কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীর সঙ্গে 'ভোট অধিকার যাত্রা' শেষ করার পর, আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব এবার এক নতুন যাত্রায় বের হচ্ছেন। তিনি 'বিহার অধিকার যাত্রা'র মাধ্যমে জনগণের সঙ্গে সরাসরি সংযোগ স্থাপন করবেন।
पटना: বিহারে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনকে ঘিরে রাজনৈতিক তৎপরতা বৃদ্ধি পেয়েছে। এই প্রেক্ষিতে, আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব একটি নতুন যাত্রায় বের হচ্ছেন, যার নাম তিনি দিয়েছেন 'বিহার অধিকার যাত্রা'। এই যাত্রা ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হয়ে ২০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলবে এবং বিহারের মোট ১১টি জেলার মধ্যে দিয়ে অতিক্রম করবে। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা এটিকে আসন্ন নির্বাচনে আরজেডির কৌশল এবং বিরোধী দলের শক্তি প্রদর্শনের প্রয়াস হিসেবে দেখছেন।
যাত্রার রুট এবং কর্মসূচি
তথ্য অনুযায়ী, তেজস্বী যাদবের যাত্রা জাহানাবাদ থেকে শুরু হয়ে বৈশালী তে শেষ হবে। যাত্রার সময় নিম্নলিখিত জেলাগুলি অন্তর্ভুক্ত থাকবে:
- জাহানাবাদ
- নালন্দা
- পাটনা
- বেগুসরাই
- খাগড়িয়া
- মধুপুর
- সহারসা
- সুপৌল
- সমस्तीপুর
- উজিয়ারপুর
- বৈশালী
যাত্রার সময়, তেজস্বী যাদব মহাজোটের নির্বাচনী ইশতেহার জনগণের সামনে তুলে ধরবেন। এছাড়াও, তিনি বিহার এবং কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের বিষয় নিয়ে জনগণের মধ্যে ইস্যু উত্থাপন করবেন এবং ব্যাখ্যা করবেন কিভাবে রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের নীতি সাধারণ মানুষকে প্রভাবিত করেছে।
যাত্রার সময়, তেজস্বী তাঁর কর্মীদের এবং স্থানীয় নেতাদের সঙ্গেও যোগাযোগ করবেন। প্রতিটি জেলায় সমস্ত বিধায়ক, সাংসদ, জেলা সভাপতি এবং কর্মকর্তাদের যাত্রার জন্য প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও, SIR (Special Issue Resolution) এবং অন্যান্য সামাজিক ও উন্নয়নমূলক বিষয়গুলিও জনগণের সামনে উত্থাপন করা হবে।
পূর্ববর্তী যাত্রার অভিজ্ঞতা
এর আগে, তেজস্বী যাদব কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীর সাথে 'ভোটর অধিকার যাত্রা'য় অংশ নিয়েছিলেন। সেই যাত্রার উদ্দেশ্য ছিল ভোটার তালিকা সংশোধন অভিযানের বিরুদ্ধে জনগণের সমর্থন আদায় করা। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, এই অভিযান যথেষ্ট সফল হয়েছিল এবং এটি আরজেডির জনসম্পর্ক ক্ষমতাকে শক্তিশালী করেছিল।
এই সাফল্যের কথা মাথায় রেখেই তেজস্বী যাদব একাই 'বিহার অধিকার যাত্রা'র সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এবার তিনি শুধুমাত্র দলীয় নেতাদের সাথে নয়, সরাসরি জনগণের সাথে সংযোগ স্থাপন করে তাদের সমস্যা ও চাহিদাগুলি তুলে ধরবেন।
যাত্রার গুরুত্ব এবং বিরোধী দলের কৌশল
আরজেডির বক্তব্য হলো, এই যাত্রা কেবল নির্বাচনী প্রচারের একটি মাধ্যম নয়, বরং বিহারের জনগণের প্রকৃত সমস্যাগুলি তুলে ধরা এবং বিরোধী দলের শক্তি প্রদর্শনের একটি উপায়। এই যাত্রার সময়, তেজস্বী যাদব:
- বিহারের নাগরিকদের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করবেন।
- জনগণের মতামতের ভিত্তিতে নতুন নির্বাচনী ইস্যু তৈরি করবেন।
- বিরোধী দলগুলির সংগঠিত শক্তি প্রদর্শনের চেষ্টা করবেন।
- কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের নীতিগুলির পর্যালোচনা ও সমালোচনা করবেন।
যাত্রার সময় জনগণের অংশগ্রহণ এবং সমর্থন নির্ধারণ করবে যে আরজেডি আসন্ন নির্বাচনে কতটা কার্যকর ভূমিকা পালন করতে পারবে।