বিক্রান্ত ম্যাসি এবং শানায়া কাপুর অভিনীত, বহু প্রতীক্ষিত চলচ্চিত্র 'আঁখোঁ কি গুস্তাকিয়াঁ' অবশেষে আজ, শুক্রবার, ১১ই জুলাই প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে। এই ছবির মাধ্যমে শানায়া কাপুর বলিউড ডেবিউ করেছেন, যেখানে বিক্রান্ত ম্যাসি আবারও একটি আবেগপূর্ণ চরিত্রে দর্শকদের মন জয় করেছেন।
বিনোদন: বহু প্রতীক্ষিত রোমান্টিক ড্রামা ‘আঁখোঁ কি গুস্তাকিয়াঁ’ (Aankhon Ki Gustaakhiyan) আজ, ১১ই জুলাই, ২০২৫ তারিখে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে। ছবিতে বিক্রান্ত ম্যাসি (Vikrant Massey) এবং শানায়া কাপুর (Shanaya Kapoor) প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন। এই ছবির মাধ্যমে শানায়া বড় পর্দায় আত্মপ্রকাশ করেছেন, যেখানে বিক্রান্ত আবারও শক্তিশালী অভিনয়ের মাধ্যমে দর্শকদের মন জয় করতে সক্ষম হয়েছেন।
ছবিটি পরিচালনা করেছেন সন্তোষ সিং এবং প্রযোজনা করেছেন জি স্টুডিওজ, মিনি ফিল্মস এবং ওপেন উইন্ডো ফিল্মস। হৃদয় ছুঁয়ে যাওয়া এই গল্পটি বিখ্যাত লেখক রাসকিন বন্ডের ছোট গল্প ‘দ্য আইজ হ্যাভ ইট’ থেকে অনুপ্রাণিত।
সমালোচক কুলদীপ ঘাড়ভির প্রথম রিভিউ ভাইরাল
অভিনেতা থেকে চলচ্চিত্র সমালোচক বনে যাওয়া কুলদীপ ঘাড়ভি তাঁর ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডেলে ছবির প্রথম রিভিউ শেয়ার করেছেন, যা বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হচ্ছে। তিনি লিখেছেন: এই ছবিটি কেবল আমার হৃদয় নয়, আমার আত্মাকেও ছুঁয়ে গেছে। কুলদীপ ছবিটিকে একটি পরিণত এবং আবেগপূর্ণ রোলারকোস্টার হিসেবে বর্ণনা করেছেন, যা হাস্যরস এবং অনুভূতির মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখে।
ছবির গল্প
প্রায় ২ ঘণ্টা ২০ মিনিটের এই ছবির গল্প ধীরে ধীরে উন্মোচিত হয়, কিন্তু প্রতিটি দৃশ্য দর্শকদের আবেগগতভাবে ধরে রাখে। বিক্রান্ত ম্যাসি একজন অন্ধ সঙ্গীতশিল্পীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন, যেখানে শানায়া কাপুর একজন থিয়েটার শিল্পীর ভূমিকায় রয়েছেন। ছবিতে, এই দুটি চরিত্রের যাত্রা দর্শকদের প্রেম, ত্যাগ এবং বিশ্বাসের একটি নতুন সংজ্ঞা দেয়।
শানায়া কাপুরের ডেবিউ: ‘Impressive’ এবং Refreshing
শানায়া কাপুরের এই চলচ্চিত্র অভিষেক তাঁর কর্মজীবনের জন্য একটি শক্তিশালী সূচনা। ঘাড়ভি লিখেছেন: এটি সাম্প্রতিক বছরগুলির মধ্যে সবচেয়ে প্রভাবশালী ডেবিউ পারফরম্যান্সগুলির মধ্যে একটি। তাঁর সংলাপ বলার ধরণ, অভিব্যক্তি এবং পর্দায় উপস্থিতি খুবই স্বাভাবিক এবং প্রভাবশালী। শানায়ার স্বাচ্ছন্দ্য এবং ক্যামেরার প্রতি আত্মবিশ্বাস প্রমাণ করে যে তিনি বলিউডে দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে প্রস্তুত।
বিক্রান্ত ম্যাসি আবারও প্রমাণ করেছেন কেন তাঁকে প্রতিভার পাওয়ারহাউস বলা হয়। তাঁর চরিত্রে গভীরতা রয়েছে এবং অনুভূতির স্তরও রয়েছে, যা তাঁকে একজন সংবেদনশীল শিল্পী করে তোলে। তিনি শুধু অভিনয় করেন না, তাঁর চরিত্রকে অনুভব করেন, ” কুলদীপ ঘাড়ভি এই কথাগুলি বলে তাঁর প্রশংসা করেছেন।
পরিচালনা এবং কারিগরি দিক
পরিচালক সন্তোষ সিং এই ছবিটিকে অত্যন্ত সুন্দরভাবে গড়ে তুলেছেন। ক্যামেরার কাজ, ব্যাকগ্রাউন্ড স্কোর এবং সিনেমাটোগ্রাফি ছবির মেজাজকে সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তোলে। সিং ছবিতে প্রেম, বেদনা এবং সারল্যকে অত্যন্ত সিনেম্যাটিক স্টাইলে উপস্থাপন করেছেন। ছবির ক্লাইম্যাক্স আবেগপূর্ণ এবং এটি দর্শকদের ভাবতে বাধ্য করে। গল্পটি শেখায় যে, সত্যিকারের প্রেম শুধু দেখার বিষয় নয়, অনুভব করার বিষয়। এই সিনেমাটি শুধু দেখার জন্য নয় – এটিকে অনুভব করতে হবে।
‘আঁখোঁ কি গুস্তাকিয়াঁ’ বক্স অফিসে রাজকুমার রাও এবং মানুসী চিল্লার অভিনীত ‘মালিক’-এর সাথে কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বিতার সম্মুখীন হচ্ছে। যদিও, উভয় চলচ্চিত্রের বিষয়বস্তু এবং ধারা আলাদা হওয়ার কারণে দর্শকদের মধ্যে সমান বিভাজন দেখা যাচ্ছে।