মহারাষ্ট্রে হিন্দি এবং মারাঠি ভাষা নিয়ে আবারও পরিস্থিতি উত্তপ্ত হতে দেখা যাচ্ছে। এবার কেন্দ্রবিন্দু হয়েছে মীরা রোড, যেখানে সম্প্রতি মারাঠিতে উত্তর না দেওয়ায় এক মিষ্টির দোকানের মালিককে চড় মারার ঘটনাটি বেশ আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। এই প্রেক্ষাপটে, মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনা (এমএনএস) এর সভাপতি রাজ ঠাকরে ১৮ই জুলাই মীরা রোডে একটি বিশাল জনসভা করতে যাচ্ছেন। এই সমাবেশটি সেই যোধপুর সুইটসের সামনে অনুষ্ঠিত হবে, যেখান থেকে বিতর্কের সূত্রপাত হয়েছিল।
এমএনএস এই সভাকে কেবল একটি রাজনৈতিক কর্মসূচি হিসেবে নয়, বরং মারাঠি আত্মপরিচয়ের প্রতিধ্বনি হিসেবে দেখছে। দলের দাবি, ঠাকরে এই মঞ্চ থেকে মারাঠি সমাজের সঙ্গে সরাসরি কথা বলবেন এবং আগামী রাজনৈতিক দিশার রোডম্যাপ তুলে ধরবেন।
মীরা রোড আন্দোলনের পর পরিবর্তিত রাজনৈতিক কৌশল
সম্প্রতি, এমএনএস মীরা-ভায়ান্দার অঞ্চলে মারাঠি ভাষা এবং আত্মপরিচয় নিয়ে একটি জোরালো আন্দোলন করেছে, যা রাজ্যজুড়ে রাজনৈতিক বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। এই বিক্ষোভের পর দলের রাজনৈতিক চাল নিয়ে নতুন জল্পনা শুরু হয়েছে। এখন যখন ঠাকরে নিজেই ময়দানে নামতে যাচ্ছেন, ধারণা করা হচ্ছে যে এই সমাবেশটি কেবল ভাষণ নয়, বরং আসন্ন নির্বাচনের সমীকরণগুলির একটি আভাস দেবে।
এমএনএস কর্মীরা এই সমাবেশ নিয়ে জোর প্রস্তুতিতে ব্যস্ত। দলের আশা, এই র্যালিতে বিপুল সংখ্যক মানুষ সমবেত হবে এবং এটি মারাঠি জনমানসের শক্তির প্রদর্শনের সুযোগ হবে।
মীরা রোড থেকে কি ঠাকরের পরবর্তী রাজনৈতিক দিক নির্ধারিত হবে?
রাজনৈতিক মহলে আলোচনা চলছে যে রাজ ঠাকরে এই জনসভার মাধ্যমে তাঁর আসন্ন রাজনৈতিক ভূমিকা সম্পর্কে ইঙ্গিত দিতে পারেন। একই সঙ্গে, তিনি মীরা রোডের জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতাও জানাতে পারেন, যারা মারাঠি আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে সমর্থন জুগিয়েছেন।
এমএনএস সূত্রে খবর, এই র্যালি দলের বৃহত্তর রাজনৈতিক কৌশলের অংশ এবং আসন্ন নির্বাচনে মারাঠি ভোটারদের আকৃষ্ট করার একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রচেষ্টা। দল এখন হিন্দি-মারাঠি বিতর্কে প্রকাশ্যে ময়দানে নেমেছে এবং মীরা রোড থেকে তাদের এই নতুন ইনিংসের সূচনা হচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে।
১৮ই জুলাই সন্ধ্যায় মীরা রোডে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এই জনসভা কেবল একটি র্যালি নয়, বরং মারাঠি আত্মপরিচয়ের নামে রাজনৈতিক ভারসাম্য পরিবর্তনের মঞ্চ হতে পারে। এখন সবার দৃষ্টি এই র্যালির দিকে, যেখানে রাজ ঠাকরে কোনো বড় ঘোষণা করেন কিনা বা আসন্ন নির্বাচনের জন্য কোনো ইঙ্গিত দেন কিনা। এটা নিশ্চিত যে মীরা রোডের এই সভা মহারাষ্ট্রের রাজনীতিতে নতুন আলোড়ন সৃষ্টি করবে।