তেলেঙ্গানার সঙ্গারেড্ডি জেলার সিগাচি কেমিক্যালস ফ্যাক্টরিতে সোমবার সকালে ভয়াবহ বিস্ফোরণ হয়, যা এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে। পাশা মেলারাম শিল্পাঞ্চলে অবস্থিত এই ফ্যাক্টরিতে সকাল ৯টা নাগাদ রাসায়নিক রিঅ্যাকটরে জোরালো বিস্ফোরণ ঘটে, যার ফলে পুরো ইউনিট আগুনে ঢেকে যায়। বিস্ফোরণের শব্দ কয়েক কিলোমিটার দূর পর্যন্ত শোনা যায়, যার ফলে আশেপাশের এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, বিস্ফোরণটি এত তীব্র ছিল যে অনেক শ্রমিক हवाতে उछলে দূরে গিয়ে পড়েন। ঘটনাস্থলে চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু হয় এবং মানুষ জীবন বাঁচাতে এদিক-ওদিক ছুটতে থাকে। আগুন দ্রুত ফ্যাক্টরিটিকে গ্রাস করে।
১০ জন শ্রমিকের মৃত্যু
এখন পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী, এই দুর্ঘটনায় ১০ জন শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে, যেখানে ২০ জনের বেশি আহত হয়েছেন। অনেক শ্রমিকের অবস্থা গুরুতর বলে জানা গেছে। আহতদের প্রথমে টনচেরু হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় এবং গুরুতর আহতদের হায়দ্রাবাদে রেফার করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে উদ্ধার অভিযান দ্রুত গতিতে চলছে, যেখানে উদ্ধারকারী দলগুলি তৎপরতার সাথে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ব্যস্ত রয়েছে।
দমকল ও মেডিকেল টিম উদ্ধার কাজে নিয়োজিত
দমকল বিভাগের চারটি গাড়ি ঘটনাস্থলে মোতায়েন করা হয়েছে, যারা আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে। এছাড়াও ১০৮ অ্যাম্বুলেন্স এবং মেডিকেল টিম আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া এবং প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে ব্যস্ত রয়েছে। বিস্ফোরণের কারণে ফ্যাক্টরির একটি অংশ ভেঙে পড়েছে, যার ফলে ধ্বংসস্তূপের নিচে আরও অনেকে আটকা পড়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। প্রশাসন সতর্কতা হিসেবে ফ্যাক্টরি এবং তার আশেপাশের পুরো এলাকা খালি করে দিয়েছে।
১০০ জনের বেশি শ্রমিক ডিউটিতে ছিলেন
স্থানীয় সূত্রে খবর, সিগাচি কেমিক্যালসে ঔষধের জন্য ব্যবহৃত রাসায়নিক পাউডার তৈরি করা হয় এবং এখানে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা প্রায় ১০০ জন শ্রমিক কাজ করছিলেন। দুর্ঘটনার খবর পাওয়া মাত্র মৃত ও আহতদের আত্মীয়-স্বজন ফ্যাক্টরির বাইরে জড়ো হতে শুরু করে, যা পরিস্থিতিকে আরও শোকাবহ করে তোলে।
প্রশাসন তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে
প্রশাসন দুর্ঘটনার গুরুত্ব বিবেচনা করে উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে রিঅ্যাকটরের কারিগরি ত্রুটির সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে, তবে বিস্ফোরণের আসল কারণ তদন্তের পরেই নিশ্চিত করা যাবে। এরই মধ্যে পুলিশ ও দমকল বিভাগ জনগণকে ঘটনাস্থলের আশেপাশে ভিড় না করার আবেদন জানিয়েছে, যাতে উদ্ধার কাজে কোনো বাধা না আসে।