অভিনেত্রী প্রনূতন বহল ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির এক বিখ্যাত পরিবার থেকে এসেছেন। তিনি মোহনিশ বহলের মেয়ে এবং কিংবদন্তি অভিনেত্রী নূতনের নাতনি, তাই তিনি সিনেমা জগতের পরিচিতি উত্তরাধিকার সূত্রে পেয়েছেন।
বিনোদন সংবাদ: বলিউডে অনেক তারকা সন্তানেরা সহজে পথ পান এমন একটি ধারণা প্রচলিত আছে, কিন্তু অভিনেত্রী প্রনূতন বহল এই ধারণা ভেঙে দিয়ে জানিয়েছেন যে একজন তারকা সন্তান হওয়া সত্ত্বেও ইন্ডাস্ট্রিতে নিজের জায়গা তৈরি করা ততটা সহজ নয়। প্রনূতন বহল ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির এক বিখ্যাত পরিবারের সদস্য। তিনি অভিনেতা মোহনিশ বহলের মেয়ে এবং কিংবদন্তি অভিনেত্রী নূতনের নাতনি। তাঁর কাছে সিনেমার ঐতিহ্য থাকলেও, এরপরেও তিনি তাঁর কর্মজীবনের শুরুতে অনেক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছিলেন।
তারকা সন্তানদের জন্য বলিউড সহজ নয়
এইচটি-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রনূতন বহল খোলাখুলি জানিয়েছেন যে একজন তারকা সন্তান হওয়া সত্ত্বেও ইন্ডাস্ট্রিতে সাফল্য পাওয়া সহজ নয়। তিনি বলেছেন যে তিনি সব সময় অভিনেতা এবং ফিল্মি পরিবেশের মধ্যে থাকতেন, যা তাঁকে ইন্ডাস্ট্রির জটিলতা এবং সংগ্রামগুলি বুঝতে সাহায্য করেছে। প্রনূতন স্বীকার করেছেন যে অনেক সময় কোনো প্রোজেক্ট ছাড়া দীর্ঘ সময় কাটাতে হয়েছে, এবং এর জন্য তাঁকে মানসিকভাবে প্রস্তুত করা হয়েছিল।
তিনি এও জানিয়েছেন যে যেসব তারকা সন্তানদের বাবা-মা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে যুক্ত নন, তাদের জন্য এই যাত্রা আরও বেশি চ্যালেঞ্জিং হয়ে ওঠে। তাদের শুধু পেশাদার স্তরেই নয়, ব্যক্তিগতভাবেও অনেক কিছু শিখতে হয়।
পরিবারের থেকে সাহায্য নয়, সব কিছু নিজে করেছেন
প্রনূতন বহল এও স্পষ্ট করেছেন যে তাঁর পরিবার সিনেমার জন্য অর্থ দেয় না এবং তারকা সন্তান হওয়ার সুবিধা কেবল উত্তরাধিকার পর্যন্তই সীমিত ছিল। তিনি বলেছেন, “প্রত্যেক তারকা সন্তান সবকিছু সহজে পায় না, আর আমি এর জ্বলন্ত উদাহরণ। এটা সত্যি নয় যে আমি একজন অভিনেতার সন্তান বলে সবকিছু সহজে পেয়ে গেছি। পরিবার আমার জন্য কোনো অর্থায়ন করেনি।”
প্রনূতন ২০১৬ সালে তাঁর অডিশন শুরু করেছিলেন। নিরন্তর পরিশ্রম ও সংগ্রামের পর ২০১৮ সালে তিনি তাঁর প্রথম ছবির প্রস্তাব পান। প্রনূতন জানিয়েছেন যে তাঁকে মানসিক অস্থিরতা এবং ব্যক্তিগত ধাক্কা সামলাতে হয়নি, তাই তিনি ইন্ডাস্ট্রির শুরুর দিকটা সহজভাবে সামলেছিলেন।
কাজের প্রসঙ্গে বলতে গেলে, প্রনূতন বহল ২০১৯ সালে ‘নোটবুক’ ছবি দিয়ে তাঁর অভিনয় জীবন শুরু করেন। এই ছবিতে তাঁর সঙ্গে অভিনয় করেছিলেন জহির ইকবাল এবং ছবির প্রযোজক ছিলেন সালমান খান। এই ছবিটি তাঁর কর্মজীবনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণিত হয়েছিল।