খেলোয়াড়, বডি বিল্ডার বা সাধারণ সুস্থ জীবনযাপনের চেষ্টা করা মানুষদের কাছে স্প্রাউট স্যালাড বা অঙ্কুরিত শস্য এক প্রিয় খাদ্য। তবে পুষ্টিবিদ খুশি ছাবরা সতর্ক করেছেন, স্প্রাউট খাওয়ার পদ্ধতির উপরই নির্ভর করে এটি পুষ্টিকর হবে, না হবে হজমের সমস্যা ও ব্যাকটেরিয়ার ঝুঁকির কারণ।
স্প্রাউট – সুপারফুড নাকি ঝুঁকি?
খুশি ছাবরা জানান, স্প্রাউট প্রোটিন, ফাইবার, ভিটামিন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ। কিন্তু কাঁচা অবস্থায় খেলে অনেকেই পেট ফাঁপা, গ্যাস, কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় ভোগেন। কাঁচা স্প্রাউট হজমে কঠিন এবং এতে থাকতে পারে ব্যাকটেরিয়া, যা পেটের সমস্যা বাড়ায়।
কাঁচা স্প্রাউটের ঝুঁকি
স্প্রাউট উষ্ণ ও আর্দ্র পরিবেশে অঙ্কুরিত হয়। সঠিকভাবে না ধুলে বা সংরক্ষণ না করলে এতে E. coli বা Salmonella-র মতো ব্যাকটেরিয়া জন্মাতে পারে। ফলে স্বাস্থ্য ঝুঁকি বাড়তে পারে।
কিভাবে খেলে নিরাপদ ও পুষ্টিকর?
খুশি ছাবরা জানান, কিছু সহজ নিয়ম মানলেই স্প্রাউট খাওয়া নিরাপদ ও হজমের সহায়ক হতে পারে:
হালকা ভাপে বা রান্না করে খাওয়া: শক্ত ফাইবার নরম হয়, ব্যাকটেরিয়া কমে।
হজমে সহায়ক মশলা ব্যবহার: আদা, জিরে, গোলমরিচ, বিট লবণ হজমে সাহায্য করে।
পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ: দিনে অর্ধেক থেকে এক কাপ যথেষ্ট; বেশি খেলে উল্টো প্রভাব।
প্রোটিনের সঙ্গে খাওয়া: দই, পনির বা ডিমের সঙ্গে খেলে খাবারের ভারসাম্য বজায় থাকে।
পুষ্টিবিদের পরামর্শ
খুশি ছাবরা বলেন, “স্প্রাউটকে আমরা কাঁচা খাবার হিসেবে দেখি, তাই অনেকেই ভাবেন কাঁচা খেলেই সবচেয়ে ভালো। বাস্তবে কাঁচা খাবার হজমে কঠিন এবং ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণের আশঙ্কা বেশি, বিশেষ করে যাদের অন্ত্র দুর্বল।
স্প্রাউট বা অঙ্কুরিত শস্য নিঃসন্দেহে পুষ্টিকর। তবে কীভাবে ধোয়া হচ্ছে, সংরক্ষণ হচ্ছে, রান্না হচ্ছে এবং কতটা খাওয়া হচ্ছে—সবই সমান গুরুত্বপূর্ণ। সঠিকভাবে খেলে স্বাস্থ্যকর, ভুলভাবে খেলে হজম ও রোগসংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ায়।