২০২৫ সালে দুর্গাপূজা: বিজয়া দশমী ও বিসর্জনের শুভক্ষণ

২০২৫ সালে দুর্গাপূজা: বিজয়া দশমী ও বিসর্জনের শুভক্ষণ

দুর্গো বিসর্জন ২০২৫ সালের ২রা অক্টোবর বিজয়া দশমীর দিনে পালিত হবে, যা শারদীয়া नवरात्रि ২০২৫-এর সমাপ্তি ঘটাবে। সকাল ০৬:১৫ থেকে ০৮:৩৭ পর্যন্ত সময়টি বিশেষভাবে শুভ বলে মনে করা হয়। এই দিন মা দুর্গকে বিধিমতো বিদায় জানানো হয় এবং বাঙালি সম্প্রদায়ে সিঁদুর খেলা উৎসবও পালিত হয়।

দুর্গো বিসর্জন ২০২৫: এবছর শারদীয়া नवरात्रि ২২শে সেপ্টেম্বর থেকে ১লা অক্টোবর পর্যন্ত চলবে এবং এর সমাপ্তি ঘটবে দুর্গো বিসর্জনের মাধ্যমে ২রা অক্টোবর বিজয়া দশমীর দিনে। সমগ্র ভারত এবং বিশেষ করে বাঙালি সম্প্রদায়ে এই দিন মা দুর্গকে বিধিমতো বিদায় জানানো হবে। এই উপলক্ষে সকাল ০৬:১৫ থেকে ০৮:৩৭ পর্যন্ত শুভ মুহূর্ত নির্ধারিত হয়েছে, এবং অনেক পরিবারে সিঁদুর খেলা উৎসবও পালিত হয়। এই উৎসব ভক্তদের জন্য ধর্মীয় তাৎপর্য বহন করে এবং ঐতিহ্যবাহী রীতিনীতির মাধ্যমে সম্মিলিত আনন্দের সুযোগও প্রদান করে।

দুর্গো বিসর্জনের শুভ মুহূর্ত

পঞ্জিকা অনুসারে, প্রতি বছর অশ্বিন মাসের শুক্লপক্ষের দশমী তিথিতে সকাল বা অপরাহ্ন কালে দুর্গো বিসর্জন করা হয়। যদি দশমী তিথি এবং শ্রবণ নক্ষত্র উভয়ই সকালের সময় একত্রিত হয়, তবে সকালের সময় বিশেষভাবে শুভ বলে বিবেচিত হয়। এই বছর অশ্বিন মাসের শুক্লপক্ষের দশমী তিথি ১লা অক্টোবর সন্ধ্যা ০৭:০১ মিনিটে শুরু হয়ে ২রা অক্টোবর সন্ধ্যা ০৭:১০ মিনিট পর্যন্ত থাকবে। দুর্গো বিসর্জনের জন্য সবচেয়ে শুভ সময় সকাল ০৬:১৫ থেকে ০৮:৩৭ পর্যন্ত নির্ধারিত করা হয়েছে।

ব্রত পারণ এবং শুভ ইঙ্গিত

দুর্গো বিসর্জনের দিন দেবীর প্রতিমার বিসর্জন করে সম্মান জানানো হয় এবং नवरात्रि ব্রতের পারণও করা হয়। এই বছর ব্রত পারণ ২রা অক্টোবর সকাল ৬:১৫ মিনিটের পর করা হবে। যদি দশমী তিথি এবং শ্রবণ নক্ষত্র সকালের সময় একত্রিত হয়, তবে সকালের সময় বিশেষভাবে শুভ এবং গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়।

প্রতিমা বিসর্জনের সঠিক বিধি

বিসর্জনের দিন ব্রহ্মমুহূর্তে জেগে স্নান সেরে বিধিমতো মা দুর্গার পূজা করুন এবং ভোগ নিবেদন করুন। মাকে সিঁদুর নিবেদন করুন এবং বিবাহিত মহিলারা নিজেরাও সিঁদুর পরে শুভেচ্ছা ভাগ করে নিন। এরপর আরতি এবং জয়ধ্বনির মাধ্যমে মা দুর্গার প্রতিমা কোনো পুকুর বা নদীতে বিধিমতো বিসর্জন করুন।

এইভাবে, ২০২৫ সালে দুর্গো বিসর্জনের এই শুভ উপলক্ষ কেবল ধর্মীয় তাৎপর্যই বহন করে না, বরং ঐতিহ্যবাহী রীতিনীতি এবং সামাজিক উৎসবের মাধ্যমে ভক্তদের মধ্যে আনন্দ এবং সম্মিলিত অংশগ্রহণও বৃদ্ধি করে।

Leave a comment