চীনা কমিউনিস্ট পার্টির জন্য কাজ করা মধ্য আমেরিকার নাগরিকদের উপর আমেরিকার ভিসা নিষেধাজ্ঞা

চীনা কমিউনিস্ট পার্টির জন্য কাজ করা মধ্য আমেরিকার নাগরিকদের উপর আমেরিকার ভিসা নিষেধাজ্ঞা

আমেরিকা মধ্য আমেরিকার নাগরিকদের উপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণা করেছে যারা চীনা কমিউনিস্ট পার্টির (CCP) হয়ে কাজ করছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বলেছেন যে এই পদক্ষেপ আঞ্চলিক নিরাপত্তা এবং আইনের শাসন রক্ষার জন্য অপরিহার্য।

US Visa: আমেরিকা ও চীনের মধ্যে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনা এখন এক নতুন মোড় নিয়েছে। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও (Marco Rubio) ঘোষণা করেছেন যে মধ্য আমেরিকার সেইসব নাগরিকদের উপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে যারা CCP (Chinese Communist Party)-র জন্য কাজ করছে এবং এই অঞ্চলে আইনের শাসন (Rule of Law) দুর্বল করছে। এটি আমেরিকার নতুন ভিসা নীতির অংশ, যা ওয়াশিংটন আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখার জন্য কার্যকর করেছে।

নতুন ভিসা নীতির ঘোষণা

ওয়াশিংটন ডিসি থেকে জারি করা এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী রুবিও বলেছেন যে আমেরিকা এখন সেইসব ব্যক্তিদের ভিসা বাতিল করবে বা প্রবেশে বাধা দেবে যারা CCP-র হয়ে কাজ করে মধ্য আমেরিকায় আইনের শাসনকে দুর্বল করার মতো কার্যকলাপে লিপ্ত।

এর মধ্যে সেইসব ব্যক্তিও অন্তর্ভুক্ত থাকবে যারা এই ধরনের কার্যকলাপ পরিচালনা করে, অনুমোদন দেয়, আর্থিক সহায়তা দেয় বা সক্রিয়ভাবে সমর্থন করে। এই নতুন নীতির অধীনে কেবল সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের উপরই নয়, তাদের নিকটাত্মীয়দের (Immediate Family Members) উপরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে।

চীনের উপর সরাসরি চাপ

রুবিও স্পষ্ট করে বলেছেন যে এই সিদ্ধান্ত চীনের জন্য একটি বড় ধাক্কা। ওয়াশিংটন কোনো মূল্যে Central America-তে বেইজিং-এর দুর্নীতিগ্রস্ত প্রভাব সহ্য করবে না। তিনি বলেন যে CCP-র উদ্দেশ্য এই অঞ্চলে অস্থিরতা (Instability) সৃষ্টি করা এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে দুর্বল করা।

আমেরিকার মতে, চীন এই অঞ্চলের সার্বভৌমত্বকে (Sovereignty) চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছে এবং সেখানকার নাগরিকদের নিজেদের পক্ষে আনতে অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক চাপ সৃষ্টি করছে।

ব্যবস্থা গ্রহণ শুরু হয়েছে

পররাষ্ট্রমন্ত্রী রুবিও আরও জানিয়েছেন যে এই নীতির প্রথম ধাপে CCP-র জন্য সক্রিয়ভাবে কাজ করা একাধিক মধ্য আমেরিকার নাগরিককে চিহ্নিত করা হয়েছে। এদের উপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেছে।

এর অর্থ হল, এখন থেকে এই ধরনের ব্যক্তিরা এবং তাদের পরিবারের সদস্যরা আমেরিকায় প্রবেশে অযোগ্য (Ineligible) হবেন। এই নীতি একটি স্পষ্ট বার্তা দেয় যে আমেরিকা এখন সেই সব শক্তির বিরোধিতা করবে যা তার আঞ্চলিক মিত্র এবং নিরাপত্তাকে বিপন্ন করে তোলে।

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নীতির অংশ

রুবিও তাঁর বিবৃতিতে আরও বলেছেন যে এই পদক্ষেপটি প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিদেশ নীতি এবং জাতীয় নিরাপত্তা পদ্ধতির অংশ। তিনি বলেন যে ট্রাম্প প্রশাসনের লক্ষ্য হলো আমেরিকার অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি (Economic Prosperity) এবং জাতীয় নিরাপত্তা (National Security) রক্ষা করা।

আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার উপর জোর

রুবিও বলেছেন যে আমেরিকা মধ্য আমেরিকায় নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করার জন্য সমস্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। তিনি বলেন যে CCP-র সাথে মিলে কাজ করা নাগরিকদের জবাবদিহি (Accountable) করা জরুরি, কারণ তাদের কার্যকলাপ এই অঞ্চলে সহিংসতা ও অস্থিরতাকে উস্কে দেয়।

ইকুয়েডর সফরের সময় বক্তব্য

পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বর্তমানে ইকুয়েডর সফরে রয়েছেন। সেখানে তিনি প্রেসিডেন্ট ড্যানিয়েল নবোয়া আজিন-এর সাথে সাক্ষাৎ করেন। আলোচনার সময়, দুই নেতা সংগঠিত অপরাধ (Organized Crime), অবৈধ অভিবাসন (Illegal Immigration) এবং আঞ্চলিক নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা করেন। রুবিও আবারও জোর দিয়ে বলেন যে আমেরিকা তার মিত্রদের পাশে আছে এবং এই অঞ্চলে যেকোনো ধরনের অস্থিরতা বা দুর্নীতিগ্রস্ত প্রভাব প্রতিরোধে সম্পূর্ণ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

Leave a comment