এস.সি.ও. সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী মোদী: সন্ত্রাসবাদ মানবজাতির উপর হামলা, দ্বিমুখী নীতির বিরোধিতা

এস.সি.ও. সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী মোদী: সন্ত্রাসবাদ মানবজাতির উপর হামলা, দ্বিমুখী নীতির বিরোধিতা

এস.সি.ও. সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী মোদী সন্ত্রাসবাদের উপর কঠোর বার্তা দিলেন। पहलगाम হামলার উল্লেখ করে তিনি বলেন যে সন্ত্রাসবাদ মানবজাতির উপর হামলা। সমস্ত দেশকে একসঙ্গে এর বিরোধিতা করতে হবে। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফও উপস্থিত ছিলেন।

এস.সি.ও. সামিট: সাংহাই সহযোগিতা সংস্থা (এস.সি.ও.) সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সন্ত্রাসবাদকে সমগ্র মানবজাতির জন্য হুমকিস্বরূপ আখ্যা দিয়ে पहलগাম সন্ত্রাসী হামলার কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন যে এই হামলা কেবল ভারতের উপর নয়, মানবজাতির উপর একটি গুরুতর চ্যালেঞ্জ। প্রধানমন্ত্রী স্পষ্ট করেন যে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে কোনও ধরনের দ্বিমুখী নীতি গ্রহণ করা হবে না। তাঁর এই বার্তা সেই সময়ে এসেছিল যখন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ তাঁর সামনে উপস্থিত ছিলেন। মোদীর কথা শুনেই শাহবাজের মুখের রঙ উড়ে যায়, যা থেকে স্পষ্ট ইঙ্গিত মিলেছিল যে তাঁর ভাষণ সরাসরিভাবে পাকিস্তানকে লক্ষ্য করে ছিল।

ভারতের এস.সি.ও. নীতির তিনটি স্তম্ভ

প্রধানমন্ত্রী মোদী তাঁর ভাষণে ভারতের এস.সি.ও. নীতির তিনটি গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভের কথা বলেন। প্রথমত, Security অর্থাৎ নিরাপত্তা, যা আঞ্চলিক এবং বৈশ্বিক স্থিতিশীলতার ভিত্তি। দ্বিতীয়ত, Connectivity অর্থাৎ সংযোগ, যা দেশগুলির মধ্যে অর্থনৈতিক এবং সামাজিক সহযোগিতা বৃদ্ধি করে। তৃতীয়ত, Opportunity অর্থাৎ সুযোগ, যা উন্নয়ন এবং অগ্রগতির পথ খুলে দেয়। তিনি বলেন যে নিরাপত্তা, শান্তি এবং স্থিতিশীলতা ছাড়া উন্নয়ন সম্ভব নয়, তবে সন্ত্রাসবাদ, বিচ্ছিন্নতাবাদ এবং উগ্রবাদ এই পথের সবচেয়ে বড় বাধা।

সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে সমস্ত দেশকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান

প্রধানমন্ত্রী মোদী জোর দিয়ে বলেন যে সন্ত্রাসবাদের কোনও রূপ সমর্থনযোগ্য নয়। তিনি সমস্ত দেশকে ঐক্যবদ্ধভাবে এর বিরোধিতা করতে এবং সন্ত্রাসবাদের প্রতিটি রূপ ধ্বংস করার আহ্বান জানান। তিনি স্পষ্ট করেন যে সন্ত্রাসবাদ কেবল ভারতের বিষয় নয়, বরং এটি একটি বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ। এই সময়ে তিনি বিশেষভাবে এই বিষয়টি তুলে ধরেন যে এস.সি.ও. সদস্য দেশগুলিকে একসঙ্গে এই চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করতে হবে।

শাহবাজ শরীফের প্রতিক্রিয়া

যখন প্রধানমন্ত্রী মোদী पहलগাম হামলার উল্লেখ করেন, তখন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ তাঁর সামনে ছিলেন। তাঁর মুখের অভিব্যক্তি দেখে মনে হচ্ছিল যে মোদীর ভাষণ সরাসরিভাবে পাকিস্তানকে সতর্ক করার জন্য ছিল। এটি কেবল একটি রাজনৈতিক বার্তা ছিল না, বরং সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের কঠোর নীতির একটি স্পষ্ট পরিচয় ছিল। মোদী এই বার্তা দিয়েছিলেন যে সন্ত্রাসবাদ এবং সহিংসতা কোনও অবস্থাতেই সহ্য করা হবে না এবং সমস্ত দেশকে এতে সহযোগিতা করতে হবে।

ভারতের বৈশ্বিক অঙ্গীকার

প্রধানমন্ত্রী মোদী এস.সি.ও. মঞ্চ থেকে এও জানান যে ভারত সন্ত্রাসবাদ, উগ্রবাদ এবং আঞ্চলিক অস্থিরতার বিরুদ্ধে অঙ্গীকারবদ্ধ। তিনি বলেন যে ভারত এস.সি.ও.-এর মাধ্যমে তার প্রতিবেশী দেশ এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে সহযোগিতা বাড়ানোর জন্য প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে। নিরাপত্তা এবং স্থিতিশীলতার মাধ্যমে উন্নয়ন এবং সুযোগ বৃদ্ধি করা ভারতের অগ্রাধিকার। মোদী সমস্ত দেশের কাছে আবেদন করেন যে তারা সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে যৌথ কৌশল গ্রহণ করুক এবং যেকোনো ধরনের দ্বিমুখী নীতি শেষ করুক।

বৈশ্বিক শান্তির উপর জোর

প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণে এও বলেন যে সন্ত্রাসবাদ কেবল একটি দেশের বিরুদ্ধে নয়, বরং মানবজাতির বিরুদ্ধে। তিনি স্পষ্ট করেন যে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ঐক্যবদ্ধ হওয়া অপরিহার্য। ভারতের নীতি সর্বদা শান্তি এবং নিরাপত্তার উপর ভিত্তি করে ছিল, এবং এস.সি.ও. মঞ্চ থেকে তিনি এই নীতিকে একটি শক্তিশালী বার্তা হিসেবে উপস্থাপন করেন।

Leave a comment