সাহেবজাদা ফারহানের ঝড়ো হাফ-সেঞ্চুরি, বাংলাদেশের বিপক্ষে পাকিস্তানের বড় জয়

সাহেবজাদা ফারহানের ঝড়ো হাফ-সেঞ্চুরি, বাংলাদেশের বিপক্ষে পাকিস্তানের বড় জয়

सलामी ব্যাটার সাহেবজাদা ফারহানের ঝোড়ো হাফ-সেঞ্চুরি এবং সালমান মির্জার দুর্দান্ত বোলিংয়ের সুবাদে পাকিস্তান ক্রিকেট দল বাংলাদেশের বিরুদ্ধে তৃতীয় এবং শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ৭৪ রানের বড় জয় পেয়েছে।

BAN vs PAK 3rd T20I: পাকিস্তান ক্রিকেট দল বাংলাদেশের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজের তৃতীয় এবং শেষ ম্যাচটি ৭৪ রানের বড় ব্যবধানে জিতে সফর শেষ করেছে। এই ম্যাচটি পাকিস্তানের জন্য সম্মান বাঁচানোর ছিল, কারণ তিন ম্যাচের সিরিজের প্রথম দুটি ম্যাচ বাংলাদেশ আগেই জিতে নিয়েছিল।

এমন পরিস্থিতিতে তৃতীয় ম্যাচে দুর্দান্ত জয় পাওয়ায় পাকিস্তান ‘হোয়াইটওয়াশ’ হওয়া থেকে বেঁচে যায়। এই ম্যাচের নায়ক ছিলেন ওপেনার সাহেবজাদা ফারহান এবং বোলার সালমান মির্জা।

লিটন দাস টস জিতে পাকিস্তানকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানান

ঢাকার শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত এই শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে বাংলাদেশের অধিনায়ক লিটন দাস টস জিতে প্রথমে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেন। পাকিস্তানের শুরুটা ছিল খুবই शानदार। सलामी জুটি সাহেবজাদা ফারহান এবং সাইম আইয়ুব প্রথম উইকেটের জন্য ৪৭ বলে ৮২ রানের ঝোড়ো পার্টনারশিপ করেন। এই পার্টনারশিপ পাকিস্তান দলকে একটি শক্তিশালী শুরু এনে দেয়।

৮ম ওভারে সাইম আইয়ুব নাসুম আহমেদের বলে ক্যাচ আউট হন। তিনি ২টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ২১ রান করেন। এর পর সাহেবজাদা ফারহান ৪১ বলে ৬৩ রানের একটি বিস্ফোরক ইনিংস খেলেন, যেখানে তিনি ৬টি চার ও ৫টি বিশাল ছক্কা মারেন। ফারহানের এই আক্রমণাত্মক ইনিংসটি পাকিস্তানের স্কোরকে গতি দেয়।

মিডল অর্ডারে কোনো ব্যাটার চলেনি

ওপেনিং জুটি আউট হওয়ার পর পাকিস্তানের মিডল অর্ডার ভেঙে পড়ে। মোহাম্মদ হারিস মাত্র ৫ রান করে আউট হন, যেখানে হাসান নওয়াজ ৩৩, হুসেন তালাত ১, মোহাম্মদ নওয়াজ ২৭ এবং ফাহিম আশরাফ ৪ রানের অবদান রাখেন। অধিনায়ক সালমান আলি আগা ১২ রানে অপরাজিত থাকেন, যেখানে আব্বাস আফ্রিদি ১ রানে অপরাজিত ফেরেন।

বাংলাদেশের হয়ে তাসকিন আহমেদ ৩টি উইকেট নেন, वहीं নাসুম আহমেদ ২টি সাফল্য পান। পাকিস্তান নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটের ক্ষতিতে ১৫৮ রান তোলে।

বাংলাদেশের ইনিংস ভেঙে পড়ে

সিরিজ আগেই জিতে নেওয়া বাংলাদেশ দল এই ম্যাচে একেবারেই ছন্দে ছিল না। পাকিস্তানের বোলাররা শুরু থেকেই চাপ সৃষ্টি করেন। বাংলাদেশের দুই ব্যাটার খাতা পর্যন্ত খুলতে পারেননি এবং আটজন ব্যাটার দুই অঙ্কের সংখ্যাও ছুঁতে পারেননি। ম্যাচের দ্বিতীয় বলেই তানজিদ হাসান তামিম কোনো রান না করেই আউট হয়ে যান। অধিনায়ক লিটন দাস ৮ রান করে দ্বিতীয় ওভারে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান।

এরপর মেহেদি হাসান মিরাজ (১০ রান), জাকের আলি (১ রান), শামীম হোসেন (৫ রান), মোহাম্মদ নাঈম (১০ রান), নাসুম আহমেদ (৯ রান), তাসকিন আহমেদ (৭ রান) এবং শরিফুল ইসলাম (৭ রান)-এর মতো ব্যাটাররা হতাশাজনক পারফরম্যান্স করেন। পাকিস্তানের বোলাররা আঁটসাঁট বোলিং করে বাংলাদেশের পুরো দলকে ১৫.৩ ওভারে মাত্র ৮৪ রানে গুটিয়ে দেয়। সালমান মির্জা शानदार বোলিং করে ৩টি উইকেট নেন। वहीं ফাহিম আশরাফ ও মোহাম্মদ নওয়াজ ২টি করে সাফল্য পান।

Leave a comment