ভাইয়ের হাতে ভাবী খুন: রাজস্থানে চাঞ্চল্য, আটক দেবর

ভাইয়ের হাতে ভাবী খুন: রাজস্থানে চাঞ্চল্য, আটক দেবর

चूरू জেলার সরদারশহরে ২৫ বছর বয়সী বিবাহিত মহিলা পূনমের হত্যা তার নিজের দেবর হিতেশ করেছে। অভিযুক্ত জোরপূর্বক চেষ্টা করেছিল এবং বিরোধিতার সময় ছুরিকাঘাত করেছিল। পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পেশ করেছে।

সরদারশহর: রাজস্থানের चूरू জেলার সরদারশহর অঞ্চলে ৭ সেপ্টেম্বর ২৫ বছর বয়সী বিবাহিত মহিলা পূনমের ছুরিকাঘাতে হত্যার ঘটনা সামনে এসেছে। প্রাথমিক তদন্তে এই রহস্য উদঘাটিত হয়েছে যে হত্যার অভিযুক্ত কোনো অজানা ব্যক্তি নয়, বরং মৃতারই দেবর হিতেশ। পুলিশের মতে, দেবর তার ভাবীর সাথে জোরপূর্বক চেষ্টা করেছিল, যার বিরোধিতায় সে ছুরিকাঘাত করে পূনমের হত্যা করে। ঘটনাটি এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে।

পুলিশকে মিথ্যা গল্প বলার পর দেবর গ্রেপ্তার

থানাधिकारी সরদারশহর মদনলাল বিষ্নোই জানিয়েছেন যে ঘটনাস্থলে পৌঁছে মৃতার দেবর হিতেশ পুলিশকে মিথ্যা গল্প বলেছিল। সে বলেছিল যে কোনো অজানা ব্যক্তি লুটের উদ্দেশ্যে হামলা করেছিল এবং তারপর তার ভাবী পূনমের হত্যা করেছিল। এই গল্পে পুলিশ বেশ কিছু অসঙ্গতি খুঁজে পায়, যা সন্দেহ আরও বাড়িয়ে তোলে।

পুলিশ ঘটনার গুরুত্ব বিবেচনা করে তদন্ত জোরদার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ এবং সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে জানা যায় যে দেবর নিজের মিথ্যা ঢাকতে এই গল্প তৈরি করেছিল। ঘটনা সত্য উদঘাটিত হওয়ার সাথে সাথে পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে এবং न्यायिक হেফাজতে পাঠায়।

পরিবার অভিযোগ দায়ের করেছে

মৃতার কাকা সরদারশহর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ অনুসারে, পূনমের বিয়ে ২০২১ সালে সরদারশহর নিবাসী কপিলের সাথে হয়েছিল। ঘটনার সময় স্বামী কপিল হায়দ্রাবাদে মজদুরি করছিলেন। পুলিশ তদন্তে জানতে পারে যে অভিযুক্ত হিতেশ তার ভাবীর সাথে জোরপূর্বক চেষ্টা করেছিল এবং বিরোধিতার সময় সে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করেছিল।

পরিবারের সদস্যরা বলছেন যে পূনম সবসময় তার পরিবারের সদস্য এবং দেবরের সাথে খুশি থাকত। এই ভয়াবহ ঘটনা পুরো পরিবারকে শোকাহত করেছে। স্থানীয় লোকেরাও এই হত্যাকাণ্ড দেখে হতবাক এবং ন্যায়বিচারের দাবি করছেন।

ঘটনার সময় বাড়িতে কে ছিল?

থানাधिकारी বিষ্নোই জানিয়েছেন যে হত্যার সময় পূনমের শ্বশুর-শাশুড়ি মন্দিরে গিয়েছিলেন। বাড়ি ফেরার পর তারা তাদের পুত্রবধূকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পান। পুলিশ ঘটনাস্থলের পরিদর্শন করে এবং সাক্ষ্যপ্রমাণ সংগ্রহ করে। প্রাথমিক তদন্তে স্পষ্ট হয়েছে যে অভিযুক্ত হত্যার আগে অনেকবার তার ভাবীকে হয়রানি করেছিল।

পুলিশ এখন এটা জানার চেষ্টা করছে যে ঘটনার সাথে অভিযুক্ত হিতেশ ছাড়াও অন্য কেউ জড়িত ছিল কিনা। এছাড়াও, দেবর কত দিন ধরে পূনমকে হয়রানি করছিল এবং এর পেছনে অন্য কারো জড়িত থাকার সম্ভাবনা ছিল কিনা, তা তদন্ত করা হচ্ছে।

অভিযুক্তকে न्यायिक হেফাজতে পাঠানো হয়েছে

পুলিশ অভিযুক্তকে আদালতে পেশ করে न्यायिक হেফাজতে পাঠিয়েছে। থানাधिकारी বলেছেন যে ঘটনার গুরুত্ব বিবেচনা করে পুলিশ সব দিক খতিয়ে দেখছে। অভিযুক্তের কাছ থেকে কঠোর জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে যাতে আরও তথ্য সামনে আসতে পারে।

স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশ বলেছে যে এই মামলায় ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা হবে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সবরকম সাহায্য করা হচ্ছে। এছাড়াও, পুলিশ আশেপাশের লোকদের নিরাপত্তা সম্পর্কে সতর্ক থাকতে এবং যে কোনো সন্দেহজনক কার্যকলাপের খবর অবিলম্বে জানাতে পরামর্শ দিয়েছে।

Leave a comment