বলিউড অভিনেত্রী শিল্পা শেঠি এবং তার স্বামী রাজ কুন্দ্রার বিরুদ্ধে ৬০ কোটি টাকার কথিত প্রতারণার মামলা ক্রমাগত শিরোনামে রয়েছে। এই মামলার কারণে মুম্বাই পুলিশ তাদের দুজনের বিরুদ্ধে লুকআউট সার্কুলার (এলওসি) জারি করেছে, যার ফলে তাদের বিদেশ ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে।
বিনোদন সংবাদ: অভিনেত্রী শিল্পা শেঠি এবং তার ব্যবসায়ী স্বামী রাজ কুন্দ্রা গত কয়েক মাস ধরে ৬০ কোটি টাকার প্রতারণা মামলা নিয়ে শিরোনামে রয়েছেন। এই মামলায় দুজনেই আইনি জটিলতায় জড়িয়ে পড়েছেন এবং তাদের বিদেশ ভ্রমণেও নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে। মুম্বাইয়ের এক ব্যবসায়ী শিল্পা ও রাজের বিরুদ্ধে ৬০ কোটি টাকার প্রতারণার মামলা দায়ের করেছিলেন। এরপরে মুম্বাই পুলিশ তাদের দুজনের বিরুদ্ধে লুকআউট সার্কুলার জারি করে, যার ফলে তারা দেশের বাইরে যেতে পারবেন না।
শিল্পা এই লুকআউট নোটিশ বাতিল করার জন্য আদালতে একটি আবেদন দায়ের করেছেন। আজ আদালত এই মামলায় মন্তব্য করে শিল্পার সামনে একটি শর্ত রেখেছে। আদালত বলেছে যে যদি তাকে বিদেশে যেতে হয়, তাহলে প্রথমে তাকে অনুমোদন নিতে হবে।
ইউটিউব ইভেন্টের জন্য বিদেশে যেতে চান শিল্পা
শিল্পা শেঠি এবং রাজ কুন্দ্রা ইতিমধ্যেই ২ থেকে ৫ অক্টোবরের মধ্যে ফুকেট অবকাশের জন্য বিদেশ ভ্রমণের পরিকল্পনা করেছিলেন। কিন্তু লুকআউট সার্কুলারের কারণে তাদের এই পরিকল্পনা ব্যর্থ হয়েছে। এখন শিল্পা একটি ইউটিউব ইভেন্টে অংশ নিতে বিদেশে যেতে চান। এর জন্য তিনি আদালতে এলওসি বাতিল করার আবেদন করেছেন।
আদালত এই আবেদনের শুনানি করে বলেছে যে যদি শিল্পা শেঠি বিদেশ ভ্রমণ করতে চান, তাহলে তাকে সরকারি সাক্ষী হতে হবে, তবেই তাকে বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে।
আদালতের কঠোর শর্ত
আদালত স্পষ্ট করে জানিয়েছে যে বিদেশ ভ্রমণের অনুমতি দেওয়ার আগে শিল্পা শেঠিকে প্রয়োজনীয় অনুমোদন এবং স্বীকৃতি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। এর ফলে নিশ্চিত হবে যে কথিত ৬০ কোটি টাকার প্রতারণা মামলায় শিল্পা এবং রাজ কুন্দ্রার দায়বদ্ধতা ও আইনি অবস্থান স্পষ্ট থাকবে। মুম্বাই পুলিশের অর্থনৈতিক অপরাধ শাখা (ইওডব্লিউ) শিল্পা শেঠি এবং রাজ কুন্দ্রাকে অভিযুক্ত করেছে। এলওসির কারণে এই জুটির বিদেশ ভ্রমণ এখন পর্যন্ত অসম্ভব ছিল। আদালত বলেছে যে যদি বিদেশে যেতে হয় তাহলে প্রথমে সরকারি সাক্ষী হতে হবে, এর পরেই ইউটিউব ইভেন্টে অংশ নেওয়ার অনুমতি মিলবে।
প্রতারণার মামলাটি কী?
অগাস্ট ২০২৫-এ ব্যবসায়ী দীপক কোঠারি শিল্পা শেঠি এবং রাজ কুন্দ্রার বিরুদ্ধে ৬০ কোটি টাকার প্রতারণার অভিযোগ আনেন। দীপক কোঠারির দাবি, তিনি ২০১৫ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে এই দম্পতিকে ব্যবসার জন্য এই অর্থ দিয়েছিলেন। কিন্তু তার অভিযোগ, রাজ কুন্দ্রা এবং শিল্পা এই অর্থ ব্যক্তিগত খরচে ব্যবহার করেছেন, ব্যবসায় নয়।
দীপক কোঠারি বহুবার শিল্পা ও রাজের কাছে টাকা ফেরত চেয়েছিলেন, কিন্তু এখন পর্যন্ত তিনি সেই অর্থ পাননি। এরপর তিনি আইনি পদক্ষেপ নিয়ে বিষয়টি আদালতে তোলেন।