাকলে ধরাশায়ী করেছেন।
ম্যাচের পর আশু মালিক বলেন, "এই জয় পুরো দিল্লি পরিবারের। আমরা মরসুমের শুরুতেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম যে এবার ট্রফি আবার দিল্লিতে আনতে হবে। সমস্ত খেলোয়াড় একত্রিত হয়ে খেলেছে এবং এর ফলাফল আজ সবার সামনে।"

পুনেরি পল্টনের স্বপ্ন ভাঙল, কিন্তু মাথা উঁচু
পুনেরি পল্টনের এই মরসুমটি অসাধারণ ছিল। দলটি পুরো টুর্নামেন্টে চমৎকার সমন্বয় এবং শক্তিশালী ডিফেন্সের প্রদর্শন করেছে। আসলাম ইন্নামদার এবং মহম্মদ নবী বকশ-এর মতো রেডাররা দলকে নিয়মিতভাবে জয় এনে দিয়েছেন, কিন্তু ফাইনালে তারা দিল্লির ডিফেন্স ভেদ করতে পারেননি। দলের কোচ বলেন, "আমরা একটু পিছিয়ে পড়েছিলাম, কিন্তু আমাদের দল পুরো মরসুমে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করেছে।"
দিল্লিকে অভিনন্দন — তারা চাপের মুহূর্তে অসাধারণ খেলা দেখিয়েছে। ফাইনাল হারার সত্ত্বেও পুনেরি পল্টনের এই যাত্রা স্মরণীয় হয়ে থাকবে এবং তারা দেখিয়েছে যে আগামী মরসুমে তারা শিরোপার প্রবল দাবিদার হবে।












