Tulsi Care Tips: অনেকের বাড়িতেই দেখা যায় তুলসী গাছ হঠাৎ শুকিয়ে যাচ্ছে বা আগের মতো সবুজ দেখাচ্ছে না। অথচ প্রতিদিন জল দেওয়া, রোদে রাখা—সব কিছুই নিয়মমতো হচ্ছে! বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মাত্র ১০ টাকার এক সহজ ঘরোয়া উপায়েই আপনার তুলসী গাছ ভরে উঠবে সবুজ পাতায়। জানুন কীভাবে ইপসম লবণ ব্যবহার করে গাছকে আবার সতেজ করা যায়।

ধর্মীয় গুরুত্বের পাশাপাশি তুলসী গাছের পরিবেশগত ভূমিকা
ভরতপুরের তুলসী গাছ শুধু ধর্মীয়ভাবেই পূজিত নয়, এটি পরিবেশ ও স্বাস্থ্যের জন্যও অত্যন্ত উপকারী। ঘরের তুলসী বায়ু বিশুদ্ধ করে, ছত্রাক ও মশা দূরে রাখে। তাই গাছের সঠিক যত্ন নেওয়া জরুরি। সম্প্রতি বাগানপ্রেমীদের মধ্যে ইপসম লবণ ব্যবহারের নতুন কৌশল জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে, যা তুলসী গাছকে সবুজ ও সবল রাখে।

ইপসম লবণের জাদু: ম্যাগনেসিয়াম ও সালফারের প্রভাব
উদ্যান বিশেষজ্ঞ মুকুটের মতে, ইপসম লবণে থাকা ম্যাগনেসিয়াম ও সালফার তুলসীর জন্য আশীর্বাদস্বরূপ। ম্যাগনেসিয়াম ক্লোরোফিল তৈরিতে সাহায্য করে, ফলে পাতাগুলি হয় গভীর সবুজ ও উজ্জ্বল। অপরদিকে, সালফার গাছের শিকড় মজবুত করে এবং নতুন অঙ্কুর গজাতে সহায়তা করে।
নিয়মিত ব্যবহারেই ফল মিলবে
ইপসম লবণ নিয়মিত ব্যবহার করলে তুলসী গাছ ঘন হয়, ফুল ও বীজের উৎপাদন বাড়ে, এমনকি কিছু সাধারণ কীটপতঙ্গ ও ছত্রাকও দূরে থাকে। গাছের পাতা হয় আরও সতেজ, উজ্জ্বল ও সুগন্ধি।

ব্যবহার পদ্ধতি: মাত্র এক চা চামচেই বদল আনুন
ইপসম লবণ দুটি উপায়ে ব্যবহার করা যায়—এক লিটার জলে এক চা চামচ ইপসম লবণ গুলে ১৫–২০ দিন অন্তর পাতায় হালকাভাবে স্প্রে করুন।প্রতি মাসে এক বা দুইবার পাত্রের মাটিতে ১–২ চা চামচ ইপসম লবণ মিশিয়ে জল দিন।তবে সতর্কতা: দুপুরের প্রখর রোদে স্প্রে করবেন না এবং অতিরিক্ত লবণ ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন।
সতর্কতা ও ফলাফল
বিশেষজ্ঞদের মতে, অতিরিক্ত ইপসম লবণ ব্যবহার গাছের ক্ষতি করতে পারে এবং মাটির ভারসাম্য নষ্ট করে। তাই মাসে এক বা দু’বারের বেশি ব্যবহার না করাই শ্রেয়। সঠিক পদ্ধতিতে ব্যবহার করলে তুলসী গাছ শুধু সবুজই নয়, আরও সুগন্ধি, স্বাস্থ্যকর ও পূজার উপযোগী হয়ে ওঠে।

বাড়ির তুলসী গাছকে সবুজ ও প্রাণবন্ত রাখতে দামি সার নয়, দরকার একটু যত্ন ও বুদ্ধি। মাত্র ১০ টাকার ইপসম লবণই পারে আপনার শুকিয়ে যাওয়া তুলসীকে নতুন প্রাণ দিতে। তাই আজই চেষ্টা করে দেখুন—এই সহজ ঘরোয়া ট্রিকেই বাড়ুক আপনার তুলসীর সবুজ ছায়া।













