তেজস্বী যাদবের নীতীশ সরকারের বিরুদ্ধে ৮০ হাজার কোটির কেলেঙ্কারির অভিযোগ

তেজস্বী যাদবের নীতীশ সরকারের বিরুদ্ধে ৮০ হাজার কোটির কেলেঙ্কারির অভিযোগ

সিএজি রিপোর্টের हवाला দিয়ে তেজस्वी যাদবের নীতীশ সরকারের বিরুদ্ধে ৮০ হাজার কোটি টাকার কেলেঙ্কারির অভিযোগ। আগস্ট মাসে রাজ্যজুড়ে জনসংযোগ যাত্রা করবে মহাজোট।

বিহার নিউজ: বিহারের রাজনীতি আবারও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। বিরোধী দলনেতা তেজस्वी যাদব বুধবার এক প্রেস কনফারেন্সে নীতীশ কুমারের সরকারের বিরুদ্ধে গুরুতর আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ করেছেন। তেজস্বী বলেন, সিএজি (কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল)-এর সাম্প্রতিক রিপোর্টে জানা গিয়েছে যে রাজ্য সরকার প্রায় ৮০,০০০ কোটি টাকার কোনও স্পষ্ট হিসাব দেয়নি। তিনি এটিকে અત્યાર સુધી સૌથી મોટો घोटाલ करार दिए।

তেজस्वी বলেন, "আমরা আগে থেকেই বলে আসছি যে ডবল ইঞ্জিন সরকারের একটি ইঞ্জিন দুর্নীতি এবং অন্যটি অপরাধে যুক্ত। সিএজি রিপোর্ট আমাদের দাবির সত্যতা প্রমাণ করে।" তিনি আরও বলেন যে সরকার স্বচ্ছতার নামে জনগণকে বিভ্রান্ত করছে এবং আসলে রাজ্যের আর্থিক ব্যবস্থাপনা ভেঙে পড়েছে।

মহাজোটের জনসংযোগ যাত্রার ঘোষণা

তেজस्वी যাদব আরও ঘোষণা করেন যে রাখিবন্ধনের পর মহাজোট রাজ্যজুড়ে জনসংযোগ যাত্রা শুরু করবে। এই সময়ে তাঁরা জনগণের কাছে সরকারের ব্যর্থতা, সিএজি রিপোর্টে প্রকাশিত দুর্নীতি, আইন-শৃঙ্খলা এবং ভোটাধিকার হরণের মতো বিষয়গুলি তুলে ধরবেন।

তিনি বলেন, "আমরা প্রতিটি জেলা, প্রতিটি বিধানসভা কেন্দ্রে যাব এবং জনগণকে জানাব যে তাঁদের কষ্টার্জিত অর্থ কীভাবে गायब করা হচ্ছে। এটি কেবল রাজনৈতিক লড়াই নয়, এটি জনগণের অধিকার এবং সম্পদের লড়াই।"

বিহার কংগ্রেসের সমর্থন এবং রাহুল গান্ধীর সম্ভাব্য সফর

তেজস্বীর বিবৃতির পর বিহার কংগ্রেসও সামনে এসেছে। প্রদেশ সভাপতি রাজেশ রাম বলেন যে আগস্ট মাসটি সম্পূর্ণরূপে জনগণের आवाज হওয়ার জন্য समर्पित করা হবে। তিনি বলেন যে রাজ্যের সমস্ত নয়টি বিভাগে মহাজোটের পক্ষ থেকে कार्यक्रम आयोजित করা হবে এবং সরকারের ব্যর্থতাগুলি তুলে ধরা হবে।

রাজেশ রাম আরও জানান যে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী আগস্ট মাসে বিহার সফর করতে পারেন এবং একটি বড় জনসভায় ভাষণ দেবেন। এই कार्यक्रम নিয়ে প্রস্তুতি শুরু হয়েছে।

আবাসিক শংসাপত্র নিয়েও প্রশ্ন

তেজस्वी यादव सरकारের डिजिटल ব্যবস্থা এবং প্রশাসনিক सतर्कতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। তিনি সম্প্রতি ডগ বাবু এবং मोनालिसा নামে जारी হওয়া আবাসিক শংসাপত্রের উদাহরণ দিয়ে বলেন যে এটি গভীর लापरवाही এবং প্রশাসনিক ব্যর্থতার প্রমাণ।

তিনি ব্যঙ্গাত্মক সুরে বলেন, "এখন দেখার বিষয় হল পরবর্তী শংসাপত্র কোন নামে আসবে। প্রথমে সানি লিওনের নামে শংসাপত্র তৈরি হয়েছিল, এখন ডগ বাবু এবং মোনালিসার নাম সামনে এসেছে। এটাই কি সরকারের गहन पुनरीक्षण प्रक्रिया?"

ডগ বাবু এবং मोनालिसा की ঘটনা প্রশাসনকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে

উল্লেখ্য, সম্প্রতি পাটনায় ডগ বাবু এবং मोनालिसा নামের ব্যক্তিদের নামে আবাসিক শংসাপত্রের জন্য আবেদন করা হয়েছিল। এদের মধ্যে ডগ বাবুর নামে তৈরি হওয়া শংসাপত্র সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়। যখন এই বিষয়টি নিয়ে জলঘোলা শুরু হয়, তখন জেলা প্রশাসন এটিকে फर्जी करार দিয়ে বাতিল করে দেয়। তবে, ততক্ষণে প্রশ্ন উঠেছে যে কীভাবে এই ধরনের নামে শংসাপত্র जारी হয়ে গেল?

সরকারের জবাবদিহি तय হওয়া উচিত

তেজस्वी यादव সিএজি রিপোর্টকে গুরুত্ব দিয়ে দেখার দাবি জানিয়েছেন এবং বলেছেন যে ৮০ হাজার কোটি টাকার হিসাব না দেওয়া সরাসরি আর্থিক অনিয়ম এবং দায়িত্ব এড়ানোর চেষ্টা। তিনি বলেন, "আমরা এই রিপোর্টটি বিধানসভাতেও তুলব এবং জনগণের কাছে এর সত্যতা পৌঁছে দেব। সরকারকে জবাব দিতেই হবে।"

Leave a comment