পাঞ্জাবে অরবিন্দ কেজরিওয়াল এবং মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান ৩,১০০টি ক্রীড়া স্টেডিয়ামের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন। ১,১৯৪ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই স্টেডিয়ামগুলি গ্রামের যুবকদের মাদকাসক্তি থেকে দূরে রাখবে এবং খেলার সুযোগ দেবে।
চণ্ডীগড়: আম আদমি পার্টি (AAP)-এর জাতীয় আহ্বায়ক অরবিন্দ কেজরিওয়াল এবং পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান ৩,১০০টি ক্রীড়া স্টেডিয়ামের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করে ইতিহাস তৈরি করেছেন। এই পদক্ষেপটি বিশেষত গ্রামীণ যুবকদের জন্য খেলাধুলা ও ফিটনেসকে উৎসাহিত করার জন্য নেওয়া হয়েছে। আগে বড় স্টেডিয়ামগুলি শুধুমাত্র শহরগুলিতে সীমাবদ্ধ ছিল, কিন্তু মান সরকার প্রথমবারের মতো গ্রামগুলিতে খেলাধুলার সুযোগ তৈরির পথ খুলে দিয়েছে।
গ্রামগুলিতে আধুনিক ক্রীড়া স্টেডিয়াম
প্রতিটি স্টেডিয়ামে ভলিবল, ফুটবল, হকি এবং অ্যাথলেটিক্সের জন্য ট্র্যাক তৈরি করা হবে। এছাড়াও, স্থানীয় খেলার জন্য আলাদা মাঠও থাকবে। সরকার এই স্টেডিয়ামগুলিতে খেলার সরঞ্জাম সরবরাহ করবে। স্টেডিয়ামগুলির রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিচালনার দায়িত্ব গ্রামের যুব ক্লাবগুলিকে দেওয়া হয়েছে, যাতে যুবকরা নিয়মিতভাবে এই সুবিধাগুলি ব্যবহার করতে পারে।
তরুণ খেলোয়াড়দের জন্য এই স্টেডিয়ামগুলি তাদের প্রতিভা বিকাশের সুযোগ দেবে। ভগবন্ত মান বলেছেন যে আগামী দিনে পাঞ্জাবের গ্রামগুলি থেকে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্তরের খেলোয়াড় এবং অধিনায়ক উঠে আসবে।
মাদকাসক্তির বিরুদ্ধে শক্তিশালী অভিযান
গত কয়েক মাস ধরে পাঞ্জাবে মাদকের বিরুদ্ধে কঠোর অভিযান চালানো হয়েছে। মান সরকার বড় মাদক পাচারকারীদের বিরুদ্ধে বুলডোজার চালিয়ে তাদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে এবং অনেককে জেলে পাঠিয়েছে। এর মাধ্যমে স্পষ্ট বার্তা দেওয়া হয়েছে যে পাঞ্জাবে কোনো মাদক পাচারকারীকে রেহাই দেওয়া হবে না।
এই অভিযানের আওতায় যারা নিজেদের একসময় অজেয় মনে করত, তারা এখন জেলে। এই পদক্ষেপটি নেওয়া হয়েছে যুবকদের মাদকের নেশা থেকে বাঁচাতে এবং তাদের একটি সুস্থ ও সক্রিয় জীবনধারার দিকে উৎসাহিত করার জন্য।
খেলাধুলা ও শিক্ষা দিয়ে যুবকদের নতুন দিশা
মান সরকার নিশ্চিত করেছে যে ক্রীড়া স্টেডিয়ামগুলি কেবল খেলার জন্যই নয়, যুবকদের সার্বিক বিকাশের জন্যও মাধ্যম হবে। পাঞ্জাবে ৫৫,০০০ সরকারি চাকরি শুধুমাত্র মেধার ভিত্তিতে দেওয়া হয়েছে এবং চার লক্ষেরও বেশি বেসরকারি চাকরির সুযোগ তৈরি হচ্ছে।
এছাড়াও, কলেজগুলিতে উদ্যোক্তা শেখানোর একটি কর্মসূচিও চালানো হবে। শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার পাশাপাশি ব্যবসা করার সুযোগ দেওয়া হবে, যাতে তারা চাকরি প্রার্থী না হয়ে চাকরিদাতা হতে পারে।