বিহারের রাজনীতি আজ আবারও উত্তপ্ত হতে চলেছে। কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী এবং রাষ্ট্রীয় জনতা দল (আরজেডি)-র বিরোধী দলনেতা তেজস্বী যাদব মঙ্গলবার ভোটার অধিকার যাত্রা (Voter Adhikar Yatra)-র অধীনে ওয়ারিসলিগঞ্জে রোড শো করবেন।
পাটনা: ভোটার অধিকার যাত্রা উপলক্ষ্যে মঙ্গলবার বিহারের ওয়ারিসলিগঞ্জে কংগ্রেসের জাতীয় নেতা রাহুল গান্ধী, বিহারের বিরোধী দলনেতা তেজস্বী যাদব এবং মহাজোটের বিভিন্ন দলের নেতাদের রোড শো অনুষ্ঠিত হবে। এর জন্য প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। এই উপলক্ষে ঝাড়খণ্ড প্রদেশ কংগ্রেসের নেতারাও বড় কনভয় নিয়ে বিহারের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন।
কয়েক ডজন গাড়ির এই কনভয়ে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি কেশব মাহাতো কমলেশ, প্রাক্তন সভাপতি রাজেশ ঠাকুর, মন্ত্রী দীপিকা পান্ডে সিং, কমপক্ষে অর্ধ ডজন বিধায়ক এবং কার্যনির্বাহী সভাপতি সহ অনেক কর্মী রয়েছেন। সকল নেতা ও কর্মীরা নওয়াদাতে রাহুল গান্ধীর সমাবেশে এবং ভোট অধিকার যাত্রায় অংশ নেবেন।
নওয়াদা থেকে যাত্রা শুরু
কংগ্রেস জেলা সভাপতি সতীশ কুমার ওরফে মন্টন সিং জানিয়েছেন যে নেতারা নওয়াদা থেকে আসবেন এবং খারান্ট মোড়ে তাঁদের भव्य অভ্যর্থনা জানানো হবে। এর পরে রাহুল গান্ধী ও তেজস্বী যাদব ওয়ারিসলিগঞ্জের দিকে রোড শো করার জন্য রওনা হবেন। তিনি জানান, রোড শো চলাকালীন কংগ্রেস ও আরজেডি কর্মীরা ব্যাপক সংখ্যায় জড়ো হবেন এবং মহাজোটের वरिष्ठ নেতাদের স্বাগত জানাবেন।
ঝাড়খণ্ড প্রদেশ কংগ্রেসের অনেক নেতা ও বিধায়কও এই অনুষ্ঠানে অংশ নিতে নওয়াদা পৌঁছেছেন। ঝাড়খণ্ড প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি কেশব মাহাতো কমলেশ, প্রাক্তন সভাপতি রাজেশ ঠাকুর, মন্ত্রী দীপিকা পান্ডে সিং, বেশ কয়েকজন কার্যনির্বাহী সভাপতি এবং অর্ধ ডজনেরও বেশি বিধায়ক কনভয় নিয়ে বিহারের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন। এই নেতারা বলেছেন যে "ভোটার অধিকার যাত্রা শুধু রাজনৈতিক কর্মসূচি নয়, গণতন্ত্রের মজবুতির জন্য একটি আন্দোলন।
প্রস্তুতি বৈঠকে কর্মীদের দায়িত্ব বণ্টন
কর্মসূচি সফল করার জন্য সোমবার পটেল নগর কমিউনিটি ভবনে প্রস্তুতি বৈঠক হয়। বৈঠকের নেতৃত্ব দেন আরজেডি ব্লক সভাপতি মুনেশ্বর কুশওয়াহা, এবং তত্ত্বাবধান করেন প্রাক্তন বিধায়ক প্রদীপ মাহাতো ও অশোক মাহাতো। বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে অভ্যর্থনা থেকে শুরু করে কর্মসূচির সমাপ্তি পর্যন্ত কর্মীরা সক্রিয় থাকবেন। কর্মীদের আলাদা আলাদা দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে যাতে রোড শো भव्य করে তোলা যায়।
এই অনুষ্ঠানে মুঙ্গের সংসদীয় क्षेत्रের অনিতা দেবী, অরবিন্দ কুশওয়াহা, মিশ্রী যাদব, পাপ্পু চৌধুরী, রাজেশ কুমার, मुखिया প্রতিনিধি অজিত যাদব এবং অশোক পাসোয়ান সহ অনেক কর্মী উপস্থিত ছিলেন।
মহাজোটের বড় শক্তি প্রদর্শন
রাহুল গান্ধী ও তেজস্বী যাদবের এই রোড শো শুধু একটি নির্বাচনী যাত্রা নয়, এটি মহাজোটের ঐক্যের বার্তাও দিচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এই কর্মসূচি আসন্ন নির্বাচনে মহাজোটের কৌশল এবং শক্তি প্রদর্শনের একটি প্রচেষ্টা। কংগ্রেস জেলা সভাপতি বলেন, "এই যাত্রা বিহারের জনগণকে তাদের ভোটাধিকার এবং গণতান্ত্রিক অধিকার সম্পর্কে সচেতন করার একটি অভিযান। রাহুল গান্ধী ও তেজস্বী যাদবের নেতৃত্বে এই আন্দোলন গণআন্দোলনের রূপ নেবে।
কংগ্রেস ও আরজেডির এই কর্মসূচি ভোটারদের সচেতন করা এবং যুবকদের রাজনীতিতে সক্রিয় অংশগ্রহণে উৎসাহিত করার উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে। যাত্রার মূল বার্তা হল জনগণ যেন তাদের ভোটের অধিকার বোঝে এবং গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করতে নিজের ভূমিকা পালন করে।