উজ্জয়নের দেওয়াসগেটে ভয়াবহ আগুন: ট্র্যাভেল এজেন্সি সহ ৩টি দোকানে লাখ লাখ টাকার ক্ষতি, পুড়ে ছাই যাত্রীদের লাগেজ

উজ্জয়নের দেওয়াসগেটে ভয়াবহ আগুন: ট্র্যাভেল এজেন্সি সহ ৩টি দোকানে লাখ লাখ টাকার ক্ষতি, পুড়ে ছাই যাত্রীদের লাগেজ

উজ্জয়নের দেওয়াসগেট এলাকায় বৃহস্পতিবার ভোরে আগুন লেগেছে, যাতে অশোকা ট্র্যাভেলস এবং পাশের তিনটি দোকানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। যাত্রীদের লাগেজ এবং দোকানের জিনিসপত্র পুড়ে ছাই হয়ে গেছে, আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ লাখ লাখ টাকা বলে জানানো হচ্ছে।

উজ্জয়ন: বৃহস্পতিবার ভোরে দেওয়াসগেট থানা এলাকায় ভয়াবহ আগুন লেগে বেশ কয়েকটি দোকানের ক্ষতি হয়েছে। অশোকা ট্র্যাভেলসের অফিসে আগুন লাগে, যেখানে কর্মীরা সময়মতো আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। এই সময়ে যাত্রীদের লাগেজ এবং এজেন্সির আসবাবপত্র সম্পূর্ণ পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। স্থানীয় মানুষ এবং ফায়ার ব্রিগেডের দ্রুত পদক্ষেপে আগুন অন্য দোকানে ছড়ায়নি। যদিও, আগুন ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছিল এবং এটিকে নিয়ন্ত্রণে আনতে তিনটি দমকল গাড়ি ডাকা হয়েছিল। সৌভাগ্যবশত, কোনো প্রাণহানি হয়নি।

ট্র্যাভেল এজেন্সিতে ভয়াবহ আগুন

প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, রাত আনুমানিক ৩টে নাগাদ আগুন লাগে। ট্র্যাভেল এজেন্সির অফিসে একজন কর্মী উপস্থিত ছিলেন, যিনি পাশ থেকে ধোঁয়া উঠতে দেখে সঙ্গে সঙ্গে ড্রামে রাখা জল দিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। এই প্রচেষ্টার ফলে আগুন অন্য দোকানে ছড়ায়নি, তবে এজেন্সির কার্যালয়টি সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে।

ঘটনার স্থানের পাশেই দেওয়াসগেট থানা অবস্থিত, যার ফলে পুলিশও দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। বাস স্ট্যান্ডের কাছাকাছি হওয়ার কারণে আগুন লাগার খবর পেয়ে যাত্রীদের মধ্যে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়।

আগুনে লাখ লাখ টাকার ক্ষতি

ট্র্যাভেল এজেন্সির পরিচালক রাজেশ শর্মা জানিয়েছেন যে, অফিসে রাখা সমস্ত আসবাবপত্র এবং জিনিসপত্র পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এছাড়াও, যাত্রীদের লাগেজও সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে গেছে। প্রাথমিক অনুমান অনুযায়ী, ক্ষতির পরিমাণ লাখ লাখ টাকা, যদিও লাগেজের মূল্য এখনও জানা যায়নি।

স্থানীয় বাসিন্দা মিহির পারমার জানিয়েছেন যে, আগুনের শিখা বেশ উঁচু ছিল এবং সম্পূর্ণ এলাকাটি বাণিজ্যিক হওয়ায় একটি বড় দুর্ঘটনা এড়ানো গেছে।

দোনা-পাত্তল কারখানায় লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে

উজ্জয়ন জেলা থেকে আরও একটি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা সামনে এসেছে। শংকরপুরের করোনদিয়া এলাকায় দোনা-পাত্তল তৈরির কারখানায় আগুন লাগে। কারখানায় থাকা কাঁচামাল আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার কারণ হয়।

এই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে ১২টি দমকল গাড়ি লাগে এবং প্রায় ৬ ঘণ্টার চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। কারখানার মালিক আনুমানিক ২৫ লাখ টাকার ক্ষতির কথা জানিয়েছেন।

Leave a comment