তেলেগু-র একটি সংবাদ চ্যানেলের নিউজ অ্যাঙ্কর স্বেচ্ছা ভোটারকারের আত্মহত্যার খবরে সবাই স্তম্ভিত। এই দুঃখজনক ঘটনায় গোটা এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
Swetcha Votarkar Death: তেলুগু টিভি সাংবাদিকতা জগৎ থেকে একটি অত্যন্ত দুঃখজনক এবং মর্মান্তিক খবর সামনে এসেছে। জনপ্রিয় নিউজ অ্যাঙ্কর স্বেচ্ছা ভোটারকার মাত্র ৪০ বছর বয়সে জীবন শেষ করেছেন। শুক্রবার গভীর রাতে তাঁর দেহ হায়দ্রাবাদে তাঁর বাড়ির একটি ঘরে সিলিং ফ্যানের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। এই খবর শোনা মাত্রই তেলেঙ্গানা সহ সমগ্র তেলুগু মিডিয়া জগতে শোকের ছায়া নেমে আসে।
স্বেচ্ছা ভোটারকার বিগত কয়েক বছর ধরে তেলুগু নিউজ চ্যানেলগুলিতে অ্যাঙ্কর হিসেবে কাজ করছিলেন এবং তাঁর স্পষ্টবাদী শৈলী ও গুরুতর বিষয়গুলি তুলে ধরার জন্য পরিচিত ছিলেন। তাঁর প্রয়াণে সাংবাদিকতা জগতে অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে।
পিতার এফআইআর, প্ররোচনার অভিযোগ
স্বেচ্ছার বাবা মেয়ের মৃত্যুর পরপরই স্থানীয় থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। তাঁর অভিযোগে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে স্বেচ্ছা-কে মানসিক নির্যাতন করে আত্মহত্যায় প্ররোচিত করার অভিযোগ আনা হয়েছে। পুলিশ ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৬ ধারা (আত্মহত্যায় প্ররোচনা) এর অধীনে একটি মামলা রুজু করেছে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে এবং ঘটনার গভীর তদন্ত করা হবে।
মৃত্যুর আগে কোনো সুইসাইড নোট মেলেনি
স্বেচ্ছার ঘর থেকে কোনো সুইসাইড নোট উদ্ধার করা যায়নি, যার ফলে তাঁর এই পদক্ষেপের কারণগুলি এখনো পর্যন্ত রহস্যে মোড়া। যদিও পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, স্বেচ্ছা কিছু দিন ধরে মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন, তবে প্রকাশ্যে তিনি কখনো সে কথা জানাননি। পুলিশ তাঁর মোবাইল ফোন এবং ল্যাপটপ জব্দ করে ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠিয়েছে, যাতে ডিজিটাল প্রমাণ সংগ্রহ করা যায়।
বিআরএস নেতা কেটি রামা রাও শোক প্রকাশ করেছেন
স্বেচ্ছা ভোটারকারের মৃত্যুর খবর শুনে তেলেঙ্গানার বিআরএস নেতা এবং কার্যকরী সভাপতি কেটি রামা রাওও শোক প্রকাশ করেছেন। তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর শোকবার্তা প্রকাশ করে লিখেছেন, "স্বেচ্ছা ভোটারকারের অকাল প্রয়াণের খবরে আমি গভীরভাবে শোকাহত। এটি সাংবাদিকতা জগতের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি। ভগবান তাঁর পরিবারকে এই শোক সহ্য করার শক্তি দিন।"
তাঁর এই প্রতিক্রিয়ার পর হাজার হাজার মানুষ সোশ্যাল মিডিয়ায় স্বেচ্ছা-কে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন এবং তাঁর সাংবাদিকতাকে স্মরণ করেছেন। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, স্বেচ্ছা-র মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে এবং রিপোর্টের অপেক্ষা করা হচ্ছে। ময়নাতদন্তের পরেই মৃত্যুর সঠিক কারণ স্পষ্টভাবে জানা যাবে। একইসঙ্গে, তাঁর কল রেকর্ড, মেসেজ এবং সোশ্যাল মিডিয়া কার্যকলাপের পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত করা হচ্ছে, যাতে আত্মহত্যার আসল কারণ জানা যায়।
