এশিয়া কাপে রশিদ খানের নতুন ইতিহাস: সর্বোচ্চ উইকেটের মালিক

এশিয়া কাপে রশিদ খানের নতুন ইতিহাস: সর্বোচ্চ উইকেটের মালিক

আফগানিস্তানের অধিনায়ক এবং তারকা স্পিনার রশিদ খান টি-টোয়েন্টি এশিয়া কাপ ২০২৫-এ এক নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন। টুর্নামেন্টের সবচেয়ে সফল বোলার হওয়ার গৌরব অর্জন করেছেন তিনি। ভারতের অভিজ্ঞ ফাস্ট বোলার ভুবনেশ্বর কুমারের রেকর্ড ভেঙে তিনি সর্বোচ্চ উইকেট নেওয়ার নতুন কীর্তি স্থাপন করেছেন।

স্পোর্টস নিউজ: আফগানিস্তানের অধিনায়ক এবং তারকা স্পিনার রশিদ খান এশিয়া কাপ ২০২৫-এ ইতিহাস রচনা করেছেন। তিনি এই টুর্নামেন্টের ইতিহাসে সবচেয়ে সফল বোলার হয়েছেন এবং এই অর্জনের মাধ্যমে তিনি টিম ইন্ডিয়ার ফাস্ট বোলার ভুবনেশ্বর কুমারকে পেছনে ফেলেছেন। রশিদ খানের নামে এখন টি-টোয়েন্টি এশিয়া কাপে সর্বোচ্চ উইকেট নেওয়ার রেকর্ড লিপিবদ্ধ হয়েছে।

বাংলাদেশের বিরুদ্ধে খেলা ম্যাচে তাঁর দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের জোরে তিনি এই রেকর্ড অর্জন করেছেন। তাঁর এই পারফরম্যান্স কেবল আফগানিস্তান দলকে শক্তিশালীই করেনি, বরং এশিয়া কাপের ইতিহাসে তাকে এক নতুন উচ্চতায়ও পৌঁছে দিয়েছে।

রশিদ খান এক বিশেষ রেকর্ড গড়েছেন

রশিদ খান বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ম্যাচে প্রথমে শাইফ হাসানকে আউট করে ভুবনেশ্বর কুমারের সমকক্ষতা অর্জন করেছিলেন। এরপর ১৬তম ওভারে শামীম হোসেনের উইকেট নিয়ে তিনি ভুবনেশ্বরকে পেছনে ফেলে দেন। রশিদ খানের নামে এখন ১৪টি উইকেট রয়েছে, যেখানে ভুবনেশ্বর কুমার ৬টি ম্যাচে ১৩টি উইকেট নিয়েছিলেন। এই কৃতিত্ব রশিদ খানের অসাধারণ দক্ষতা, ধৈর্য এবং কৌশলের প্রমাণ।

রশিদ খান মাত্র ১০ ম্যাচেই এই রেকর্ড করেছেন, যেখানে ভুবনেশ্বর ৬ ম্যাচে এটি অর্জন করেছিলেন। তাঁর ধারাবাহিকতা এবং ম্যাচের উপর প্রভাব ফেলার ক্ষমতা টি-টোয়েন্টি এশিয়া কাপের ইতিহাসে তাঁকে এক বিশেষ স্থান দিয়েছে। টি-টোয়েন্টি এশিয়া কাপে সর্বোচ্চ উইকেট নেওয়া বোলার:

  • রশিদ খান – ১০ ম্যাচ, ১৪ উইকেট
  • ভুবনেশ্বর কুমার – ৬ ম্যাচ, ১৩ উইকেট
  • ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা – ৮ ম্যাচ, ১২ উইকেট
  • আমজাদ জাভেদ – ৭ ম্যাচ, ১২ উইকেট
  • হার্দিক পান্ডিয়া – ১০ ম্যাচ, ১২ উইকেট

হংকংয়ের বিরুদ্ধে ম্যাচে রশিদ খানের পারফরম্যান্স প্রত্যাশিত স্তরের ছিল না। সেখানে তিনি ২৪ রান দিয়ে মাত্র একটি উইকেট নিয়েছিলেন। কিন্তু বাংলাদেশের বিরুদ্ধে তিনি দারুণভাবে প্রত্যাবর্তন করেছেন। তাঁর ৪ ওভারের স্পেলে তিনি মাত্র ২৬ রান দিয়ে ২ গুরুত্বপূর্ণ উইকেট নিয়েছেন। তাঁর কিপটে বোলিং এবং সঠিক সময়ে উইকেট নেওয়ার ক্ষমতা আফগানিস্তানকে ম্যাচে শক্তিশালী করে তুলেছে।

Leave a comment