সুপ্রিম কোর্ট সেই ক্যাডেটদের সমস্যাগুলির স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে cognizance নিয়েছে, যারা প্রশিক্ষণের সময় দিব্যাঙ্গ (শারীরিকভাবে অক্ষম) হয়ে যান এবং চিকিৎসার কারণে সামরিক প্রতিষ্ঠান থেকে বহিষ্কৃত হন।
নয়াদিল্লি: দেশের শীর্ষ আদালত সুপ্রিম কোর্ট সেই ক্যাডেটদের অসুবিধাগুলোর স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে cognizance নিয়েছে, যারা ন্যাশনাল ডিফেন্স অ্যাকাডেমি (NDA) এবং ইন্ডিয়ান মিলিটারি অ্যাকাডেমি (IMA) এর মতো শীর্ষ সামরিক প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে প্রশিক্ষণের সময় দিব্যাঙ্গ (শারীরিকভাবে অক্ষম) হয়ে যান। এই ক্যাডেটদের চিকিৎসার কারণে প্রতিষ্ঠান থেকে বহিষ্কার করা হয়, যার ফলে তারা অনেক গুরুতর সমস্যার সম্মুখীন হন।
জাস্টিস বিভি নাগারত্ন এবং জাস্টিস আর মহাদেভনের বেঞ্চ সোমবার এই মামলার শুনানি করবে। সুপ্রিম কোর্টের এই উদ্যোগ সেই সকল ক্যাডেটের জন্য স্বস্তির আশা জাগিয়েছে, যারা বছরের পর বছর ধরে তাদের সমস্যার সমাধানের জন্য সংগ্রাম করছেন।
কিভাবে এই মামলার শুরু
এই মামলাটি 12 আগস্ট, 2025 তারিখে নথিভুক্ত করা হয়েছিল, যখন একটি মিডিয়া রিপোর্টে সেই ক্যাডেটদের অসুবিধাগুলি তুলে ধরা হয়েছিল, যারা প্রশিক্ষণের সময় আহত হয়ে দিব্যাঙ্গ (শারীরিকভাবে অক্ষম) হয়ে গেছেন। রিপোর্টে বলা হয়েছে যে 1985 সাল থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় 500 জন ক্যাডেটকে চিকিৎসার কারণে সামরিক প্রতিষ্ঠান থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
মিডিয়া রিপোর্ট অনুসারে, এই ক্যাডেটরা একসময় দেশের শীর্ষ সামরিক প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের প্রশিক্ষণের অংশ ছিলেন। প্রশিক্ষণের সময় তারা গুরুতর আঘাত পেয়েছেন, যার ফলে তারা সম্পূর্ণরূপে সক্ষম থাকতে পারেননি। তা সত্ত্বেও, তাদের সরকারি পর্যায়ে পর্যাপ্ত সহায়তা দেওয়া হচ্ছে না।
ক্যাডেটদের সমস্যা
এই দিব্যাঙ্গ (শারীরিকভাবে অক্ষম) ক্যাডেটদের প্রধানত তিনটি গুরুতর সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়:
- ক্রমবর্ধমান চিকিৎসা খরচ: প্রশিক্ষণের সময় আঘাত পাওয়ার পরে এই ক্যাডেটরা ক্রমাগত ক্রমবর্ধমান চিকিৎসা খরচের বোঝা বহন করছেন। বিশেষ চিকিৎসা, ওষুধ এবং পুনর্বাসনে (rehabilitation) লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ হয়।
- কম মাসিক অনুদান: নিয়ম অনুযায়ী, তাদের শুধুমাত্র সর্বোচ্চ 40,000 টাকা পর্যন্ত মাসিক অনুদান দেওয়া হয়। এই পরিমাণ তাদের ক্রমবর্ধমান খরচের তুলনায় খুবই কম।
- প্রাক্তন সৈনিক (ESM) এর মর্যাদা না পাওয়া: যদি তারা প্রাক্তন সৈনিক (ESM) এর মর্যাদা পান, তাহলে তারা এক্স-সার্ভিসম্যান কন্ট্রিবিউটরি হেলথ স্কিম (ECHS) এর অধীনে সামরিক হাসপাতাল এবং স্বীকৃত হাসপাতালে বিনামূল্যে চিকিৎসার অধিকারী হবেন। কিন্তু বর্তমান নিয়ম অনুযায়ী, এই ক্যাডেটরা এই মর্যাদা পান না।
ক্যাডেটরা প্রশিক্ষণের সময় কিভাবে তাদের জীবন ঝুঁকির মধ্যে ফেলেছিলেন
1985 সাল থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় 500 জন ক্যাডেট NDA এবং IMA-এর মতো শীর্ষ সামরিক প্রতিষ্ঠানে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচি শারীরিক ও মানসিকভাবে অত্যন্ত কঠিন।
- উচ্চ চাপের প্রশিক্ষণ সেশন
- কঠিন শারীরিক কার্যকলাপ এবং দৌড়
- অস্ত্র প্রশিক্ষণ এবং ফিল্ড এক্সারসাইজ
এই কার্যক্রমের সময় অনেক ক্যাডেট গুরুতর আঘাতের শিকার হয়েছেন এবং দিব্যাঙ্গ (শারীরিকভাবে অক্ষম) হয়ে গেছেন। তা সত্ত্বেও, তাদের প্রতিষ্ঠান থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে এবং সরকারি সাহায্য সীমিত রয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টের শুনানি কেন গুরুত্বপূর্ণ
সুপ্রিম কোর্ট কর্তৃক এই মামলার স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে cognizance নেওয়া থেকে বোঝা যায় যে আদালত প্রশিক্ষণের সময় আহত ক্যাডেটদের অসুবিধাগুলোকে গুরুত্বের সাথে দেখছে। এই পদক্ষেপ ক্যাডেটদের ন্যায়বিচার পাইয়ে দেওয়ার দিকে গুরুত্বপূর্ণ হবে। সম্ভবত আদালত অনুদান বাড়ানো বা ESM মর্যাদা দেওয়ার জন্য নির্দেশিকা জারি করবে। এতে ভবিষ্যতে প্রশিক্ষণের সময় আহত হওয়া ক্যাডেটরাও আরও ভাল সুরক্ষা এবং আর্থিক সহায়তা পাবে।
1985 সাল থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় 500 জন ক্যাডেটকে প্রশিক্ষণের সময় দিব্যাঙ্গ (শারীরিকভাবে অক্ষম) হওয়ার কারণে সামরিক প্রতিষ্ঠান থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এখন এই লোকেরা ক্রমবর্ধমান চিকিৎসা খরচ এবং কম অনুদানের মধ্যে সংগ্রাম করছেন।