রাহুল গান্ধী নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে জাল ভোট লুকানোর অভিযোগ করেছেন। বিরোধী সাংসদরা ভোটার তালিকা সংশোধনের বিরুদ্ধে মিছিল বের করলে পুলিশ তাঁদের আটক করে। নির্বাচন কমিশন রাহুলের কাছে প্রমাণ চেয়েছে।
Rahul Gandhi: লোকসভায় বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ করেছেন। তিনি বলেছেন, নির্বাচন কমিশন বিভ্রান্ত করছে এবং তাদের ভোটার ডেটার আসল তথ্য লুকানোর চেষ্টা করছে। এই বিতর্কের মধ্যে, বিরোধী সাংসদরা বিহারে ভোটার তালিকা সংশোধন এবং কথিত 'ভোট চুরি'র বিরুদ্ধে মিছিল বের করেন, কিন্তু পুলিশ তাঁদের বাধা দিয়ে আটক করে।
নির্বাচন কমিশন রাহুল গান্ধীকে নোটিশ পাঠিয়েছে
কর্ণাটকের ভোটার তালিকায় কথিত গরমিলের অভিযোগে নির্বাচন কমিশন কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে। কমিশন রাহুল গান্ধীকে চিঠি লিখে বলেছে, তিনি যেন তাঁর অভিযোগের প্রমাণ পেশ করেন এবং হলফনামায় স্বাক্ষর করেন। নির্বাচন কমিশন সতর্ক করেছে যে রাহুল গান্ধী যদি তা না করেন, তাহলে তাঁকে তাঁর বক্তব্য প্রত্যাহার করতে হবে এবং জনগণকে বিভ্রান্ত করা বন্ধ করতে হবে।
রাহুল গান্ধী এই নোটিশের জবাবে বলেছেন যে 'এটি নির্বাচন কমিশনের ডেটা, এটা আমার ডেটা নয় যে আমি সই করব'। তিনি আরও বলেন যে এই সমস্যা শুধু বেঙ্গালুরুতে সীমাবদ্ধ নয়, বরং সারা দেশের অনেক নির্বাচনী এলাকাতেই এমন গরমিল হচ্ছে। তিনি দাবি করেন যে নির্বাচন কমিশন জানে যে তাদের ডেটা 'ফাঁস' হবে, তাই তারা এটি লুকানোর এবং নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছে।
রাহুল গান্ধীর অভিযোগ: 'নির্বাচন কমিশন বিভ্রান্ত করছে'
রাহুল গান্ধী মিডিয়ার সাথে কথা বলার সময় বলেন, 'আমরাই নির্বাচন কমিশনকে এই ডেটা দিয়েছি, তাদের উচিত এটি তাদের ওয়েবসাইটে দেওয়া যাতে সবাই সত্যিটা জানতে পারে'। তিনি আরও জানান যে এই বিষয়টি কেবল কর্ণাটকে সীমাবদ্ধ নয়, বরং সারা দেশের অনেক অঞ্চলে জাল ভোটের সমস্যা রয়েছে।
রাহুল গান্ধী বলেন যে এই লড়াই রাজনৈতিক নয়, বরং সংবিধান ও গণতন্ত্র রক্ষার জন্য। তাঁর বক্তব্য ছিল যে এটি 'ওয়ান ম্যান, ওয়ান ভোট'-এর লড়াই এবং তাঁরা একটি পরিচ্ছন্ন ও নির্ভরযোগ্য ভোটার তালিকা চান।
বিরোধী সাংসদদের মিছিল এবং পুলিশের পদক্ষেপ
এই ইস্যুতে সোমবার বিরোধী সাংসদরা বিহারে ভোটার তালিকা সংশোধন এবং ভোট চুরির বিরুদ্ধে সংসদ থেকে নির্বাচন কমিশন পর্যন্ত মিছিল করেন। এই মিছিলে রাহুল গান্ধী ছাড়াও মল্লিকার্জুন খাড়গে এবং অন্যান্য বিরোধী সাংসদরা অংশ নেন।
কিন্তু পুলিশ সংসদ মার্গ-এ পিটিআই বিল্ডিং-এর কাছে ব্যারিকেড দিয়ে মিছিলটি আটকে দেয়। অনেক সাংসদ রাস্তায় বসে পড়েন এবং স্লোগান দিতে থাকেন। টিএমসি-র মহুয়া মৈত্র, কংগ্রেসের সঞ্জনা জাটভ এবং জ্যোতিমণিসহ কয়েকজন মহিলা সাংসদ ব্যারিকেডের ওপর উঠে স্লোগান দিতে থাকেন। পুলিশ সকল সাংসদকে বাসে করে সংসদ মার্গ থানায় নিয়ে গিয়ে আটক করে। পরে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
রাহুল গান্ধীর দাবি
রাহুল গান্ধী বলেছেন যে তাঁর দলের গবেষণায় কর্ণাটকের একটি বিধানসভা কেন্দ্রে এক লক্ষেরও বেশি জাল ভোট পাওয়া গেছে। তিনি অভিযোগ করেন যে নির্বাচন কমিশন এই সত্যটি লুকানোর চেষ্টা করছে। তাঁর বিশ্বাস, নির্বাচন কমিশন যদি সততার সাথে কাজ করত, তাহলে এই সমস্যাটি প্রকাশ হওয়া উচিত ছিল।