হোয়াটসঅ্যাপের প্রাক্তন সাইবার নিরাপত্তা প্রধানের মেটার বিরুদ্ধে মামলা: ডেটা সুরক্ষায় গুরুতর ত্রুটির অভিযোগ

হোয়াটসঅ্যাপের প্রাক্তন সাইবার নিরাপত্তা প্রধানের মেটার বিরুদ্ধে মামলা: ডেটা সুরক্ষায় গুরুতর ত্রুটির অভিযোগ

WhatsApp-এর প্রাক্তন সাইবার নিরাপত্তা প্রধান আতাউল্লাহ বেগ মেটার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। বেগের দাবি, WhatsApp সিস্টেমে বেশ কিছু নিরাপত্তা ত্রুটি রয়েছে, যার ফলে ব্যবহারকারীদের ডেটা চুরি বা আপোস করা যেতে পারে। তিনি কোম্পানির উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সতর্ক করেছিলেন, কিন্তু তাঁর কথা উপেক্ষা করা হয়েছিল এবং তাঁকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছিল। মামলায় আরও বলা হয়েছে যে মেটার প্রায় ১,৫০০ ইঞ্জিনিয়ারের কাছে ব্যবহারকারীর ডেটাতে সরাসরি অ্যাক্সেস রয়েছে এবং পর্যাপ্ত নজরদারি নেই।

WhatsApp Security Controversy: প্রাক্তন কর্মচারী মেটার বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেছেন। ক্যালিফোর্নিয়ার নর্দার্ন ডিস্ট্রিক্টে দায়ের করা এই মামলায় ভারতীয় বংশোদ্ভূত সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ আতাউল্লাহ বেগ, যিনি ২০২১ থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত WhatsApp-এর সাইবার নিরাপত্তা প্রধান ছিলেন, বলেছেন যে প্ল্যাটফর্মে নিরাপত্তা ত্রুটি বিদ্যমান। তাঁর অভিযোগ, কোম্পানির ১,৫০০ ইঞ্জিনিয়ারের কাছে ব্যবহারকারীদের সংবেদনশীল ডেটা রয়েছে, যার উপর পর্যাপ্ত নজরদারি নেই। তিনি এই তথ্য উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা এবং সিইও মার্ক জুকারবার্গকে দিয়েছিলেন, কিন্তু কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি এবং এরপর তাঁকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়।

প্রাক্তন কর্মচারী মেটার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন

WhatsApp-এর একজন প্রাক্তন প্রধান সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ আতাউল্লাহ বেগ মেটার বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেছেন। বেগের দাবি, WhatsApp-এর সিস্টেমে বেশ কিছু নিরাপত্তা ত্রুটি বিদ্যমান, যার ফলে ব্যবহারকারীদের ডেটা চুরি বা আপোস করা যেতে পারে। তিনি এই বিষয়টি কোম্পানির উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা এবং সিইও মার্ক জুকারবার্গকেও জানিয়েছিলেন, কিন্তু তাঁর সতর্কতা উপেক্ষা করা হয়েছিল এবং তাঁকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছিল।

মেটার বিরুদ্ধে এই মামলাটি ক্যালিফোর্নিয়ার নর্দার্ন ডিস্ট্রিক্টে দায়ের করা হয়েছে। মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে যে মেটার প্রায় ১,৫০০ ইঞ্জিনিয়ারের কাছে WhatsApp ব্যবহারকারীর ডেটাতে সরাসরি অ্যাক্সেস রয়েছে এবং এর উপর পর্যাপ্ত নজরদারি নেই। এই ডেটাতে ব্যবহারকারীর যোগাযোগের তথ্য, IP ঠিকানা এবং প্রোফাইল ছবির মতো সংবেদনশীল তথ্য অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

সাইবার নিরাপত্তা ত্রুটি এবং কোম্পানির প্রতিক্রিয়া

বেগ জানিয়েছেন যে তিনি WhatsApp-এ কাজ শুরু করার পরেই এই নিরাপত্তা ত্রুটিগুলি খুঁজে পেয়েছিলেন, যা ফেডারেল আইন এবং মেটার আইনি দায়িত্ব লঙ্ঘন করে। অভিযোগ সত্ত্বেও মেটা প্রতিরোধমূলক কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। তিন দিন পরেই তিনি তাঁর কাজের বিষয়ে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া পেতে শুরু করেন।

মেটা বেগের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছে যে এই দাবিগুলি অসম্পূর্ণ এবং ভুল। কোম্পানির একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন যে মাঝে মাঝে চাকরি থেকে বরখাস্ত হওয়া কর্মীরা খারাপ পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে বিভ্রান্তিকর দাবি করেন। মেটা আরও স্পষ্ট করেছে যে তারা তাদের গোপনীয়তা সুরক্ষা নীতির উপর গর্ব করে এবং ব্যবহারকারীর তথ্য সুরক্ষিত রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

ডেটা সুরক্ষা এবং পরবর্তী পদক্ষেপ

বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ঘটনা ব্যবহারকারীর ডেটা সুরক্ষা এবং সাইবার নিরাপত্তা ব্যবস্থার উপর গুরুতর মনোযোগ দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেছে। যদি আদালতে বেগের দাবিগুলি সত্য প্রমাণিত হয়, তবে মেটাকে তাদের নিরাপত্তা প্রোটোকল পরিবর্তন করতে হতে পারে। এই মামলা শুধুমাত্র কোম্পানির দায়িত্বকেই উন্মোচিত করে না, বরং ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে ব্যবহারকারীদের সুরক্ষার জন্য কঠোর নিয়মের সম্ভাবনাও বাড়িয়ে তোলে।

Leave a comment